T20 World Cup 2022: ট্রফি উঠবে কার হাতে? ফাটাফাটি ফাইনালের অপেক্ষায় মেলবোর্ন
Melbourne: ফাইনালে সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে বৃষ্টিও। ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে-ও রাখা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে দু-দলের অন্তত ৫ ওভারের ইনিংস সম্পূর্ণ হলেও ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচের রেজাল্ট হত। ফাইনালের ক্ষেত্রে সেটি ১০ ওভার। বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে রোমহর্ষক একটা ফাইনাল দেখা যাবে এটুকু বলাই যায়।
মেলবোর্ন : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2022) শুরুর কিছুদিন পরের কথা। আন্ডারডগ হয়ে পড়ে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। সুপার টুয়েলভ পর্ব পেরিয়ে সেমিফাইনালে ওঠাই দায় ছিল পাকিস্তানের। ভারতের কাছে হারের পর জিম্বাবোয়ের কাছেও হার, খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়েছিল তাদের। সুপার টুয়েলভ পর্বের শেষ দিনের শুরু হয়েছিল অঘটনে। নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সুযোগ কাজে লাগায় পাকিস্তান (Pakistan)। বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল তারা। সেমিফাইনালে গত বারের রানার্স এবং এ বারের গ্রুপ টপার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল। পরিস্থিতি খানিকটা শোচনীয় ছিল ইংল্য়ান্ডের (England) কাছেও। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়া, আয়ারল্যান্ডের কাছে হার। ফেভারিট তকমা হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। অথচ ফাইনালে নামছে টেনেটুনে পাশ করা পাকিস্তান-ইংল্যান্ডই। ফাইনালের আগে পরিস্থিতি কী? তুলে ধরল TV9Bangla।
কয়েক মাস আগের কথা। পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কখনও পাকিস্তান জিতছে, কখনও ইংল্যান্ড। সিরিজের ফয়সালা হয় শেষ ম্যাচেই। নানা চড়াই উতরাই দেখা গিয়েছে সেই সিরিজে। শেষ অবধি ইংল্যান্ড সিরিজ জিতলেও, কতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, দু-দেশের ক্রিকেটাররাই জানেন। এ বার কোনও সিরিজ নয়। একটাই সুযোগ। দু-দলের কাছেই দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব সেরা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক ম্যাচেই ফয়সালা হবে। কারা এগিয়ে! ক্রিকেট অঘটনের খেলা। টি-টোয়েন্টিতে আরও অনেক বেশি। কোনও দলকেই এগিয়ে পিছিয়ে রাখা যায় না। তবে অভিজ্ঞতা এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের জেরে ভগ্নাংশ হলেও এগিয়ে ইংল্যান্ড।
পাকিস্তান শিবিরে পুরো টুর্নামেন্টে যে সমস্যা দেখা গিয়েছে, তা হল টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। বাবর আজম-মহম্মদ রিজওয়ান রান না পেলেই চাপে পড়ছিল পাকিস্তান ব্যাটিং লাইন আপ। সেমিফাইনালে দু-জনই অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন। ব্যাটিংয়ে আর এক জনের কথা আলাদা করে বলতে হয়। মহম্মদ হ্যারিস। রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। হঠাৎ পাওয়া সুযোগ দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছেন এই ব্যাটার। পাকিস্তানের বোলিং নিয়ে অবশ্য নতুন করে বলার নেই। বিশেষ করে গত দু-ম্যাচে শাহিন আফ্রিদির পারফরম্যান্স ভরসা দেবে পাকিস্তানকে।
ইংল্যান্ড টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে কিছুটা হলেও অগোছালো ছিল। টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে উন্নতি দেখা গিয়েছে। সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে জয়। জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলস জুটির অনবদ্য ব্যাটিং। বাকিদের নামতেই হয়নি। একদিক থেকে এটা যেমন আত্মবিশ্বাসের, তেমনই কিছুটা আত্মতুষ্টিরও হতে পারে। মিডল অর্ডার গত ম্যাচে পরীক্ষার সামনে পড়েনি। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ অনেক বেশি শক্তিশালী। বাটলার-হেলস জুটি রান না পেলে কিছুটা হলেও চাপে পড়তে পারে ইংল্যান্ড।
ফাইনালে সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে বৃষ্টিও। ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে-ও রাখা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে দু-দলের অন্তত ৫ ওভারের ইনিংস সম্পূর্ণ হলেও ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচের রেজাল্ট হত। ফাইনালের ক্ষেত্রে সেটি ১০ ওভার। বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে রোমহর্ষক একটা ফাইনাল দেখা যাবে এটুকু বলাই যায়।