Weight Loss: ওজন কমাতে ভূমিকা রয়েছে প্লেটেরও! কীভাবে?
প্লেটে সব রকম খাবার সাজিয়ে নিয়ে খান। কিন্তু বড় প্লেট নয়, ছোট প্লেটে খাবার খান। আর সেই প্লেটে ভর্তি করুন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও জটিল কার্বোহাইড্রেট দিয়ে
বছরের শেষে আর নতুন বছরের শুরুতে বেশিরভাগ মানুষই ওজন কমানোর ( Weight loss) এবং ফিট থাকার প্রতিজ্ঞা করেন। আর যে কারণেই নতুন মাসের শুরুতে ভিড় বাড়ে জিমে। অনেকেই আবার নিজের থেকে মর্নিং ওয়াকে যায়, কেউ আবার সকাল হলে ছুটতে যায়। শরীরচর্চার ( Exercise) পাশাপাশি থাকে ডায়েটও ( Weight loss diet)। ওজন কমাতে হবে বলে বেসিরভাগই খুব কষ্ট করে ডায়েট শুরু করে। বাইরের খাবার একেবারে কমিয়ে দিয়ে বাড়ির তৈরি খাবার খান। কিন্তু তাও যে খুব বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারেন এমন নয়। অনেকের কাছেই ডায়েটের অর্থ হল না খেয়ে থাকা। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। সঠিক ডায়েটের অর্থ হল সময়ে খাওয়া, পরিমাণে খাওয়া এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। কখনই কম খাওয়া বা আধপেটা খাওয়া ডায়েট নয়।
পুষ্টিকররা কিন্তু সব সময় পছন্দের খাবারই ডায়েটে রাখতে বলেন। ডায়েট মানেই খারাপ খেতে খাবার এরকম নয়। আমাদের আশপাশের খাবার, যে খাবারে আমরা ছোট থেকে অভ্যস্ত তাই ডায়েট। কিন্তু তা যেন জাঙ্ক বা ফাস্টফুড না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শরীরের জন্য নিয়মিত প্রোটিন, ফ্যাট আর কার্বোহাইড্রেট এই তিনেরই প্রয়োজন। কাজেই সেদিকেও নজর দেওয়া দরকার। তাই পুষ্টিবিদরা বলেন সব সময় খাবারের প্লেটের দিকে নজর দিতে। এবার প্রশ্ন হল আপনার প্লেটটি কী ভাবে সাজাবেন-
সুষম খাবার খাওয়া আমাদের লক্ষ্য। কাজেই প্লেটের এক চতুর্থাংশ ভর্তি করুন প্রোটিন দিয়ে, বাকি অর্ধেক শাক-সবজি আর বাকিটা জটিল কার্বোহাইড্রেট দিয়ে। এছাড়াও গুড ফ্যাট থাকবে ২ চামচ। তবে প্লেটের মধ্যে সিংহভাগই কিন্তু থাকবে প্রোটিন। ডিম, চিকেন, সোয়াবিন, ওটস, বাদাম- যা আমাদের পেট ভরাবে সেই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে। জটিল কার্বোহাইড্রেট কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য ভাল। কেননা তা সরাসরি আমাদের রক্তে মিশতে পারে না, সেই সঙ্গে জটিল রোগের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায়। যার ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। এই জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে রয়েছে গোটা শস্য, মটরশুঁটি এবং বিভিন্ন ফল।
সব চর্বিই যে শরীরের জন্য খারাপ এমন নয়। শরীরের প্রয়োজনে কিছু ভাল চর্বিও আমাদের রাখতে হবে রোজকার খাদ্য তালিকায়। অলিভ অয়েল, ঘি, বাদাম এসব কিন্তু আমাদের শরীরে ভাল চর্বির যোগান দেয়। আর তাই সব সময় এসব রাখবেন খাদ্য তালিকায়। বিভিন্ন ধরনের বাদাম থেকে আমরা শরীরের প্রয়োজনিীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড পেয়ে থাকি। এই বাদাম আবার আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। মোটকথা অন্ত্রের খাতিরেই এইসব রাখুন রোজকার খাবার তালিকায়।
সব সময় ছোট প্লেটে খাবার সাজিয়ে খান। এতে প্লেট যেমন ভরা দেখতে লাগবে তেমনই কিন্তু পরিমাণেও কম খাওয়া হবে। অনেক সময়ই আমাদের চাহিদার থেকে চোখের খিদে বড় হয়ে দাড়ায়। তখন তাই অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়। কিন্তু এই ভাবে নিয়ম মেনে রোজকার প্লেট সাজিয়ে নিতে পারলে খেতেও যেমন ভাল লাগবে তেমনই পরিমাণেও কম খাওয়া হয়। তাই অবশ্যই এদিকেও নজর রাখুন। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। প্রোটিন বেশি করে খান। এতে শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে তেমনই কিন্তু শরীর ভালও থাকবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।