IND vs BAN, 1st Test: ‘উইকেট না এলেও ধৈর্য হারায়নি দল’, জানালেন ভারতের বোলিং কোচ
প্রথম সেশনে কোনও উইকেট না পাওয়ার পর কী আলোচনা হয়েছিল ভারতীয় শিবিরে?
চট্টগ্রাম: অবশেষে চট্টগ্রাম টেস্টের ফয়সলা গড়াল পঞ্চম দিনে। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) বোলারদের কড়া টক্কর দিলেন জাকির হোসেনরা। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ভারতীয় বোলারদের বিক্রম দেখা যায়নি। উল্টে কুলদীপ-অক্ষরদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন বাংলাদেশের ওপেনাররা। চতুর্থ দিন দুই ওপেনার মিলে স্কোরবোর্ডে তোলেন ১২৪ রান। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে কোনও উইকেট পায়নি টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের শেষে ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামরে (Paras Mhambrey) জানান, প্রথম সেশনে ভারত সাফল্য না পেলেও, ধৈর্য্য হারায়নি। আর কী কী বললেন ভারতের বোলিং কোচ, তুলে ধরা হল TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
প্রথম সেশনে কোনও উইকেট না পাওয়ার পর কী আলোচনা হয়েছিল ভারতীয় শিবিরে? তা নিয়ে পরশ মামরে বলেন, “প্রথম সেশনের পরে আলোচনা হয়েছিল, আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা জানতাম উইকেট সহজ হয়ে যাবে এবং আমরা তা উপলব্ধিও করেছিলাম। আমরা বোলারদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ওরা বলেছিল যে এই উইকেট ব্যাট করার জন্য অনেক সহজ উইকেট। তাই আমরা জানতাম যে উইকেট পাওয়াটা কঠিন হবে এবং আমাদের ধৈর্য ধরতেই হবে। আর উইকেটের সুযোগ তৈরি করার জন্য সঠিক জায়গায় বল ফেলে যেতে হবে।”
মামরে আরও বলেন, “সময় যত এগিয়েছে, তাতে যা পারফরম্যান্স হয়েছে তাতে আমরা খুব খুশি। আমার মনে হয়, আমরা ছয় উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরেছি। আগামীকাল প্রথম সেশনে, কিছুই পরিবর্তন হবে না। আমাদের তখনও সঠিক জায়গায় বল করে যেতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে এবং সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে। সব মিলিয়ে বলব, আমরা যেভাবে বোলিং করেছি তাতে আমি খুশি।”
ভারতের বোলিং কোচের মতে, ভারতের বোলারদের ভালো মতো ব্যবহার করেছেন কেএল রাহুল। তাঁর কথায়, “অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে আমাদের সমর্থন করতে হবে। বোলারদের যেভাবে ব্যবহার করেছে কেএল রাহুল তা খুব ভালো। বল রিভার্স করার সময় ও জোরে বোলারদের ব্যবহার করেছিল, যা কাজে লেগেছে। যখন ও বুঝতে পারে যে জোরে বোলারদের স্পেল বেশি হচ্ছে, তখন ও স্পিনারদের নিয়ে আসে। তাই আমি মনে করি এর কৃতিত্ব ওকেই দেওয়া যায়। ও বোলারদের খুব ভালোভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করেছে।”
কুলদীপ যাদবের কামব্যাক নিয়ে পরশ বলেন, “ও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক কাজ করেছে। ওর বোলিং স্পিড নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। ও কঠোর পরিশ্রম করেছে। তার ফলটা পাচ্ছে। রান আপের অ্যাঙ্গেল নিয়েও ও কাজ করেছে। যা ওকে আগের থেকে বেশি জোরে দৌড়ে বল করতে সাহায্য করছে।”
কুলদীপ দীর্ঘদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেটে খেলেননি। তাঁকে এ ভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফর্মে ফিরতে দেখে খুশি মামরে। তিনি বলেন, “ওকে দেশের জন্য ভালো পারফরম্যান্স করতে দেখে খুব খুশি। গত কয়েক বছর ওর জন্য দুর্ভাগ্যজনক। হাঁটুর চোটে দল থেকে বাদ পড়ে ও। অস্ত্রোপচার করতে হয়, দলে ফিরে এসে নেটে চোট পায়। ওর ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। তাই ওকে এখন ভালো পারফর্ম করতে দেখে এবং কেরিয়ারের সেরা টেস্ট বোলিং করতে দেখে খুব খুশি।”