Mahakumbh Mela 2025: যত বড় ভিআইপিই হোক, কুম্ভ মেলায় ‘নো এন্ট্রি’! কারণ জানলে চমকে যাবেন
Mahakumbh Mela 2025: সাধারণ মানুষ থেকে সাধু, সন্ন্যাসীতে ভরে যায় প্রয়াগরাজ। কিন্তু স্বাধীন ভারতে প্রথম কবে কোথায় কুম্ভ মেলা হয়েছিল জানেন?
আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫। চলবে আগামী ৪৫ দিন। ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রিতে রাজকীয় স্নানের মাধ্যমে শেষ হবে কুম্ভ মেলার। এই যাবৎকাল সময়ে লাখ লাখ ভক্তদের আগমন ঘটে প্রয়াগরাজ সঙ্গমে। সাধারণ মানুষ থেকে সাধু, সন্ন্যাসীতে ভরে যায় প্রয়াগরাজ। কিন্তু স্বাধীন ভারতে প্রথম কবে কোথায় কুম্ভ মেলা হয়েছিল জানেন?
কুম্ভ মেলার শুরু স্বাধীনতার পূর্বেই। স্বাধীনতার আগেও, কুম্ভ, অর্ধ কুম্ভ এবং মাঘ মেলার আয়োজন করেছিল ব্রিটিশ সরকার। সেই সময় ইংল্যান্ড থেকে কর্মকর্তারা এসে মেলার ব্যবস্থাপনা ক্ষতিয়ে দেখতেন। তবে যদি স্বাধীন ভারতে প্রথম কুম্ভ মেলা আয়োজিত হয়েছিল প্রয়াগরাজে ১৯৫৪ সালে। যে মেলায় উপস্থিৎ ছিলেন স্বয়ং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু।
মেলা শুরু হওয়ার বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছিল আয়োজন পর্ব। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদও এই কুম্ভ মেলায় অংশ নেন। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু মৌনী অমাবস্যার দিনে সঙ্গমের তীরে স্নানও করেছিলেন।
এই খবরটিও পড়ুন
তবে এই সময় ঘটে এক সাংঘাতিক দুর্ঘটনা। সেই সময়ে কুম্ভ মেলায় অনেকেই হাতি নিয়ে যেতেন। সেই চল ছিল। কিন্তু হঠাৎ একটি হাতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেই হাতির দাপাদাপিতে প্রাণ হারান ৫০০ জন ভক্ত। এই ঘটনার পর থেকেই কুম্ভ মেলায় হাতির প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পর জওহরলাল নেহেরু প্রধান স্নান উৎসবের সময় ভিআইপিদেরও সঙ্গমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। আজও, অর্ধ কুম্ভ, কুম্ভ এবং মহা কুম্ভের প্রধান স্নান উৎসবে ভিআইপিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত এই কুম্ভে ১২ কোটি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
স্বাধীনতার পরে প্রথম কুম্ভ মেলা, তার আয়োজনে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে তাই জন্য খোদ উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজে তদারকি করেন প্রস্তুতি। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্ত নিজের পায়ে হেঁটে, কখনও নৌকায় চড়ে পরিদর্শন করেন মেলা স্থল। শোনা যায়, সেই সময়ে কুম্ভ মেলায় আসা ভক্তদের চিকিৎসার জন্য সঙ্গমের তীরে সাতটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল। কেউ হারিয়ে গেলে পুনরায় একত্রিত করতে এবং জনতাকে জানানোর জন্য লাউডস্পিকারও ছিল। এছাড়াও, রাতের বেলা যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তাই, আলোর জন্য কুম্ভ মেলা প্রাঙ্গণে রাস্তায় ১০০০টি বাতি স্থাপন করা হয়েছিল। এমন ছিল স্বাধীন প্রথম কুম্ভ মেলা।