West Sikkim: গরমের ছুটি শেষ হওয়ার আগে পাড়ি দিন পাহাড়ে, রডোডেনড্রনে ঘেরা বার্মিওক রয়েছে আপনার অপেক্ষায়

Offbeat Destination: দূরের পাহাড় থেকে বার্মিওককে দেখে মনে হয়, সবুজের মাঝে কেউ বাক্সবাড়ি দিয়ে সাজিয়েছে গোটা গ্রাম। এখানে মূলত বাস লেপচাদের। কাঞ্চনজঙ্ঘার সহ বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গের প্যানোরমিক ভিউ দেখতে পাওয়া যায় বার্মিওকের হোমস্টে বসে।

West Sikkim: গরমের ছুটি শেষ হওয়ার আগে পাড়ি দিন পাহাড়ে, রডোডেনড্রনে ঘেরা বার্মিওক রয়েছে আপনার অপেক্ষায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2023 | 2:32 PM

দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পাশাপাশি সিকিমের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র। থাকার জন্য তৈরি হচ্ছে হোমস্টে। পারমিটের ঝামেলা ছাড়া আর কোনও ফারাক পাওয়া যায় না সিকিম ভ্রমণে। আর শীতে একটু উপরের দিকে উঠলে মেলে তুয়ারপাত, বরফ। কিন্তু সারাবছর সিকিমের গ্যাংটক, নাথুলা, ঝাঙ্গু, লাচেন, পেলিংয়ে বেশি পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। এছাড়া দিন দিন বাড়ছে পুরনো সিল্ক রুট, ঋষিখোলা ইত্যাদি জায়গায়। তবু এমন বেশ কিছু জায়গা যেখানে এখনও অবধি পর্যটকদের ভিড় খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় না। তেমনই একটি জায়গা হল বার্মিওক।

৫,৯০৫ ফুট উচ্চতায় পশ্চিম সিকিমের কোলে অবস্থিত এই বার্মিওক। গুটি কয়েক বাক্স বাড়ি নিয়ে গড়ে উঠেছে গোটা গ্রাম। ভার্সে রডোডেনড্রন অভয়ারণ্যের মধ্যে অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বার্মিওক। বার্মিওকের নৈসর্গিক দৃশ্যের টানেই পর্যটকেরা ছুটে আসে এখানে। বার্মিওকের সৌন্দর্য পাহাড়-জঙ্গল ছাড়াও লুকিয়ে রয়েছে হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে। বার্মিওকের হোমস্টেতে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলবে। পাশাপাশি দেখতে পাবেন কোকতাং, কুম্ভকর্ণ, কাবরু, রাথোংয়ের মতো বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গ। কাঞ্চনজঙ্ঘার সহ এসব পর্বতশৃঙ্গের প্যানোরমিক ভিউ দেখতে পাওয়া যায় বার্মিওকে বসে।

দূরের পাহাড় থেকে বার্মিওককে দেখে মনে হয়, সবুজের মাঝে কেউ বাক্সবাড়ি দিয়ে সাজিয়েছে গোটা গ্রাম। এখানে মূলত বাস লেপচাদের। পর্যটককেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠায় এখন হোমস্টের ব্যবসা শুরু হয়েছে। তাছাড়া চাষবাদই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। গোটা গ্রাম জুড়ে রয়েছে রডোডেনড্রনের গাছ। এছাড়া রয়েছে কমলালেবু ও দারুচিনির সম্ভার। যদি রডোডেনড্রন দেখতে হয়, তাহলে যেতে হবে মার্চ-এপ্রিলে। আর কমলালেবু দেখতে গেলে শীতই আদর্শ সময়। একমাত্র দারুচিনির গন্ধ পাবেন সারাবছর।

বার্মিওকের পাহাড়ি রাস্তা ধরে নিচে নামতে পারেন। একটু দূর গেলেই পেয়ে যাবেন বার্মিওক বাজার। এই বার্মিওকের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে সিরিজঙ্গা জলপ্রপাতে। সেখানেও যেতে পারেন পায়ে হেঁটে। যদি মনে হয়, পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটা কষ্টকর, তাহলে গাড়ি ভাড়া করে নিতে পারেন। সিরিজঙ্গা জলপ্রপাতের পাশাপাশি ঘুরে নিতে পারেন সিরিজঙ্গা গুহাও। এটি ঋষিখোলা ও কালেজের মধ্যিখানে অবস্থিত। এই রোমাঞ্চকর জায়গাটি স্থানীয়দের কাছে সিরিজঙ্গা ফুকু নামে পরিচিত। এটা লেপচাদের পবিত্র গুহা। এখানে ৩০০ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে আসা সিরিজঙ্গা জলপ্রপাত দেখতে পাবেন। এছাড়া বার্মিওক থেকে ঘুরে দেখতে পারেন মাংহিম মন্দির, হি-খোলা ওয়াটার গার্ডেন, মারতাম গ্রাম, হি, ফাগু দাঁরা, মাংহিম, ছায়াতাল ইত্যাদি।

কীভাবে যাবেন, কোথায় যাবেন-

বর্ষাকাল বাদে বছরের যে কোনও সময় আপনি বার্মিওক যেতে পারেন। শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি পৌঁছে যেতে পারেন বার্মিওক। দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। আবার গ্যাংটক থেকেও বার্মিওক যাওয়া যায়। প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগে। সিংতাম-রংপো হয়ে বার্মিওক যেতে পারেন। কিংবা জোরথাং-সোরেং হয়ে পৌঁছাতে পারেন বার্মিওক। যে দিক দিয়েই যান পথে পড়বে কালুক। কালুক থেকে একটি রাস্তা যায় রিনচেনপংয়ের দিকে এবং অন্যটি বার্মিওক। বার্মিওকে রাত্রিযাপনের জন্য বেশ কয়েকটি হোমেস্টে পেয়ে যাবেন। সেখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি ১,৫০০ টাকা খরচ।