International Womens Day 2022: যুদ্ধক্ষেত্রে মহিলারা এখনও ব্রাত্য! ভারত-সহ কোন দেশের সেনাবাহিনীতে ‘নারীশক্তি’র জয়জয়কার, দেখুন ছবিতে…

Women in the army: 'তোরা যুদ্ধ করে করবি কি তা বল'... এমন সত্য বচন খুব কম সিনেমাতেই প্রকাশ পেয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমন গানের লাইন যেমন সত্য তেমনি সেনাবাহিনীদের কর্মদক্ষতা নিয়েও চলছে সমানে সমালোচনা।

| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2022 | 9:34 AM
রাশিয়ার সেনার অমানবিক আচরণ, ইউক্রেন  সেনার দেশের প্রতি ভালবাসার চিত্র সর্বত্র সামনে আসছে একের পর এক। যুদ্ধবিরতি হলেও যুদ্ধ কথাটাই এত বিশাল পরিধি নিয়ে বিস্তৃত যে সেখানে শান্তির একটি পালকও নড়তে অনুমতি চায়। তবুও সেই শান্তিই একমাত্র পরিত্রাতা হয়।

রাশিয়ার সেনার অমানবিক আচরণ, ইউক্রেন সেনার দেশের প্রতি ভালবাসার চিত্র সর্বত্র সামনে আসছে একের পর এক। যুদ্ধবিরতি হলেও যুদ্ধ কথাটাই এত বিশাল পরিধি নিয়ে বিস্তৃত যে সেখানে শান্তির একটি পালকও নড়তে অনুমতি চায়। তবুও সেই শান্তিই একমাত্র পরিত্রাতা হয়।

1 / 15
একটি শক্তিশালী দেশে কখন হয় জানেন? সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শন কেন করা হয়, জানা আছে? এই সেনাবাহিনীর মূল রন্ধ্রে মেয়েদের জায়গা কতটা মজবুত, সেই নিয়ে কারোর কৌতূহল আছে কি না জানা নেই, তবে নারীশক্তির যে দিন দিন ক্রমবর্ধমান তা বিশ্বের কয়েকটি দেশের মহিলা সেনাবাহিনীর চিত্র দেখলেই বুঝতে পারবেন।

একটি শক্তিশালী দেশে কখন হয় জানেন? সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শন কেন করা হয়, জানা আছে? এই সেনাবাহিনীর মূল রন্ধ্রে মেয়েদের জায়গা কতটা মজবুত, সেই নিয়ে কারোর কৌতূহল আছে কি না জানা নেই, তবে নারীশক্তির যে দিন দিন ক্রমবর্ধমান তা বিশ্বের কয়েকটি দেশের মহিলা সেনাবাহিনীর চিত্র দেখলেই বুঝতে পারবেন।

2 / 15
এতদিন পর্যন্ত শুধু অফিসার পদে মহিলা নিয়োগ করত ভারতীয় সেনা। কিন্তু তা ছিল বেশ কম। পদাতিক বাহিনী, যুদ্ধ ক্ষেত্র, সাঁজোয়া বাহিনী, যন্ত্রনির্ভর বাহিনীতে মহিলাদের স্থান ছিল না। ছবিটা পাল্টায় ২০১৯ সালে। প্রথম সামরিক বাহিনীতে মহিলা নিয়োগে সম্মতি জানায় ভারতীয় সেনা।

এতদিন পর্যন্ত শুধু অফিসার পদে মহিলা নিয়োগ করত ভারতীয় সেনা। কিন্তু তা ছিল বেশ কম। পদাতিক বাহিনী, যুদ্ধ ক্ষেত্র, সাঁজোয়া বাহিনী, যন্ত্রনির্ভর বাহিনীতে মহিলাদের স্থান ছিল না। ছবিটা পাল্টায় ২০১৯ সালে। প্রথম সামরিক বাহিনীতে মহিলা নিয়োগে সম্মতি জানায় ভারতীয় সেনা।

3 / 15
ভারতীয় সেনায় মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি দেরিতে হলেও, এই বিষয়ে সবার প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল ত্রিপুরা সরকার। তাদের আধাসামরিক বাহিনীতে স্থান পেয়েছিলেন মহিলারা।

ভারতীয় সেনায় মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি দেরিতে হলেও, এই বিষয়ে সবার প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল ত্রিপুরা সরকার। তাদের আধাসামরিক বাহিনীতে স্থান পেয়েছিলেন মহিলারা।

4 / 15
শুধু ভারত নয়, বিশ্বের কোনও সেনাবাহিনীতেই মহিলাদের সুযোগ ছিল সিকিভাগেরও কম। আর যুদ্ধের জন্য মহিলাদের ভূমিকার কথা তো কেউ ভাবতেই পারে না। যোদ্ধার বেশে পুরুষকেই মানায়। জীবনযুদ্ধে মহিলারা ঢাল-বন্দুক নিয়ে দাঁড়াতে সক্ষম, কিন্তু দেশের জন্য বীর হয়ে প্রাণত্য়াগ করার সাহস যে একজন মহিলার থাকতে পারে, তা কস্মিনকালে কোনও পুরুষের মাথায় আসেনি।

শুধু ভারত নয়, বিশ্বের কোনও সেনাবাহিনীতেই মহিলাদের সুযোগ ছিল সিকিভাগেরও কম। আর যুদ্ধের জন্য মহিলাদের ভূমিকার কথা তো কেউ ভাবতেই পারে না। যোদ্ধার বেশে পুরুষকেই মানায়। জীবনযুদ্ধে মহিলারা ঢাল-বন্দুক নিয়ে দাঁড়াতে সক্ষম, কিন্তু দেশের জন্য বীর হয়ে প্রাণত্য়াগ করার সাহস যে একজন মহিলার থাকতে পারে, তা কস্মিনকালে কোনও পুরুষের মাথায় আসেনি।

5 / 15
 আর সেই ধারাই এখন ঘড়ির কাটার মত বদলে যাচ্ছে। চিত্রটা ধীরে ধীরে বদল হতে শুরু করেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও মেয়েদের ভূমিকা যে সীমিত ছিল. তার পর্দা উন্মুক্ত হতে শুরু করেছে। যার ফলে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অন্তত প্রশ্ন জাগতে বাধ্য, কোন দেশের মহিলা সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী।

আর সেই ধারাই এখন ঘড়ির কাটার মত বদলে যাচ্ছে। চিত্রটা ধীরে ধীরে বদল হতে শুরু করেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও মেয়েদের ভূমিকা যে সীমিত ছিল. তার পর্দা উন্মুক্ত হতে শুরু করেছে। যার ফলে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অন্তত প্রশ্ন জাগতে বাধ্য, কোন দেশের মহিলা সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী।

6 / 15
চিন- পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর দুই-তৃতীয়াংশ তার স্থল বাহিনী নিয়ে গঠিত। যা অন্যান্য সামরিক বাহিনীর সমতুল্য। ইউএস কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের মতে, এর পরিমাণ ১.৬ মিলিয়ন, যা চিনের বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর দ্য সোশ্যাল স্টাডিজ রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের সেনাবাহিনীতে মহিলা সেনার সংখ্যা প্রায় ৪.৫ শতাংশ। চৈনিক মিলিটারি অনলাইন দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালের প্রায় পাঁচ শতাংশের একটু কম দেখানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে চিনের সেনাবাহিনীতে শুধুমাত্র ৫৩ হাজার মহিলাকর্মী রয়েছে।

চিন- পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর দুই-তৃতীয়াংশ তার স্থল বাহিনী নিয়ে গঠিত। যা অন্যান্য সামরিক বাহিনীর সমতুল্য। ইউএস কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের মতে, এর পরিমাণ ১.৬ মিলিয়ন, যা চিনের বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর দ্য সোশ্যাল স্টাডিজ রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের সেনাবাহিনীতে মহিলা সেনার সংখ্যা প্রায় ৪.৫ শতাংশ। চৈনিক মিলিটারি অনলাইন দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালের প্রায় পাঁচ শতাংশের একটু কম দেখানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে চিনের সেনাবাহিনীতে শুধুমাত্র ৫৩ হাজার মহিলাকর্মী রয়েছে।

7 / 15
ভারত- দ্য ইকনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের সেনাবাহিনীর মোট ১.২ মিলিয়ন সক্রিয় কর্মী রয়েছে। নয়াদিল্লি টেলিভিশন বলছে, সেনাবাহিনীর তিন শতাংশ অর্থাত্‍ ৩৬ হাজার মহিলা। মহিলারা শুধুমাত্র নন-কমব্যাট, সাপোর্ট রোলস যেমন চিকিত্‍সা ও নজিস্টিক অবস্থানে কাজ করেন। হিন্দুস্থান টাইমস অনুযায়ী, ১৮৮৮ সালে ব্রিটিশ রাজের সময় ভারতীয় সামরিক নার্সিং সার্ভিসের মাধ্যমে মহিলারা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে শুরু করে। ১৯১৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত, ভারতীয় সেনা নার্সরাপ্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কাজ করেছিল। যেখানে প্রায় ৩৫০জন নার্স মারা যায়, বন্দি হোন ও পরবর্তীকালে নিখোঁজ বলে ঘোষণা করা হয়।

ভারত- দ্য ইকনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের সেনাবাহিনীর মোট ১.২ মিলিয়ন সক্রিয় কর্মী রয়েছে। নয়াদিল্লি টেলিভিশন বলছে, সেনাবাহিনীর তিন শতাংশ অর্থাত্‍ ৩৬ হাজার মহিলা। মহিলারা শুধুমাত্র নন-কমব্যাট, সাপোর্ট রোলস যেমন চিকিত্‍সা ও নজিস্টিক অবস্থানে কাজ করেন। হিন্দুস্থান টাইমস অনুযায়ী, ১৮৮৮ সালে ব্রিটিশ রাজের সময় ভারতীয় সামরিক নার্সিং সার্ভিসের মাধ্যমে মহিলারা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে শুরু করে। ১৯১৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত, ভারতীয় সেনা নার্সরাপ্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কাজ করেছিল। যেখানে প্রায় ৩৫০জন নার্স মারা যায়, বন্দি হোন ও পরবর্তীকালে নিখোঁজ বলে ঘোষণা করা হয়।

8 / 15
দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় এই প্রথম মহিলাদের নিয়োগ করল ভারতীয় সেনা। ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে ও প্রয়োজনে যুদ্ধ ক্ষেত্রেও লড়াই করবেন তাঁরা। অসম রাইফেলসের আধাসামরিক বাহিনীর প্ল্যাটুন থেকে মহিলা সেনানীদের নিয়োগ করা হয়েছে।  ভারত সরকারের সেনাবাহিনীর নিয়োগ পরিষেবা অনুসারে ১৯৯২ সালে নন-মেডিক্যাল ভূমিকায় মহিলাদের প্রথম সেনাবাহিনীতে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে লাইবেরিয়াতে মোতায়েন করা ১০৫ জন ভারতীয় মহিলার সমন্বয়ে জাতিসংঘের জন্য প্রথম সর্ব-মহিলা শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠিত হয়েছিল।

দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় এই প্রথম মহিলাদের নিয়োগ করল ভারতীয় সেনা। ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে ও প্রয়োজনে যুদ্ধ ক্ষেত্রেও লড়াই করবেন তাঁরা। অসম রাইফেলসের আধাসামরিক বাহিনীর প্ল্যাটুন থেকে মহিলা সেনানীদের নিয়োগ করা হয়েছে। ভারত সরকারের সেনাবাহিনীর নিয়োগ পরিষেবা অনুসারে ১৯৯২ সালে নন-মেডিক্যাল ভূমিকায় মহিলাদের প্রথম সেনাবাহিনীতে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে লাইবেরিয়াতে মোতায়েন করা ১০৫ জন ভারতীয় মহিলার সমন্বয়ে জাতিসংঘের জন্য প্রথম সর্ব-মহিলা শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠিত হয়েছিল।

9 / 15
উত্তর কোরিয়া-  ফোর্সেস নেটওয়ার্ক তথ্য় অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার উত্তর কোরিয়ান পিপলস গ্রাউন্ড ফোর্সে ৯,৫০,০০ সক্রিয় সেনাকর্মী রয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় পুরুষদের জন্য সর্বজনীন নিয়োগ এবং মহিলাদের জন্য নির্বাচনী নিয়োগ রয়েছে। মহিলারা সর্বোচ্চ ছয় বছর এবং পুরুষরা দশ বছরের জন্য চাকরি করেন। যার কারণে মহিলারা সেনাবাহিনীর প্রায় ৪০ শতাংশ, পরিমাণ অনুযায়ী আনুমানিক ৩৮০,০০জন।

উত্তর কোরিয়া- ফোর্সেস নেটওয়ার্ক তথ্য় অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার উত্তর কোরিয়ান পিপলস গ্রাউন্ড ফোর্সে ৯,৫০,০০ সক্রিয় সেনাকর্মী রয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় পুরুষদের জন্য সর্বজনীন নিয়োগ এবং মহিলাদের জন্য নির্বাচনী নিয়োগ রয়েছে। মহিলারা সর্বোচ্চ ছয় বছর এবং পুরুষরা দশ বছরের জন্য চাকরি করেন। যার কারণে মহিলারা সেনাবাহিনীর প্রায় ৪০ শতাংশ, পরিমাণ অনুযায়ী আনুমানিক ৩৮০,০০জন।

10 / 15
পাকিস্তান- ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস) বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৫৬০,০০০ সেনা রয়েছে। তার মধ্যে মোট ৬৫৩,৮০০ জন সক্রিয় সামরিক বাহিনীর অন্তর্গত। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ২০১৮ সালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীতে ৬,০০০ মহিলার রিপোর্ট করেছে। রিক্রুটদের বেশিরভাগই চিকিত্‍সার কাজ এবং ডেস্কের চাকরিতে পাঠানো হয়। কারণ দেশে স্থল যুদ্ধে নারীদের নিষিদ্ধ। এক্সট্রাপোলেশন অনুসারে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে প্রায় ৪,৩০০ জন মহিলা কর্মরত আছেন।

পাকিস্তান- ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস) বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৫৬০,০০০ সেনা রয়েছে। তার মধ্যে মোট ৬৫৩,৮০০ জন সক্রিয় সামরিক বাহিনীর অন্তর্গত। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ২০১৮ সালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীতে ৬,০০০ মহিলার রিপোর্ট করেছে। রিক্রুটদের বেশিরভাগই চিকিত্‍সার কাজ এবং ডেস্কের চাকরিতে পাঠানো হয়। কারণ দেশে স্থল যুদ্ধে নারীদের নিষিদ্ধ। এক্সট্রাপোলেশন অনুসারে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে প্রায় ৪,৩০০ জন মহিলা কর্মরত আছেন।

11 / 15
দক্ষিণ কোরিয়া- ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই) অনুসারে, ৬,৯১৫জন মহিলা রিপাবলিক অফ কোরিয়া আর্মিতে কাজ করেন। ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের তথ্য অনুসারে, মোট ৫৬০,০০০ সৈন্য রয়েছে৷ ইউপিআইয়ের তথ্য অনুসারে, সরকার ২০২০ সালের মধ্যে সিনিয়র পদে কর্মরত মহিলাদের অনুপাতকে সাত শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছিল৷ বর্তমানে, তারা সিনিয়র সামরিক পদের ৫.৫ শতাংশে নিযুক্ত করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া- ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই) অনুসারে, ৬,৯১৫জন মহিলা রিপাবলিক অফ কোরিয়া আর্মিতে কাজ করেন। ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের তথ্য অনুসারে, মোট ৫৬০,০০০ সৈন্য রয়েছে৷ ইউপিআইয়ের তথ্য অনুসারে, সরকার ২০২০ সালের মধ্যে সিনিয়র পদে কর্মরত মহিলাদের অনুপাতকে সাত শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছিল৷ বর্তমানে, তারা সিনিয়র সামরিক পদের ৫.৫ শতাংশে নিযুক্ত করেছে।

12 / 15
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- GlobalSecurity.org- এর তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯ মিলিয়নের বেশি সক্রিয় সেনাকর্মী রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় একলক্ষের বেশি মহিলা সেনাকর্মী নিযুক্ত রয়েছে। যা প্রায় ১৬ শতাংশের সমান। ১৭৭৫ সাল থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত আমেরিকার বিপ্লব যুদ্ধের পর থেকেই মহিলারা মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজে যুক্ত থেকেছেন। যার মধ্য়ে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার ভূমিকাও রয়েছে। টাস্ক অ্যান্ড পারপাস আরও জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নন-কমব্যাট ভূমিকায় প্রায় ৪ লক্ষেরও বেশি মহিলা সেনাকর্মী কাজ করেছিলেন। হাজার হাজার মহিলা ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট হিসেবেও কাজ করেছিলেন। এর মধ্যে ৮৮জনকে বন্দি করা হয় ও ১৬জনকে যুদ্ধক্ষেত্রেই খুন করা হয়। ১৯৬২ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১১,০০০ মহিলা ভিয়েতনামে মোতায়েন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ১৯৯১ সালে ৪১,০০০ জন মহিলা সেনাকর্মীকে ইরাকে পাঠানো হয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- GlobalSecurity.org- এর তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯ মিলিয়নের বেশি সক্রিয় সেনাকর্মী রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় একলক্ষের বেশি মহিলা সেনাকর্মী নিযুক্ত রয়েছে। যা প্রায় ১৬ শতাংশের সমান। ১৭৭৫ সাল থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত আমেরিকার বিপ্লব যুদ্ধের পর থেকেই মহিলারা মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজে যুক্ত থেকেছেন। যার মধ্য়ে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার ভূমিকাও রয়েছে। টাস্ক অ্যান্ড পারপাস আরও জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নন-কমব্যাট ভূমিকায় প্রায় ৪ লক্ষেরও বেশি মহিলা সেনাকর্মী কাজ করেছিলেন। হাজার হাজার মহিলা ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট হিসেবেও কাজ করেছিলেন। এর মধ্যে ৮৮জনকে বন্দি করা হয় ও ১৬জনকে যুদ্ধক্ষেত্রেই খুন করা হয়। ১৯৬২ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১১,০০০ মহিলা ভিয়েতনামে মোতায়েন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ১৯৯১ সালে ৪১,০০০ জন মহিলা সেনাকর্মীকে ইরাকে পাঠানো হয়েছিল।

13 / 15
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ১৯৭০সালে জাহাজে কর্মরত মহিলাদের উপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে। ২০১৩ সালে ইউনিয়ন জানিয়েছে, স্থলযুদ্ধে মহিলাদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ২-১৬ সালে সমস্ত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থান দেওয়া হবে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে এটা পরিস্কার, পুরুষ ও মহিলাদের বরাবর মনে করেই এক অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শুধু তাই নয়, নারীশক্তি যে কতটা মূল্যবান, তা দেশরক্ষায় সামরিক মিশমেও এক অনন্য অবদান রাখে।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ১৯৭০সালে জাহাজে কর্মরত মহিলাদের উপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে। ২০১৩ সালে ইউনিয়ন জানিয়েছে, স্থলযুদ্ধে মহিলাদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ২-১৬ সালে সমস্ত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থান দেওয়া হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে এটা পরিস্কার, পুরুষ ও মহিলাদের বরাবর মনে করেই এক অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শুধু তাই নয়, নারীশক্তি যে কতটা মূল্যবান, তা দেশরক্ষায় সামরিক মিশমেও এক অনন্য অবদান রাখে।

14 / 15
রাশিয়া - আইআইএসএস-এর মতে, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ১০ শতাংশ নারী। রাশিয়ান ফেডারেশনের গ্রাউন্ড ফোর্স হিসাবে পরিচিত, সেনাবাহিনীর মোট ৩৫০.০০০ ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অন্তর্গত। এর মানে হল যে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে প্রায় ৩৫ হাজার মহিলা কাজ করতে পারে।

রাশিয়া - আইআইএসএস-এর মতে, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ১০ শতাংশ নারী। রাশিয়ান ফেডারেশনের গ্রাউন্ড ফোর্স হিসাবে পরিচিত, সেনাবাহিনীর মোট ৩৫০.০০০ ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অন্তর্গত। এর মানে হল যে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে প্রায় ৩৫ হাজার মহিলা কাজ করতে পারে।

15 / 15
Follow Us: