কলকাতা: রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফিনিশেস ইন স্টাইল… চিপক টেস্টে ব্যাটে-বলে তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখে এ কথা বলতেই হচ্ছে। দেশের মাটিতে ভারত অপ্রতিরোধ্য। তা আরও একবার প্রমাণিত হল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চিপক টেস্টে টিম ইন্ডিয়া (India vs Bangladesh) চতুর্থ দিন কখন জিতবে, সেটা দেখতেই রবি-সকালে ক্রিকেট প্রেমীরা টেলিভিশনের সামনে বসে পড়েছিলেন। সকাল সকাল প্রথম ঘন্টায় সাকিব আল হাসান ও ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুটা ভালো করেছিলেন। কিন্তু যে টিমে রয়েছেন অশ্বিন, জাডেজার মতো বোলাররা সেখানে প্রতিপক্ষ আর কতক্ষণ টিকতে পারে! সাড়ে তিন দিনেই বাংলাদেশকে ওড়াল রোহিত ব্রিগেড।
চিপকের প্রতিটা কর্নার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জানা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন অশ্বিন। বল হাতে অবশ্য সাফল্য পাননি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। তবে বল হাতে বাংলাদেশকে তছনছ করার পণ করে নিয়েছিলেন তিনি। ৩৮ বছর বয়সে প্রথম ভারতীয় বোলার যিনি টেস্টে ৫ উইকেট নিলেন। অবশ্য ফাইফারে থেমে থাকেননি চেন্নাইয়ের ছেলে অশ্বিন। ২১ ওভার বল করে ৮৮ রানের বিনিময়ে শেষ অবধি ৬টি উইকেট তুলে নেন তিনি।
চেন্নাই টেস্ট জয়ের জন্য বংলাদেশের সামনে ৫১৫ রানের টার্গেট ছিল। তৃতীয় দিন ৪ উইকেটে ১৫৮ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জিততে হলে চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ৩৫৭ রান তুলতে হত শান্তদের। বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন শেষ অবধি চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। চতুর্থ দিন ভারতকে প্রথমে সাকিবের উইকেট তুলে দেন অশ্বিন। ২৫ রানে ফেরেন সাকিব। এরপর অশ্বিন ও জাডেজা মিলে বাংলাদেশকে শেষ করে দেন। সাকিবের পর মিরাজের উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। এরপর শান্তর উইকেট নিজের নামে করেন জাডেজা। ৮২ রান করেন বাংলাদেশের নেতা। অশ্বিনের এই ম্যাচে ষষ্ঠ শিকার হন তাসকিন আহমেদ। আর বাংলাদেশের শেষ উইকেটটি তুলে নেন রবীন্দ্র জাডেজা।
এই নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টানা হাফ ডজন টেস্ট জিতল ভারত। পাকিস্তানকে তাদের দেশের মাটিতে হারিয়ে ভারত সফরে এসেছে বাংলাদেশ। শান্তর দল আত্মবিশ্বাসী ছিল, টিম ইন্ডিয়াকেও তারা ভারতের মাটিতে হারাতে পারবে। কিন্তু কোথায় কী! উল্টে পাল্টে গেল সাকিবদের সব হিসেব। চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের সামনে ৫১৫ রানের পাহাড় প্রমাণ টার্গেট ছিল। যা পূরণ করতে হিমশিম খেল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৪ রানে গুটিয়ে গেল শান্তর দল। ফলে ২৮০ রানের বড় জয় টিম ইন্ডিয়ার। সেই সঙ্গে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল রোহিত ব্রিগেড।