আজকাল মানুষের শরীরে হাজারো সমস্যা। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল- এই সব কিছুর জন্য দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা। অধিকাংশ বাড়িতেই সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই।
ঠিক সময়ে খাবার না খেলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসতে পারে। যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে হজমের নানাবিধ সমস্যা এবং ওজন বেড়ে যাওয়া। শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলেই একাধিক রোগ সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
আর তাই বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন কিছু টিপস। এই টিপস মেনে চললে জীবনে কোনওদিন কোনও সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষতেও পারবে না। তাঁরা সকলেই বলছেন, সকাল ৭-৮ টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলুন। সকালে ৫ টায় ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কাজ আর শরীরচর্চা দিয়ে দিন শুরু হোক।
ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে অন্তত ১ থেকে ২ গ্লাস জল গুণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেলা ১০টার পর ব্রেকফাস্ট কখনই করবেন না। দুপুরের খাবার ১২.৩০ থেকে ২ টোর মধ্যে খান। বিকেল ৪ টে-তে গিয়ে দুপুরের খাবার খেলে তা শরীরের জন্য একেবারেই ঠিক নয়।
ব্রেকফাস্ট থেকে লাঞ্চ- এর মধ্যে ৪ ঘন্টা ব্যবধান রাখতেই হবে। প্রয়োজনে পাঁচ ঘন্টা করতে পারেন। তেমনই দুপুর আর রাতের খাবারের মধ্যেও সেই গ্যাপ মেনে চলতে হবে।
ডিনার রাত ৮ টার মধ্যে সারুন। এরপর আর কোনও কিছু খাওয়া চলবে না। রাতের খাবার ৯ টার পর একেবারেই খাবেন না। মনে রাখবেন ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘন্টা আগে খাবার খেতে হবে।
খাবারের এই সময়সীমা মেনে চললে হজম হবে খুব ভাল। গ্যাস, অম্বলের কোনও রকম সমস্যা আসবে না কোনওদিন। পেট পরিষ্কার থাকবে, কোষ্ঠকাঠিন্যও হবে না। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরা এই রুটিন অবশ্যই মেনে চলুন।
এর সঙ্গে মনে রাখবেন রাতে কোনও গুরুপাক খাবার চলবে না। মাছ, মাংসের কোনও পদ রাতে নয়। হজমের সমস্যা হতে পারে। হজম না হলে শরীরে একটা অস্বস্তি লেগেই থাকবে আর সেখান থেকেও ওজন বাড়তে পারে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে নিজেকেই।