T20I Record: এশিয়া কাপে রোহিতকে আউট করেছিলেন, টি-টোয়েন্টিতে বিরল নজির আয়ুষ শুক্লার
Rohit Sharma-Ayush Shukla: এশিয়া কাপে ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি রোহিত শর্মার উইকেট নিয়েছিলেন আয়ুষ। সে সময় তাঁর বয়স মাত্র ১৯। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো খেলার সুযোগ! তার উপর রোহিতের উইকেট। ম্যাচের পর বিশেষ উপহারও পেয়েছিলেন। সেই তরুণ পেসারই নজির গড়লেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত আয়ুষ শুক্লার অনন্য রেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় বোলার হিসেবে বিরল নজিরে নাম লেখালেন। ৪ ওভারের স্পেলে ৪টিই মেডেন! হংকংয়ের পেসার আয়ুষ শুক্লা এমন নজিরই গড়লেন। এশিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে এই নজির তাঁর। ২০২২ সালের এশিয়া কাপে ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি রোহিত শর্মার উইকেট নিয়েছিলেন আয়ুষ। সে সময় তাঁর বয়স মাত্র ১৯। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো খেলার সুযোগ! তার উপর রোহিতের উইকেট। ম্যাচের পর বিশেষ উপহারও পেয়েছিলেন। সেই তরুণ পেসারই নজির গড়লেন।
বছর দুয়েক আগের কথা। ২০২২ সালের এশিয়া কাপে ভারত-হংকং ম্যাচ শেষ হতেই ভারতীয় শিবিরে একটি অনুরোধ আসে। হংকংয়ের প্লেয়াররা ভারতীয় ড্রেসিংরুমে কিছুটা সময় কাটাতে এবং প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলতে চান। তাদের অনুরোধ ফেরানো হয়নি। প্রায় ১৫ মিনিট রোহিত, বিরাট, হার্দিক এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তির সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। ড্রেসিংরুম ছাড়ার আগে নিজেদের সই করা একটি ব্যাট ও জার্সি স্মারক হিসেবে ভারতীয় টিমকে দেন হংকং প্লেয়াররা। যেখানে লেখা ছিল, ‘অনেক ধন্যবাদ বিরাট। কয়েক প্রজন্মকে প্রেরণা জুগিয়েছেন আপনি। আপনার পাশে আছি, আগামীতে আপনি আরও অনেক কীর্তি গড়বেন।’
হংকং প্লেয়ারদের সেই বার্তা ফলেছিল সেই এশিয়া কাপেই। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর সেঞ্চুরির খরা চলছিল বিরাট কোহলির ব্যাটে। অবশেষে সেই টুর্নামেন্টে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিরাট কোহলির একমাত্র সেঞ্চুরি। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে। যৌথভাবে আয়োজন করবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। তারই যোগ্যতা অর্জন পর্ব চলছে। আর তাতে বিরল নজির ভারতীয় বংশোদ্ভূত আয়ুষ শুক্লার।
হংকং বনাম মঙ্গোলিয়া ম্যাচ। টস জিতে ফিল্ডিং নেয় হংকং। প্রতিপক্ষকে মাত্র ১৭ রানেই অলআউট করে তারা। পেসার আয়ুষ শুক্লা ৪ ওভারের মধ্যে ৪টিই মেডেন। বিনা রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেটও। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে কোটার ৪ ওভারই মেডেনের বিরল নজির ছিল কানাডার সাদ বিন জাফর ও নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসনের। এশিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে এই নজির আয়ুষের।