এ বার তোপ কেপির, অ্যাসেজ নিয়ে বাড়ছে অনিশ্চয়তা
অ্যাসেজ (Ashes) সিরিজ নিয়েই যখন প্রশ্ন, তখন নমনীয় হতে পারে অস্ট্রেলিয়া সরকার, এমনও বলছে। তবে, এখনও তেমন সঙ্কেত মেলেনি।
দুবাই: কোভিড (COVID-19) নিষেধাজ্ঞা আরও একবার চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। আর তা অ্যাসেজ (Ashes) সিরিজ শুরুর আগে রীতিমতো উত্তপ্ত করে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মহলকে। অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় বেশ কিছু ভারতীয় ক্রিকেটারদের তরফে শোনা গিয়েছিল, যেন চিড়িয়াখানায় আছেন তাঁরা। খাঁচা থেকে বেরিয়ে ম্যাচ খেলছেন। খেলা হয়ে গেলে আবার ফিরছেন খাঁচায়। কোভিড নিয়ে ওই দেশে এখনও ব্যাপক কড়াকড়ি। যা না তুললে অ্যাসেজ সিরিজের সময় ওই দেশে হয়তো অনেকেই যাবেন না। তবে, ক্রিকেটারদের তরফে নানা আপত্তি রয়েছে। প্রাক্তনরা সোচ্চার হয়েছেন এ নিয়ে।
কেভিন পিটারসেন (Kevin Pietersen) যেমন বলেই দিয়েছেন, ‘এই শীতে অন্তত আমার অ্যাসেজ সিরিজে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। যদি না কোয়ারান্টিন নিয়ম শিথিল করা হয়, আমার পরিবার যাতে নির্বিঘ্নে ওই দেশে যেতে পারে। প্লেয়াররাও কিন্তু দীর্ঘদিন বায়ো বাবলে রয়েছে। দীর্ঘদিন!’
পাঁচ ম্যাচের অ্যাসেজ শুরু হওয়ার কথা ৮ ডিসেম্বর। চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু ওই সিরিজ হবে না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের অনেক সিনিয়র প্লেয়ারই বয়কট করতে পারেন এ বারের অ্যাসেজ সিরিজ। জটিলতা কাটাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতিমধ্যে কথা বলেছেন, যাতে ক্রিকেটারদের পরিবার নিয়ে অ্যাসেজ খেলতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তাতেও জটিলতা কাটবে, এমন আশা করা হচ্ছে না।
কোভিড ছড়াতে শুরু করার সময় থেকেই এ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয় সারা অস্ট্রেলিয়ায়। বর্ডার সিল করে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রেও জারি করা হয় নানা বিধিনিষেধ। কড়া ও বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনের নিয়মও বলবৎ রয়েছে। ঘটনা হল, সারা বিশ্বের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে নিয়ম শিথিল হতে শুরু করেছে। ইংল্যান্ড আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। কিন্তু বিদেশিদের কাছে অস্ট্রেলিয়া এখনও লকডাউনের মোডে। দেশের জনগণ যত্রতত্র যাওয়ার অনুমতি পেলেও বিদেশিদের সে ছাড় নেই। অস্ট্রেলিয়া সফরকারী টিমগুলো এ নিয়ে বারবার অভিযোগও তুলেছিল। ভারতীয় বোর্ড বিরাটদের সফরের রীতিমতো সোচ্চার হয়েছিল এ নিয়ে।
অ্যাসেজ সিরিজ নিয়েই যখন প্রশ্ন, তখন নমনীয় হতে পারে অস্ট্রেলিয়া সরকার, এমনও বলছে। তবে, এখনও তেমন সঙ্কেত মেলেনি।