Nageshwar Jyotirlinga: মহাদেবকে ‘নাগেশ্বর’ কেন বলা হয়? জানুন দশম জ্যোতির্লিঙ্গের আলৌকিক ঘটনা
Sawan 2023: রুদ্র সংহিতায় শিবকে 'দারুকবনা নাগেশম' হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মনে করা হয় এমন দর্শন করলে সমস্ত পাপের অবসান হয়। নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের অলৌকিক ও আশ্চর্য কিছু তথ্য জেনে নিন এখানে...

শিব পুরাণ অনুসারে, শ্রাবণ মাসে ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ স্মরণ ও দর্শন করলেই ভক্তের সমস্ত কষ্ট দূর হয়। কথিত আছে, নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের দশম স্থানে রয়েছে। রুদ্র সংহিতায় শিবকে ‘দারুকবনা নাগেশম’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মনে করা হয় এমন দর্শন করলে সমস্ত পাপের অবসান হয়। নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের অলৌকিক ও আশ্চর্য কিছু তথ্য জেনে নিন এখানে…
নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ গুজরাটের দ্বারকা ধাম থেকে ১৭ কিমি দূরে অবস্থিত। নাগেশ্বর অর্থাত্ সাপের দেবতা। জন্মকুণ্ডলীতে সাপের দোষ থাকলে ধাতুর তৈরি সাপ নিবেদন করলে সাপের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের কাহিনি
কিংবদন্তি অনুসারে, দ্বারকা নামে একটি রাক্ষসী ছিল। দ্বারকা বনে প্রবেশ করতে দেওয়া না হলে তিনি কঠিন তপস্যা করে দেবী পার্বতীকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দেবী পার্বতী দ্বারকাকে বর চাইতে অনুরোধ করলে তিনি বলেন দ্বারকা বলেন ভালো কাজের দন্য রাক্ষসীদের ওই বনে যেন প্রবেশে বাধা না দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত ওই বনে ছিল বিভিন্ন ঐশ্বরিক গাছ।
দেবী পার্বতী রাক্ষসীর তপস্যায় সন্তুষ্ট হলে তিনি দ্বারকা বনে প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার পরই অঘটন ঘটে। বর পাওয়া মাত্রই দ্বারকা ও অন্যান্য অসুররা দেবতাদের কাছ থেকে ওই স্বর্গীয় বন ছিনিয়ে নেয়। সেই বনে সুপ্রিয়া নামে এক শিবভক্ত ছিলেন যিনি দ্বারকাকে বন্দী করেছিলেন। এরপরে, সুপ্রিয়া শিবের কাছে তপস্যা করে রাক্ষসকূলকে ধ্বংস করার বর চেয়ে বসেন।
দেবী সুপ্রিয়া ভগবান শিবের কাছে তপস্যা করে রাক্ষসদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ও ধ্বংস করার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। ভগবান শিব তার পরম ভক্তকে রক্ষা করার জন্য ঐশ্বরিক আলোর আকারে একটি বিল থেকে আবির্ভূত হন। মহাদেব অসুরদের বিনাশ করেন। সুপ্রিয়া সেই জ্যোতির্লিঙ্গের যথাযথ পূজা করেছিলেন, ভগবান শিবকে সেই স্থানে অবস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। ভগবান শিব তাঁর ভক্তের অনুরোধ গ্রহণ করে সেখানে বসতি স্থাপন করেন। এভাবে জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে ভগবান শিবকে ‘নাগেশ্বর’ বলা হয়।





