Joshimath Sinking: ‘ঠিকানা C/O ফুটপাত’, আকাশটুকুুই যা সম্বল, জোশীমঠের কোল জুড়ে হাহাকারের ছবি

Joshimath Sinking: প্রতিদিন আরও নতুন করে বাড়িতে ফাটল দেখা দিচ্ছে। আজ থেকেই শুরু ধ্বংস প্রক্রিয়া।

| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2023 | 2:41 PM
যোশীমঠ জুড়ে এখন হাহাকারের ছবি শুধু। ঘরছাড়া বহু পরিবার। শীতে কাঁপতে কাঁপতে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। কাল যাঁরা চার দেওয়ালে সুখে শান্তিতে দিনযাপন করছিলেন আজ তাঁদের ঠিকানা পথ। উন্নয়নের মাশুল গুনছেন সেখানকার নিষ্পাপ বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে ওঠা উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার জোশীমঠ শহর এখন বসে যাচ্ছে। ধসে পড়ছে বাড়িঘর, মন্দির। সেখানকার রাস্তা, হোটেল, বাড়ির মেঝে ও দেওয়ালে চওড়া ফাটল দেখা দিচ্ছে। যেকোনও সময় তলিয়ে যাওয়ার দিন গুনছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

যোশীমঠ জুড়ে এখন হাহাকারের ছবি শুধু। ঘরছাড়া বহু পরিবার। শীতে কাঁপতে কাঁপতে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। কাল যাঁরা চার দেওয়ালে সুখে শান্তিতে দিনযাপন করছিলেন আজ তাঁদের ঠিকানা পথ। উন্নয়নের মাশুল গুনছেন সেখানকার নিষ্পাপ বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে ওঠা উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার জোশীমঠ শহর এখন বসে যাচ্ছে। ধসে পড়ছে বাড়িঘর, মন্দির। সেখানকার রাস্তা, হোটেল, বাড়ির মেঝে ও দেওয়ালে চওড়া ফাটল দেখা দিচ্ছে। যেকোনও সময় তলিয়ে যাওয়ার দিন গুনছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

1 / 10
প্রথমে ৬০৩টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল। দু'দিন আগেই একটি  পরিত্যক্ত মন্দির একটি বাড়ির ছাদে ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে ভয়ে সেই বাড়িতে ঢুকতে পারেননি কেউ। ফুটপাতই এখন তাঁদের অস্থায়ী ঠিকানা। সোমবার আরও ৬৮ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিক ওদিক সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৬৭৮টি বাড়িতে ফাটল নজরে এসেছে। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

প্রথমে ৬০৩টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল। দু'দিন আগেই একটি পরিত্যক্ত মন্দির একটি বাড়ির ছাদে ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে ভয়ে সেই বাড়িতে ঢুকতে পারেননি কেউ। ফুটপাতই এখন তাঁদের অস্থায়ী ঠিকানা। সোমবার আরও ৬৮ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিক ওদিক সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৬৭৮টি বাড়িতে ফাটল নজরে এসেছে। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

2 / 10
তবে প্রথম থেকেই তৎপর হয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। জোশীমাঠে বিপর্যয় শুরু হতেই রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা একাধিক বৈঠকে বসেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য নিজে গিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। সেখানে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাসিন্দারা। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

তবে প্রথম থেকেই তৎপর হয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। জোশীমাঠে বিপর্যয় শুরু হতেই রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা একাধিক বৈঠকে বসেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য নিজে গিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। সেখানে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাসিন্দারা। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

3 / 10
নিজেদের দুর্দশার কথা খুলে বলেন তাঁকেই। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, জোশীমঠকে বাঁচানো হবে। তবে তিনি বলেছেন, মানুষের প্রাণের মূল্য অনেক বেশি। তাই আগে বাসিন্দাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা করা হবে। সেখানে বাস্তুচ্যূতদের উদ্ধার করার জন্য কপ্টারও মোতায়েন রয়েছে। সেখান থেকে বাসিন্দাদের একে একে সরিয়ে অস্থায়ী শিবিরে রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৮২টি পরিবারকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে এনে ১৬টি অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে নিয়ে এসেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

নিজেদের দুর্দশার কথা খুলে বলেন তাঁকেই। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, জোশীমঠকে বাঁচানো হবে। তবে তিনি বলেছেন, মানুষের প্রাণের মূল্য অনেক বেশি। তাই আগে বাসিন্দাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা করা হবে। সেখানে বাস্তুচ্যূতদের উদ্ধার করার জন্য কপ্টারও মোতায়েন রয়েছে। সেখান থেকে বাসিন্দাদের একে একে সরিয়ে অস্থায়ী শিবিরে রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৮২টি পরিবারকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে এনে ১৬টি অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে নিয়ে এসেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

4 / 10
যোশীমঠে ফাটল বাড়ছে।

যোশীমঠে ফাটল বাড়ছে।

5 / 10
এদিকে জোশীমঠকে বসবাসের অযোগ্য বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। আর খুব শিগগির এলাকা খালি করার কাজ জারি রয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পুরো জোশী মঠ ধসে যাওয়ার আগে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

এদিকে জোশীমঠকে বসবাসের অযোগ্য বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। আর খুব শিগগির এলাকা খালি করার কাজ জারি রয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পুরো জোশী মঠ ধসে যাওয়ার আগে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

6 / 10
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

7 / 10
বর্তমানে তিন থেকে চারজন করে দল গঠন করে বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। এবং এরকম ৯ টি দল ঘৃরে ঘুরে সবথেকে বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে শনাক্ত করছে। হোটেল, বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ছবি এখন জোশীমঠ জুড়ে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার নিজের ভিটে ছেড়ে যেতে একেবারে প্রস্তুত নন। বাড়িতে সমীক্ষা করে লাল দাগ দিয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা। অর্থাৎ, বিপজ্জনক ক্য়াটাগরির মধ্যে পড়ছে সেই বাড়ি। কিন্তু তা ছেড়ে যেতে নারাজ ৭৮ বছররের লক্ষ্মীপ্রসাদ সতী। এরকম টুকরো টুকরো হৃদয় বিদারক ছবি এখন পাহাড়ের কোলে কোলে দেখা যাচ্ছে। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

বর্তমানে তিন থেকে চারজন করে দল গঠন করে বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। এবং এরকম ৯ টি দল ঘৃরে ঘুরে সবথেকে বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে শনাক্ত করছে। হোটেল, বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ছবি এখন জোশীমঠ জুড়ে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার নিজের ভিটে ছেড়ে যেতে একেবারে প্রস্তুত নন। বাড়িতে সমীক্ষা করে লাল দাগ দিয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা। অর্থাৎ, বিপজ্জনক ক্য়াটাগরির মধ্যে পড়ছে সেই বাড়ি। কিন্তু তা ছেড়ে যেতে নারাজ ৭৮ বছররের লক্ষ্মীপ্রসাদ সতী। এরকম টুকরো টুকরো হৃদয় বিদারক ছবি এখন পাহাড়ের কোলে কোলে দেখা যাচ্ছে। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

8 / 10
ফের জোশীমঠের বাড়িতে 
ফাটল।

ফের জোশীমঠের বাড়িতে ফাটল।

9 / 10
এদিকে সরকার মুখ ফেরায়নি রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। রাজ্য সরকারের এই গৃহহীন পরিবারকে আগামী ছয় মাস বাড়ি ভাড়া বাবদ ৪ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। তবে নগরায়ণের খেসারত গুনতে হচ্ছে এই সাধারণ মানুষগুলিকে। ১৯৭৬ সালেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, জোশীমঠের মোট আয়ু ১০০ বছর। তবে সেই ডেডলাইনের আগেই ৫০ বছরের মধ্যে জোশীমঠ ধূলিসাৎ হয়ে যাবে তা কল্পনা করতে পারেননি কেউই। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

এদিকে সরকার মুখ ফেরায়নি রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। রাজ্য সরকারের এই গৃহহীন পরিবারকে আগামী ছয় মাস বাড়ি ভাড়া বাবদ ৪ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। তবে নগরায়ণের খেসারত গুনতে হচ্ছে এই সাধারণ মানুষগুলিকে। ১৯৭৬ সালেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, জোশীমঠের মোট আয়ু ১০০ বছর। তবে সেই ডেডলাইনের আগেই ৫০ বছরের মধ্যে জোশীমঠ ধূলিসাৎ হয়ে যাবে তা কল্পনা করতে পারেননি কেউই। (ছবি সৌজন্যে: PTI)

10 / 10
Follow Us: