Wriddhiman Saha: ‘ঋদ্ধির মন্তব্যে আমি আহত হইনি’, মুখ খুললেন দ্রাবিড়
বয়স কি ঋদ্ধির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াল? দ্রাবিড়ের উত্তর, 'বয়সকে আমরা প্রাধান্য দিই না। কিন্তু একটা সময়ের পর নির্বাচকরাও ভাবতে শুরু করে, কখন তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হবে।'
কলকাতা: ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) বিস্ফোরণের পর মুখ খুললেন ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। রবিবার সিরিজ শেষ হওয়ার পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে ধেয়ে এল ঋদ্ধি প্রসঙ্গ। শনিবারই শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ার পর বাংলার উইকেটকিপার বলেছিলেন, ‘দঃ আফ্রিকা সিরিজের পরই রাহুল ভাই আমাকে বলেছিল, ভবিষ্যতে আমাকে আর ভারতীয় টিমের জন্য ভাবা হবে না। ঘুরিয়ে হয়তো অবসর নিতে বলেছে। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যত দিন শরীর দেবে, খেলব।’ সঙ্গে জুড়ছেন, ‘অনেকেই এমন আছে, যাদের বয়স হয়েছে, তবু খেলছে। নির্বাচকরা হয়তো ভেবেছেন, আমাকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে দেখে নেওয়া উচিত। নতুন প্রতিভা দেখে নিতে চাইছে হয়তো।’
যে প্রসঙ্গে দ্রাবিড় বলেন, ‘এ বছর আমাদের মাত্র ৩টে টেস্ট রয়েছে। ঋষভ পন্থ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। এই সময়ে একজন তরুণ উইকেটকিপারকে তুলে আনতে চাইছি আমরা। তবে তার জন্য ঋদ্ধির উপর আমার যা অনুভূতি আছে তা শেষ হয়ে যাবে না।ওর পারফরম্যান্সকে আমি সম্মান জানাই।’ দ্রাবিড় যোগ করে বলেন, ‘ঋদ্ধি সংবাদমাধ্যমকে যা বলেছে তাতে আমি আহত হইনি। ওর সম্মান আর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ওকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমার মনে হয় ও সততা আর স্বচ্ছতা পাওয়ার যোগ্য। সত্যিটা ওর জানা উচিত ছিল। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি এ ভাবে প্রকাশ্যে আসবে তা ভাবিনি। সমস্ত ক্রিকেটারদের সঙ্গেই আমার খোলামেলা কথা হয়। এমনকি ১১ জনের দল বেছে নেওয়ার সময়ও আমি অথবা রোহিত সবার সঙ্গে কথা বলি। তবে সব কথাই যে ক্রিকেটাররা মানতে পারবে তা নয়। সুযোগ না পেলে হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই আমি এসবে আহত হইনা। কারণ সত্য কঠিন হলেও সেটাকে মেনে নিতে হয়। কার্পেটের তলায় লুকিয়ে রাখা যায় না। আমি চাই আমার দলে স্বচ্ছতা বজায় থাকুক।’
বয়স কি ঋদ্ধির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াল? দ্রাবিড়ের উত্তর, ‘বয়সকে আমরা প্রাধান্য দিই না। কিন্তু একটা সময়ের পর নির্বাচকরাও ভাবতে শুরু করে, কখন তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: Wriddhiman Saha: ঋদ্ধি ইস্যুতে নীরব সৌরভ, মুখ খুলল সিএবি
আরও পড়ুন: India vs West Indies: ভেঙ্কি-সূর্যের তান্ডবে ইডেন ভারতেরই দখলে