শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। এ বার লক্ষ্য ওয়ান ডে সিরিজ। কলম্বোয় প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে টার্গেট ২৩১। কিন্তু ম্যাচের প্রথম অর্ধে কোচ গৌতম গম্ভীর এবং ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে চিন্তায় রাখল তিনটি বিষয়। পিচ, ফিল্ডিং এবং অবশ্যই স্লগ ওভার বোলিং। ভারতকে বরাবরই সমস্যায় ফেলে প্রতিপক্ষর লোয়ার অর্ডার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তেও তাই হল। মিস ফিল্ডিং, ক্যাচ মিস এই দুটি বাড়তি চিন্তা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চরিত আসালঙ্কা। তাদের পাঁচ প্রথম সারির পেসার নেই। অভিষেক হচ্ছে তরুণ পেসার মহম্মদ সিরাজের। স্পিনাররাই মূল ভরসা শ্রীলঙ্কার। প্রতিপক্ষকে দ্রুত অলআউট করার সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। তবে লোয়ার অর্ডারে মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ালেন দুনিথ ওয়েলালাগে। শুরুতেই অভিষ্কা ফার্নান্ডোর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ভারতীয় বোলাররা অবশ্য সেই চাপ কাজে লাগাতে পারেনি। স্পিনাররা ব্রেক থ্রু দিয়ে গেলেন। দলীয় ১০১ রানে পাথুম নিশাঙ্ক হাফসেঞ্চুরির অনবদ্য ইনিংসে পঞ্চম উইকেট হিসেবে ফেরেন। সেখান থেকে ৮ উইকেটে ২৩০ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম উইকেট জুটিতে যথাক্রমে ৪১, ৩৬, ৪৬ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। কেরিয়ারের প্রথম ওডিআই হাফসেঞ্চুরি দুনিথ ওয়েলালাগের। শেষ অবধি ৬৫ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার তিন স্পিনার রয়েছে। সঙ্গে পার্টটাইম বিকল্পও। টসের সময় নিজেই রোহিত শর্মা জানিয়েছিলেন, এই পিচে তাঁর প্রচুর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে কারণেই তিনি জানেন, ম্যাচ যত এগোবে পিচ স্লো হতে থাকবে। তাতে যে ব্যাটারদের সমস্যা বাড়বে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর আর এই ফরম্যাটে খেলেননি। ওয়ান ডে স্কোয়াডের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই দীর্ঘ দিন খেলার মধ্যে নেই। ফলে এই টার্গেটও কম বলা যায় না।