Harshit Rana: ‘ভিডিয়ো কল না করলে…’ ভালো পারফরম্যান্সের রহস্য ফাঁস হর্ষিত রানার

Watch Video: গৌতম গম্ভীর হেড কোচ হওয়ার পর ভারতের ওডিআই টিমে ডাক পেয়েছেন হর্ষিত রানা। কয়েকদিন আগে এক পডকাস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, এক ভিডিয়ো কল না করলে, কখনও তিনি কোনও ম্যাচ খেলতে যান না। সেই বিশেষ ব্যক্তি কে, জানেন?

Harshit Rana: 'ভিডিয়ো কল না করলে...' ভালো পারফরম্যান্সের রহস্য ফাঁস হর্ষিত রানার
Harshit Rana: 'ভিডিয়ো কল না করলে...' ভালো পারফরম্যান্সের রহস্য ফাঁস হর্ষিত রানার
Follow Us:
| Updated on: Aug 04, 2024 | 7:41 PM

কলকাতা: পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই। সকলের ক্ষেত্রেই কম-বেশি এটা সমান। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্ন দেখছে এক তরুণ তুর্কি। ২২ বছর বয়স তাঁর। ক্রিকেট তাঁর ধ্যানজ্ঞান। আর তাঁর কেরিয়ারের পিছনে রয়েছে বাবার বড় অবদান। ভারতীয় টিমে প্রথম বার ডাক পাওয়ার পর খুশিতে বাবাকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কথা হচ্ছে কেকেআরের তরুণ বোলার হর্ষিত রানাকে (Harshit Rana) নিয়ে। এখন নাইট তারকা রয়েছেন শ্রীলঙ্কায়। গৌতম গম্ভীর হেড কোচ হওয়ার পর ভারতের ওডিআই টিমে ডাক পেয়েছেন হর্ষিত। কয়েকদিন আগে এক পডকাস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, এক ভিডিয়ো কল না করলে, কখনও তিনি কোনও ম্যাচ খেলতে যান না। সেই বিশেষ ব্যক্তি কে, জানেন?

হর্ষিত রানার জীবনে তাঁর বাবার বড় অবদান রয়েছে। এ কথা তিনি নিজেই এক পডকাস্টে বলেছেন। ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর বাবার যোগ কোনও কালেই ছিল না। তাঁর বাবা ক্রিকেটারও নন। কিন্তু তিনি হর্ষিতের সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে নিজের কোচ। ছেলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে হর্ষিত রানার বাবা। এই প্রসঙ্গে নাইট তারকা বলেন, ‘আমি আজ যে জায়গায় আছি, বাবার জন্যই। বাবা যদি আমাকে তৈরি না করত, আমি এখানে পৌঁছাতাম না। আমি এমন বাচ্চা ছিলাম, যার পড়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। এখনও আমি যদি কোনও ম্যাচ খেলতে যাই, টিম বাস থেকে নেমেই বাবাকে ভিডিয়ো কল করি।’

বাবার দেওয়া প্রতিটি টিপস হর্ষিতের খুব কাজে লাগে। তাঁর কথায়, ‘বাবা কখনও ক্রিকেট খেলেনি। কিন্তু আমাকে যে বিষয়গুলো বোঝায়, তা সব সময় আমার জন্য ঠিক হয়। আমার শুরুর ৭-৮ বছরে বাবা যে ভাবে পাশে থেকেছিল, সেটা না করলে আমি হয়তো এই জায়গায় আসতেও পারতাম না। যখন শুরুর দিকে ক্রিকেট খেলতাম, আমি জানি কিছুই ভালো করতে পারতাম না। কিন্তু বাবা বরাবর আমাকে মোটিভেট করত। তা থেকে যে আত্মবিশ্বাস পেতাম আমি, সেটাই আমাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বাবাকে ছাড়া আমি কিছুই নই।’

কেকেআরের বোলার হর্ষিত জানান, তাঁর প্রত্যেক সময়ের হিসেব থাকে বাবার কাছে। তিনি বলেন, ‘আমি কখন কোথায় যাব, কোন সময় প্র্যাক্টিস করব, ম্যাচে কী করব সব নিয়ে বাবা কথা বলে। ম্যাচ ভালো হলে বাবা যেমন তা নিয়ে কথা বলে, তেমন আমি খারাপ পারফর্ম করলে বুঝিয়ে দেয় কোথায় ভুল ত্রুটি করেছি। কোচরা তো থাকেনই। কিন্তু ওই ম্যাচ খেলে রাতে রুমে ফিরে বাবার সঙ্গে কথা বলে যে শান্তি, তা আর কোনও কিছুর মধ্যে নেই। খারাপ খেললে বাবা বকে, ভালো খেললে বলে এটা ঠিক হয়েছে। পরের ম্যাচে এ ভাবেই খেলতে হবে। এক এক সময় মনে হয়, ম্যাচে খারাপ খেললাম এ বার বাবার বকুনি শুনতে হবে। আবার কখনও এটা মনে হয় যে, বাবা এ বার বুঝিয়ে দেবে ভুলটা কোথায় করেছি। আমার কেরিয়ারে মায়ের ভূমিকাও আছে। কিন্তু বাবার ভূমিকা বেশি। এটা মানতে কোনও দ্বিধা নেই আমার।’