
দুবাই: অপেক্ষার অবসান। ওডিআই ফরম্যাটে আইসিসি ট্রফির খরা কাটল ভারতের। ২০১৩ সালের পর ফের আইসিসি ট্রফি জিতল ভারত। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে সব ম্যাচ জিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যদিও ট্রফি জেতা হয়নি। তেমনই গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অর্থাৎ ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠলেও রানার্স হয়েছিল ভারত। গত বছর টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) খেতাব ভারতের। ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মতো সব ম্যাচ জিতেই ফাইনালে উঠেছিল টিম ইন্ডিয়া। এবার আর কোনও হতাশা নয়। ট্রফির উৎসবে মেতে সারা দেশ। রোহিতের নেতৃত্বে দ্বিতীয় আইসিসি ট্রফি ভারতের। ধোনির পর দেশের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে একাধিক আইসিসি ট্রফি। তেমনই প্লেয়ার হিসেবে চারটি করে আইসিসি ট্রফি রোহিত-বিরাটের।
অবসর নিয়ে নানা জল্পনা। সাংবাদিক সম্মেলেনে কী বললেন রোহিত শর্মা? বিস্তারিত পড়ুন : অবশেষে বড় ঘোষণা, চ্যাম্পিয়ন হয়ে অবসর নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা
মুখে নয়, ব্যাটেই জবাব দিলেন। সমালোচকদের বুঝিয়ে দিলেন তিনিই দক্ষ ক্যাপ্টেন। অধিনায়ক হিসেবে জোড়া ট্রফি, প্লেয়ার হিসেবে চারটি আইসিসি ট্রফি। এরপরও চেহারা নিয়ে সমালোচনা! জবাবটাও দুর্দান্ত। বিস্তারিত পড়ুন: ৯ মাসে জোড়া সন্তান! ‘মোটা’ হলেও কী যায় আসে রোহিতের?
ফাইনালের নায়ক তিনিই। অধিনায়কও। যদিও কৃতিত্ব নিতে নারাজ রোহিত শর্মা। কী বললেন ক্যাপ্টেন? বিস্তারিত পড়ুন: ‘ক্যাপ্টেন্স নক’, ফাইনালের সেরা হয়েও কাদের কৃতিত্ব দিলেন রোহিত শর্মা?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেতাব ভারতের। এই নিয়ে তৃতীয়বার। সারা দেশ উৎসবে মেতে। উচ্ছ্বাসে মাতলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বিস্তারিত পড়ুন: রোহিতদের জয়ে উচ্ছ্বসিত মোদী-শাহ-মমতা
স্নায়ুর চাপ সামলে খেতাব ভারতের। এই টুর্নামেন্ট সবচেয়ে বেশি বার জয়ের রেকর্ড। ধোনির পর দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে একাধিক আইসিসি ট্রফি রোহিত শর্মার। ম্যাচ রিপোর্ট বিস্তারিত: হিটম্যান শো-মিডল অর্ডারের দাপটে নিউজিল্যান্ডকে টেক্কা, বদলা নিয়েই চ্যাম্পিয়ন ভারত
সব মিলিয়ে আইসিসি ট্রফি জয়ের সংখ্যা চার! কী বলছেন কিং কোহলি? বিস্তারিত পড়ুন: সেরা ছেলেদের হাতেই রেখে যাব… চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিরাট কোহলি কী ইঙ্গিত করলেন?
ভারত দুর্দান্ত জায়গায় ছিল। কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হল সেট ব্যাটার অক্ষরের উইকেটে। অ্যাটাকিং খেলতে গিয়েই আউট। ক্রিজে রাহুলের সঙ্গে যোগ দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
ডট বলে চাপ তৈরির চেষ্টা। নিউজিল্যান্ডকে ব্রেক থ্রু দিলেন ক্যাপ্টেন মিচেল স্যান্টনার। শ্রেয়স আইয়ারকে ফেরালেন। দুর্দান্ত ক্যাচ রাচিন রবীন্দ্রর।
শ্রেয়স আইয়ার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন গত কয়েক বছর ধরেই। আরও একটা দুর্দান্ত ইনিংস খেলছেন। আগের বলেই বিশাল ছয় মারেন। এরপরই আরও একটা বড় শট খেলার চেষ্টা। হাতের ক্যাচ মিস কাইল জেমিসনের। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। মেডেন ওভারে আরও চাপ বাড়ে। রাচিন রবীন্দ্রকে স্টেপ আউট করে মারতে গিয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু বলের লাইন মিস করেন। ঠিক যেমন গ্রুপের ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনকে আউট করেছিলেন অক্ষর প্যাটেল।
আরও একটা অবিশ্বাস্য ক্যাচ গ্লেন ফিলিপসের। ১০৫ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙল ভারতের। মিচেল স্যান্টনারের বলে শর্ট মিড অফে লাফিয়ে এক হাতে অনবদ্য ক্যাচ। ফাইনালের মঞ্চে শুভমন ফিরলেন ৩১ রানে। ক্রিজে কিং কোহলি। যদিও ১ রানেই ফিরলেন কিং কোহলি। গ্যালারি স্তব্ধ। পরপর ২ উইকেট হারানোয় টিমেও অস্বস্তি।
হাফসেঞ্চুরির পথে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। এবারের টুর্নামেন্টে তাঁর সর্বাধিক স্কোর ছিল ৪১। সেটা পেরিয়ে গিয়েছেন। রোহিতের আর ৩ রান চাই হাফসেঞ্চুরির জন্য।
নতুন নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই ওডিআইতে এই স্টাইলে খেলছেন রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লে-তে যত বেশি সম্ভব রান তোলাতেই নজর। এর জন্য তাঁর ইনিংস কত রানের হচ্ছে মাথাব্যথা নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালেও সেই রীতি বজায় রেখেছেন।
ভারতের টার্গেট সেট। কিন্তু অ্যাডভান্টেজ কাউকেই বলা যাচ্ছে না। সৌজন্যে দুবাইয়ের পিচের আচরণ। বিস্তারিত পড়ুন: ৪ ক্যাচ মিসের খেসারত! ফাইনালে মানসিকভাবে এগিয়ে গেল কিউয়িরা
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল চলছে দুবাইয়ে। ভারতের টার্গেট ২৫২। বিস্তারিত পড়ুন: মিনি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের কেন সাদা রংয়ের ব্লেজ়ার দেওয়া হয়?
ফাইনাল মানেই স্নায়ুর চাপ। আর দুবাইয়ের মন্থর পিচে টার্গেট ২৫২। পড়ুন বিস্তারিত: স্পিন দাপট, স্লগে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু সামির; ট্রফি জয়ে ভারতের চাই ২৫২
ভারতের যেমন চার স্পিনার, তেমনই নিউজিল্যান্ডেরও একই বিকল্প রয়েছে। স্পেশালিস্ট মিচেল স্যান্টনারের পাশাপাশি মাইকেল ব্রেসওয়েল ও গ্লেন ফিলিপস। সঙ্গে রাচিন রবীন্দ্রর কথাও ভুললে চলবে না।
ক্রমশ বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন সেট ব্যাটার ড্যারেল মিচেল। তাঁকে ফেরানোয় মরিয়া ছিল ভারত। সামিকে নতুন স্পেলে আনার পর প্রথম ওভারে ওঠে ১২ রান। পরের ওভারেও ১০ রান। এরপরই উইকেট। সামির স্লো ইয়র্কারের চেষ্টা। যদিও হাফভলি। মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিচেল। মিড অফ ক্লিয়ার করতে পারলে হয়তো বাউন্ডারিই ছিল।
এখনও চার ওভারের বেশি বাকি। সামিকে এনেও লাভ হচ্ছে না। নিউজিল্যান্ডের ২০০ পার। ক্রিজে দুই সেট ব্যাটার। অস্বস্তি বাড়ছে ভারতের।
অল্পের জন্য…। মাইকেল ব্রেসওয়েল জীবন পেলেন! বাঁ হাতি ব্রেসওয়েল। অফস্টাম্পের বাইরে বল পিচ করে হালকা টার্ন। উইকেটের উপর দিয়ে। হাইট কম থাকলে উইকেট ভেঙে দিতে পারত।
জুটিতে হাফসেঞ্চুরি পার গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারেল মিচেলের। দু-জনেরই ক্যাচ পড়েছিল। অবশেষে ব্রেক থ্রু দিলেন বরুণ চক্রবর্তী। গ্লেন ফিলিপসকে ক্লিন বোল্ড। হাফসেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন মিচেল। ক্রিজে যোগ দিলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল।
প্রথমে ক্যাপ্টেন, এরপর ভাইস ক্যাপ্টেন। চূড়ান্ত হতাশ রবীন্দ্র জাডেজা। ড্যারেল মিচেলের ক্যাচ ফেলেছিলেন রোহিত শর্মা। পরের ওভারেই গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ ফেললেন ভাইস ক্যাপ্টেন শুভমন গিল। মিচেল-ফিলিপস জুটি ক্রিজে থাকা মানে ২৭০ পেরিয়ে যেতে পারে কিউয়িরা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখন নিউজিল্যান্ডের হাতেই।
ড্য়ারেল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস জুটি ক্রমশ হাফসেঞ্চুরির দিকে। জুটি ভাঙার সুযোগ এসেছিল। শর্ট মিড অনে দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। ড্যারেল মিচেল সে সময় ৩৮ রানে। রোহিত লাফান। বল হাতে লাগলেও জমেনি।
আত্মবিশ্বাসী আবেদন জাডেজা ও টিমের। শেষ মুহূর্তে রিভিউ নষ্ট নয়। কিন্তু কয়েক বলের ব্যবধানে আবারও আবেদন। এ বার অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেন। কিউয়ি ব্যাটার টম ল্যাথাম রিভিউ নেন। এ বার আর কোনও সুযোগ নেই। নিউজিল্যান্ডের রিভিউ নষ্ট।
পরপর ডট বল। প্রায় ৭ ওভার বাউন্ডার আসেনি। টম ল্যাথাম ও ড্যারেল মিচেল ক্রিজে পড়ে থেকে সিঙ্গল বের করার চেষ্টা করছেন। ভারতীয় স্পিনাররাও মিডল ওভারে চেপে ধরেছে। রান রেট নেমে এসেছে ৫-এর নীচে।
প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ হতেই বোলিংয়ে বদল করেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আর তাতেই সফল। জোড়া ক্যাচ মিস হয়েছিল রাচিনের। এরপর কুলদীপ বোলিংয়ে আসতেই সাফল্য। রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরান তারকা স্পিনার। ২৯ বলে ৩৭ রান করে মাঠ ছাড়লেন রাচিন। তিনি এই ম্যাচের আগে অবধি টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী ব্যাটার ছিলেন। এ বার তাঁকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে বিরাট কোহলির কাছে।
রাচিন রবীন্দ্রর ক্যাচ মিস করলেন শ্রেয়স আইয়ার। মিড উইকেট থেকে লং অনে দৌড়ে এসে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু শেষ বেলায় হাতের কাছে এসেও তা মিস করেন। এর আগে সামিও মিস করেন রাচিনের ক্যাচ।
৬.৩ ওভারে ডেলিভারির পর ক্যাচ ধরতে যান মহম্মদ সামি। সেই সময় হাতে লেগে যায় সামির। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফিজিয়োকে ডেকে পাঠান। এরপর বোলিং শুরু করলেও তাঁর চোখে মুখে অস্বস্তি দেখা যায়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে টস জিতলেন মিচেল স্যান্টনার। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন কিউয়িরা।
২৫ বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড এ বার ফের এই টুর্নামেন্টে ট্রফির শেষ লড়াইয়ের কিনারায় দাঁড়িয়ে দুটো দল। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে কী হয়েছিল ফলাফল?
পড়ুন বিস্তারিত – IND vs NZ, ICC Champions Trophy Final: ২৫ বছর পার… মরুশহরে কিউয়িদের বিরুদ্ধে বদলা নিতে মুখিয়ে মেন ইন ব্লু
আজ রবিবার তাঁর নেতৃত্বে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। তার আগে জেনে নিন আইসিসি ইভেন্ট এবং রোহিত শর্মার এক বিশেষ যোগ।
পড়ুন বিস্তারিত – Rohit Sharma: সবার উপরে হিটম্যান… আইসিসি টুর্নামেন্ট ও ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার কিস্সা
India vs New Zealand in Champions Trophy 2025 Prediction: প্রতি ম্যাচেই পিচে সামান্য বদল দেখা যাচ্ছে। যেমন গ্রুপ পর্বের ম্যাচের নিরিখে সেমিফাইনালে তুলনামূলক ব্যাটিংয়ের দিক থেকে ভালো পিচ ছিল। ম্যাচের আগের দিন ভারতের ভাইস ক্যাপ্টেন শুভমন গিল অবশ্য জানিয়েছেন, পিচের আচরণ গ্রুপ পর্বের মতোই।
পড়ুন বিস্তারিত – India vs New Zealand Final Match Preview: স্পিন বনাম কেন-রাচিন! নজরে সেই বাইশগজ, ভারতের বাজি রো-কো
দুবাইতে আর কিছুক্ষণ পর শুরু হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মেগা ফাইনাল। ভারতীয় সময় অনুসারে দুপুর ২.৩০ মিনিটে হবে টস।