Buxa Tiger Reserve-Dooars: উত্তরবঙ্গেও রয়েছে ‘অ্যামাজন’, সিকিয়াঝোরা নদীতে নৌকাবিহারের স্বাদ নিলে মিলতে পারে জীবজন্তু দেখার সুযোগ
North Bengal Tourism: সিকিয়াঝোরা নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্রটি। তাই এখানে নৌকাবিহার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। সিকিয়াঝোরা নদীর পাশেই বক্সার জঙ্গল। প্রায় ৪ কিলোমিটার সিকিয়াঝোরা নদীর উপর নৌকা নিয়ে ঘুরলে দেখা মেলে জীবজন্তুর।
ভারত ও ভুটান সীমান্তে হাতিদের চলাচলের জন্য রয়েছে করিডোর। যেটা আমরা চিনি বক্সা ব্র্যাঘ সংরক্ষণ নামে। এই বক্সার মধ্যে এমন অনেক ছোট ছোট অঞ্চল রয়েছে, যা বেশ জনপ্রিয় পর্যটকদের মধ্যে। শুধু বন্যপ্রাণী দেখার জন্য নয়, কম খরচে, প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সুযোগ রয়েছে বক্সার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। কিন্তু ‘সিকিয়াঝোরা’ তাদের সবার থেকে আলাদা। সিকিয়াঝোরা আপনাকে এনে দিতে পারে অ্যামাজন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। উত্তরবঙ্গ বেড়াতে গিয়ে অ্যামাজন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, সিকিয়াঝোরাতে রয়েছে সেই সুযোগ। কোথাও গভীর জঙ্গল, সূর্যের আলো এসে পৌঁছায় না মাটিতে। গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়েই বয়ে গিয়েছে নদী। বন্যপ্রাণী তো রয়েছেই। এমন অভিজ্ঞতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে সিকিয়াঝোরাতেও।
অ্যামাজন রেনফরেস্ট অ্যাডভেঞ্চারের চাইতে কিছু কম নয়। এই রেনফরেস্ট বেড়াতে গেলে পকেটেরও জোর লাগে। কিন্তু শখ ও টাকা থাকলেই যে পাড়ি দেওয়া যাবে সেখানে তা নয়। বন্যপ্রাণীরও যে ভয় রয়েছে। তবে অ্যামাজনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে অনেকেই বেছে নেন সুন্দরবনকে। সুন্দরবনকেও গভীরভাবে অন্বেষণ করা সহজ কাজ নয়। প্রতি পদে রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি উত্তরবঙ্গে অ্যামাজন কিংবা সুন্দরবনের স্বাদ নিতে চান, তাহলে চলে যেতে পারেন বক্সার সিকিয়াঝোরাতে।
বক্সা ব্র্যাঘ সংরক্ষণের মধ্যে অবস্থিত সিকিয়াঝোরা। আলিপুরদুয়ার জেলায় এই সিকিয়াঝোরা পর্যটকদের বেশ জনপ্রিয়। সিকিয়াঝোরা নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্রটি। তাই এখানে নৌকাবিহার বা বোট সাফারি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। সিকিয়াঝোরা নদীর পাশেই বক্সার জঙ্গল। প্রায় ৪ কিলোমিটার সিকিয়াঝোরা নদীর উপর নৌকা নিয়ে ঘুরলে দেখা মেলে জীবজন্তুর। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। তার সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় হাতি থেকে শুরু করে চিতর হরিণ, ভালুক, রেড পান্ডা, সম্বর, বড় কাঠবিড়ালি, বুনো মোষ ইত্যাদি। সুন্দরবনের পর বক্সাতে সবচেয়ে বেশি বাঘের দেখা মেলে। তাই ভাগ্য সঙ্গ দিলে তাদেরও দেখা পেতে পারেন। এমনকী সিকিয়াঝোরা নদীতে নৌকাবিহারে দেখতে পাওয়া যায় চিতাবাঘও।
জীববৈচিত্র্যর জন্যই বক্সার জঙ্গল পর্যটকদের কাছে এতবেশি জনপ্রিয়। কিন্তু বক্সাকে কেন্দ্র করে ডুয়ার্সের যে সব পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে, সেখানে গেলে খুব বেশি বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে না। কিন্তু সিকিয়াঝোরা গেলে জঙ্গল সাফারি হবে মনের মতো। বক্সার জঙ্গলে প্রায় ২৮৪টি প্রজাতির পাখি, ৭৩টি প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৫ প্রজাতির উভচয় প্রাণী এবং প্রায় ৭৬টি প্রজাতির সাপ রয়েছে। আর এই সব দেখতে একসঙ্গে দেখতে না পেলেও, সিকিয়াঝোরা নদীতে নৌকাবিহারের এর কিছুটা স্বাদ পেতে পারেন। আর এই কারণেই সিকিয়াঝোরাকে উত্তরবঙ্গের অ্যামাজন বলা হয়।