Vastu Tips: গরমে আরাম পেতে ঘরে রেখেছেন মাটির কলসি! সুখ-সমৃদ্ধি ফেরাতে বাস্তুমতে রাখুন সঠিক জায়গায়
Vastusashtra: বাস্তুশাস্ত্র মতে, সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বজায় রাখতে ঘরের কোন দিকে মাটির কলসি রাখবেন, তা জানা উচিত। বাস্তুশাস্ত্রে সবকিছুকে সঠিক পথে রাখার নিয়ম দেওয়া হয়েছে।
গরমে ঠান্ডা জলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই এখনও অনেক বাড়িতেই মাটির পাত্রে জল রাখার রীতি রয়েছে। অধিকাংশের বাড়িতে ফ্রিজ থাকলেও মাচির পাত্রের ঠান্ডা ও সুমিষ্ট জল গরমের তাপদাহে শরীরকে আরও তাজা ও সুস্থ রাখে। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, মাটির পাত্রের জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভাল উপায়। সব রকম উপাদানের দিক থেকেও মাটির কলসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গরমের দিনে আপনি যদি ঠাণ্ডা জলের জন্য পাত্র ব্যবহার করেন, তাহলে কিছু বাস্তু নিয়ম মেনে চলা উচিত। বাস্তু অনুযায়ী, জল ভর্তি মাটির পাত্রে অত্যন্ত শুভ। শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। তাই বাস্তুশাস্ত্র মতে, সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বজায় রাখতে ঘরের কোন দিকে মাটির কলসি রাখবেন, তা জানা উচিত। বাস্তুশাস্ত্রে সবকিছুকে সঠিক পথে রাখার নিয়ম দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতেও ফ্রিজের পরিবর্তে পাত্রের জল পান করতে পছন্দ করেন অনেকেই। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে এখনও পানীয় জলের জন্য মাটির কলসি বা হাঁড়ি ব্যবহার করা হয়। মাটির কলসিতে জল পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। বাস্তুমতেও এর উপকারিতা ও নিয়ম রয়েছে, সেগুলি জেনে নিন এখানে…
আর্থিক উন্নতি
উত্তর দিককে ঈশ্বরের দিক হিসাবে মনে করা হয়। তাই এই দিকে পাত্র রাখলে বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়। ফাটল ধরা মাটির পাত্র ব্যবহার কখনও করবেন না। গৃহশান্তির জন্য অশুভ হিসেবে ধরা হয়। তাই অবিলম্বে মাটির পাত্র বদলে ফেলা উচিত।
প্লাস্টিকের কভার
পাত্র ঢেকে রাখার জন্য প্লাস্টিকের ঢাকনা ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। তার বদলে একটি মাটির ঢাকনা বা প্লেট ব্যবহার করতে পারেন। বাস্তুমতে এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। মাটির কলসি বা পাত্র ব্যবহার করার সময় মনে রাখবেন যে ওই কলসিতে কখনও জলের ঘাটতি না থাকে। কখনও খালি রাখবেন না। পাত্র খালি রাখা উচিত নয়, বিশেষ করে রাতের দিকে তো একেবারেই নয়।
মাটির কলসি কেনার সময় কী কী মাথায় রাখবেন
মটকা কেনার সময় এর উপাদানের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এমন একটি পাত্র কেনার চেষ্টা করুন, যা পোড়ামাটির তৈরি। কোনও প্রকার ধাতু ব্যবহার করা উচিত নয়। কখনও কখনও পাত্রের উপরে ধাতব পলিশ বা পেইন্ট করা থাকে, যা বাস্তু ও স্বাস্থ্যের দিক থেকেও ভাল বলে মনে করা হয় না।