LSG Retention Plan: প্ল্যানে নেই লোকেশ রাহুল! ‘চোটপ্রবণ’ পেসারের সঙ্গে যাঁরা LSG-র তালিকায়
IPL 2025 Mega Auction: মর্নি মর্কেল তাঁকে প্রস্তুত করেন। ২০২২ সাল থেকে টিমের সঙ্গে থাকলেও অবশেষে গত সংস্করণে অভিষেক হয়েছে মায়াঙ্কের। পরপর দু-ম্যাচে সেরার পুরস্কারও জিতেছেন। ফের চোটে ছিটকে গিয়েছেন। তাঁর এই চোটপ্রবণতাই রিটেন করার ক্ষেত্রে বড় ভাবনা। তার মধ্যে গম্ভীরের পাশাপাশি মর্নি মর্কেলও আর লখনউ শিবিরে নেই।
হাতে আর মাত্র ‘আড়ই’ দিন। আগামী আইপিএলের রিটেনশন তালিকা জমা দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির। ৩১ অক্টোবর ডেডলাইন। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই নানা অঙ্ক কষতে হচ্ছে। এ বার মেগা অকশন। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির পার্সও বাড়ানো হয়েছে। তাতেও অবশ্য স্বস্তি নেই। অনেক টিমের কাছেই ভালো আনক্যাপড প্লেয়ার নেই। আর অনেকের কাছে ক্যাপড প্লেয়ার রাখতে গেলে পার্সের বেশির ভাগ অংশই ফুরিয়ে যাবে। একই ভাবনা লখনউ সুপার জায়ান্টস শিবিরেও। কাদের রাখতে পারে লখনউ?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০২২ সংস্করণে অভিষেক হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। তাঁদের প্রথম সই করানো প্লেয়ার লোকেশ রাহুল। তাঁর নেতৃত্বে প্রথম দু-বারই প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছিল লখনউ। গত মরসুমে প্লে-অফে যেতে ব্যর্থ এলএসজি। টিম হিসেবে ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। তবে সবচেয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে। বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিল হায়দরাবাদ। ম্যাচ শেষ হতেই ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলকে প্রকাশ্যে কথা শোনান কর্ণধার। পরে সব মিটমাটও হয়। কলকাতায় এসে কর্ণধারের সঙ্গে মিটিংও করে গিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। তারপরও মনে করা হচ্ছে, তাঁকে রিটেন করবে না লখনউ। লোকেশ রাহুল নিজেও থাকতে চাইবেন কিনা, সেটাও বড় প্রশ্ন।
লোকেশ রাহুলের স্টপগ্যাপে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিপার-ব্যাটার নিকোলাস পুরান। এ বার তাঁকেই ফুল টাইম ক্যাপ্টেন করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুরানের পাশাপাশি রিটেন করা হতে পারে লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোইকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ হোক কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। যখনই সুযোগ পেয়েছেন, পারফর্ম করেছেন রবি বিষ্ণোই। তবে রাজধানী এক্সপ্রেস মায়াঙ্ক যাদবকে রিটেন করা নিয়ে প্রবল ভাবনায় লখনউ।
এই খবরটিও পড়ুন
এক্সপ্রেস গতির পেসার মায়াঙ্ক যাদবকে লখনউতে নিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। মর্নি মর্কেল তাঁকে প্রস্তুত করেন। ২০২২ সাল থেকে টিমের সঙ্গে থাকলেও অবশেষে গত সংস্করণে অভিষেক হয়েছে মায়াঙ্কের। পরপর দু-ম্যাচে সেরার পুরস্কারও জিতেছেন। ফের চোটে ছিটকে গিয়েছেন। তাঁর এই চোটপ্রবণতাই রিটেন করার ক্ষেত্রে বড় ভাবনা। তার মধ্যে গম্ভীরের পাশাপাশি মর্নি মর্কেলও আর লখনউ শিবিরে নেই। এ বার আসছে টাকার অঙ্কও।
মায়ঙ্ক যাদব আনক্যাপড প্লেয়ার হলে লখনউ হয়তো খুব বেশি ভাবত না। সদ্য ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন মায়াঙ্ক। তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেকও হয়েছে। ফলে তাঁকে আর আনক্যাপড ক্যাটেগরিতে ৪ কোটিতে রাখা যাবে না। অন্তত ১১ কোটি দিয়ে রাখতে হবে। এরপরও পুরো টুর্নামেন্টে আদৌ কটা ম্যাচে পাওয়া যাবে, এই ভাবনা থাকছেই। বাংলাদেশ সিরিজের পর ফের চোটের কারণে বাইরে মায়াঙ্ক। ভাবনায় লখনউও।
আনক্যাপড প্লেয়ার ক্যাটেগরিতে অবশ্য লখনউয়ের বেশি কিছু ভাবনা নেই। পকেট-রকেট আয়ুষ বাদোনি এবং বাঁ হাতি পেসার মহসিন খানকে আনক্যাপড ক্যাটেগরিতে রিটেন করা কার্যত নিশ্চিত লখনউয়ের। মেগা অকশনেই বাকি টিম গুছিয়ে নেওয়ার প্ল্যান হতে পারে।