এই বর্ষায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি কিংবা পেটখারাপের সমস্যা লেগেই রয়েছে। সেই সঙ্গে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া তো আছেই।
ভাইরাল জ্বর এখন প্রায় সব পাড়াতেই। এর জন্য দায়ী আবহাওয়া। গরম, ঘামে কখনও বা বৃষ্টিতে ভিজে অফিসে আসতে হচ্ছে। এরপর সারাদিন এসির মধ্যে থাকতে হচ্ছে।
এই করতে গিয়ে ঠান্ডা অনেক বেশি বসছে। একবার কফ, সর্দির সমস্যা হলে তা আর সারতেই চাইছে না। এই ঠান্ডা জমে থেকে কোল্ড অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে। তবে বুকে সর্দি-কফ বসে থাকা মোটেই ঠিক ব্যাপার নয়।
জ্বরের পর খাওয়ার ইচ্ছে একেবারেই থাকে না। বলা ভাল মুখে কোনও কিছু রোচে না। না খেলে শরীর আরও বেশি দুর্বল হয়ে যায়। আর তাই এই সময় এমন কিছু খেতে হবে যা শরীরের জন্য ভাল।
এক্ষেত্রে বানিয়ে নিতে পারেন এই থাই কারি। জ্বরের মুখে খেতে ভাল লাগবে। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন। এই কারি বানাতে লাগছে কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ধনেপাতা, গুঁড়ো মশলা।
সাতটা কাঁচালঙ্কা চিরে নিন। পেঁয়াজ বড় বড় টুকরো করে কেটে নিন। আদা, রসুন কুচি করে রাখুন। একটা থালায় ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, সাদা মরিচ এসব গুছিয়ে রাখুন হাতের সামনে। মিক্সিতে ধনেপাতা সহ পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা, গোলমরিচ, ধনে, জিরে দিয়ে ভাল করে বেটে নিতে হবে। এবার গ্যাসে একটা প্যান বসিয়ে প্রথম এককাপ নারকেল দুধ দিতে হবে
আঁচ কমিয়ে দুধ ঘন করে নিতে হবে। নাড়তে নাড়তে দুধ ঘন হয়ে যাবে। দুধ ঘন হয়ে এলে বাটা মশলা এতে দিয়ে নাড়িয়ে নিন। মশলা একটু কষে এলে বড় টুকরো করে রাখা গাজর, বেবিকর্ন, লেমনগ্রাস, ব্রকোলি, হলুদ বেলপেপার, মাশরুম দিয়ে ঢেকে দিন। এতে সবজি থেকে জল ছাড়বে।
এবার একবাটি জল দিয়ে দিন এর মধ্যে। এবার তা আরও কিছুক্ষণ ঢাকা রেখে এক চামচ চিনি দিয়ে আবারও ঢাকা দিয়ে রাখুন। এবার একগ্লাস দুধ দিয়ে ফুটতে দিন। নামানোর আগে গন্ধরাজ লেবুর পাতা ধুয়ে ঢাকা দিন। গরম ভাতের সঙ্গে এই থাই কারি খেতে খুবই ভাল লাগে।