আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি। ক্যাপ্টেনের পজিশনকে দুর্দান্ত কাজে লাগালেন তিলক ভার্মা। গত দুই ম্যাচে চারে ব্য়াট করেছিলেন তিলক। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং অর্ডারে তাঁকে প্রোমোশন দেওয়া হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট সঞ্জু স্যামসন। তিনে সূর্যকুমারের জায়গায় নামেন তিলক। প্রথম ম্যাচে ক্যামিও ইনিংস খেলেছিলেন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে গড়পড়তা ইনিংস। তৃতীয় ম্যাচে প্রোমোশন পেতেই সেঞ্চুরির ইনিংস। রইলেন অপরাজিত। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ২২০ রানের বিশাল টার্গেট সেট ভারতের।
চাপের পরিস্থিতিতে ছিলেন ভারতের তরুণ বাঁ হাতি ওপেনার অভিষেক শর্মা। কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু এরপর আর ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছিলেন না। অবশেষে সেঞ্চুরিয়নে অনবদ্য একটা ইনিংস। হাফসেঞ্চুরি করেন অভিষেক। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিলক ভার্মার সঙ্গে জুটিতে ইনিংসের ভিত গড়ে দেন। তিলক-অভিষেক জুটিতে ৫২ বলে ১০৭ রান যোগ হয়। সেখান থেকেই বড় স্কোরের সম্ভাবনা ছিল।
অভিষেক ২৫ বলে ৫০ রানে ফিরলেও তিলক জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। হার্দিক পান্ডিয়া এ দিনও ভরসা দেখাতে পারেননি। রিঙ্কু সিংয়েরও টাইমিং ঠিকঠাক হচ্ছিল না। তবে তিলকের সঙ্গে ৩০ বলে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ রিঙ্কু। তিনি নিজে ফেরেন ১৩ বলে ৮ রানে। কেকেআরের আর এক তরুণ ক্রিকেটার রমনদীপ সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অ্যাকাউন্ট খোলেন প্রথম বলেই ছয় মেরে। ৬ বলে ১৫ রানের ক্য়ামিও ইনিংসে রান আউট হয়ে ফেরেন রমনদীপ। তিলকের ৫৬ বলে অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস। এ বার ভরসা বোলাররা। সিরিজ জেতার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচ জিততেই হবে ভারতকে।