অবশেষে আইসিসির কোনও টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। তাও আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্ট। ২০১৭ সালের পর ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আয়োজক পাকিস্তান হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে হাইব্রিড মডেলে। ভারতের ম্যাচগুলি দুবাইতে। একটি সেমিফাইনাল এবং ভারত ফাইনালে উঠলে সেই ম্যাচও দুবাইয়ে। বাকি সব ম্যাচই পাকিস্তানে। আয়োজনের দিক থেকেও অবশ্য পরিস্থিতি সঙ্গীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। টিকিটের দামেও এত কার্পণ্য করতে হচ্ছে! এশিয়া কাপ থেকে শিক্ষা নিয়েই কি এমন সিদ্ধান্ত?
গত এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। যদিও হাইব্রিড মডেলেই হয়েছিল টুর্নামেন্ট। কিন্তু পাকিস্তানের ম্যাচেও সে দেশে গ্যালারি কার্যত শূন্য! যা অবাক করেছিল ক্রিকেট বিশ্বকেও। নিজের দেশের ম্যাচ দেখতেই যখন দর্শকরা মাঠে আসেন না, সেখানে বাকি ম্যাচে কী হবে! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একঝাঁক ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানে। তার মধ্যে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজও পূর্ণ করতে হবে। পাকিস্তানের তিনটি ভেনুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ হবে। সবচেয়ে কম টিকিটের দাম রাখা হয়েছে পাকিস্তানি টাকায় এক হাজার! শুনে মনে হতেই পারে, এতে চমকে যাওয়ার মতো কী রয়েছে?
সামনেই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে ভারতের। প্রথম টি-টোয়েন্টি ইডেন গার্ডেন্সে। টিকিটের ন্যুনতম দাম ৮০০ টাকা। মহম্মদ সামির কামব্যাক হতে চলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ইডেন গার্ডেন্স তাঁর ঘরের মাঠ। এ বছর ঘরের মাঠে ভারতের প্রথম ম্যাচ। টিকিট নিয়ে ধুন্ধুমার হবে এটাই প্রত্যাশিত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিটের দামের সঙ্গে এর পার্থক্য অবশ্য বিস্তর।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ম্যাচের টিকিটের ন্যুনতম দাম সে দেশের মুদ্রায় এক হাজার টাকা। ভারতীয় মুদ্রায় এর দাম মাত্র ৩১০ টাকা। ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের একটি ম্যাচেই যেখানে ৮০০ টাকার ন্যুনতম টিকিট, সেখানে আইসিসি টুর্নামেন্টের ম্যাচ দেখা যাবে এর অর্ধেকেরও কম দামে! সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে অবশ্য দুবাইয়ের ম্যাচ টিকিটের দাম উল্লেখ নেই বলেই জানানো হয়েছে।