Digital Passports: ফিনল্যান্ডে চালু হল বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল পাসপোর্ট, কীভাবে কাজ করে এটি?

Finland: ডিজিটাল পাসপোর্ট হল এক ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, যা স্মার্টফোনে ইনস্টল করতে হবে। এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যেই আপনার পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকবে। পাসপোর্ট বহনের বদলে মোবাইলে ডিজিটাল পাসপোর্ট খুললেই কাজ হয়ে যাবে।

Digital Passports: ফিনল্যান্ডে চালু হল বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল পাসপোর্ট, কীভাবে কাজ করে এটি?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2023 | 11:47 AM

কোভিড পরিস্থিতির পর থেকে বেশিরভাগ মানুষ বিমান যাত্রায় বেছে নিচ্ছেন ওয়েব চেক-ইন। বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেলেও এই ওয়েব চেক-ইন আপনার অনেক কাজকে সহজ করে দেয়। সময় বাঁচিয়ে দেয় ওয়েব চেক-ইন। পাশাপাশি পছন্দের আসনও বেছে নেওয়া সহজে। এই ওয়েব চেক-ইনের মতোই আপনার বিমানযাত্রাকে আরও সহজ করে দিতে পারে ডিজিটাল পাসপোর্ট। যদিও এই ডিজিটাল পাসপোর্টের সুবিধা রয়েছে বিশ্বের একমাত্র দেশে। বিশ্বের সর্বপ্রথম ডিজিটাল পাসপোর্ট চালু করল ফিনল্যান্ড।

ডিজিটাল পাসপোর্ট হল এক ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, যা স্মার্টফোনে ইনস্টল করতে হবে। এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যেই আপনার পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকবে। পাসপোর্ট বহনের বদলে মোবাইলে ডিজিটাল পাসপোর্ট খুললেই কাজ হয়ে যাবে। ফিনল্যান্ড কীভাবে এই ডিজিটাল পাসপোর্ট চালু করল এবং এটি কী-কী সুবিধা প্রদান করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

২৮ অগস্ট, ২০২৩ ফিনল্যান্ড ফিনায়ার, ফিনিশ পুলিশ ও বিমানবন্দর অপারেটর ফিনাভিয়ার সহযোগিতায় একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রকল্প ভ্রমণ প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা উন্নত করতে ডিজিটাল পাসপোর্ট পরীক্ষা করার জন্য একটি বৃহত্তর EU উদ্যোগের অংশ। কেউ যদি হেলসিঙ্কি থেকে যুক্তরাজ্য যাতায়াত করেন, তাহলে ভান্তা মেইন পুলিশ স্টেশনের লাইসেন্স পরিষেবায় নিজের ডিজিটাল পাসপোর্ট নথিভুক্ত করাতে পারবেন।

হেলসিঙ্কি থেকে ইউনাইটেড কিংডম যাতায়াত করার সময় যাত্রীদের স্মার্টফোনে FIN DTC পাইলট অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এখানে পরিচয় পত্র ও যাবতীয় নথি রেজিস্ট্রার করতে হবে এবং এতে বায়োমেট্রিক ডেটা ব্যবহার করা হবে। যাত্রীরা বিমানে চাপার ৩৬ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে অ্যাপের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য যাচাই করে বর্ডার গার্ডের কাছে পাঠাতে পারবেন এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে।

এই ডিজিটাল পাসপোর্ট এটি ডিজিটাল ট্রাভেল ক্রেডেনশিয়াল (ডিটিসি) নামে পরিচিত। এই ডিজিটাল পাসপোর্ট পরিষেবা যাত্রীদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস না করেই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আইনের সুবিধা প্রদান করবে। পাশাপাশি পাসপোর্ট বহনের ঝক্কিও এড়ানো যাবে। আর পাসপোর্ট হারানোরও কোনও ভয় নেই। ফিনল্যান্ডের এই পাইলট প্রকল্প ভ্রমণ আরও মসৃণ ও নিরাপদ করে তুলবে। এই প্রকল্পটি ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

বর্তমানে ফিনল্যান্ড বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে এই ডিজিটাল পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য সহ একাধিক দেশ এই ধরনের কাজে উদ্যোগী হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেন, সিঙ্গাপুর, চিনের মতো বেশ কিছু দেশ কোভিড পরিস্থিতিতে ভ্রমণের সুবিধার্থে ডিজিটাল ভ্যকসিন পাসপোর্ট চালু করেছিল। তবে, আশা করা হচ্ছে, এই ডিজিটাল পাসপোর্টের ভবিষ্যতে আরও গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এতে আপনার ভ্রমণও হবে hassle-free.