কলকাতা: গডস প্ল্যান দিয়ে শুরু, আর গডস প্ল্যানেই শেষ… রিঙ্কু সিং ভারতের ড্রেসিংরুমে এটাই বলেছেন। ‘গডস প্ল্যান বেবি’ এই ডায়ালগ এখন ভারতীয় ক্রিকেটে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নেপথ্যে রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। বিরাট কোহলিকেও টি-২০ বিশ্বকাপের সময় ‘গডস প্ল্যান বেবি’ বলতে শোনা গিয়েছিল। রিঙ্কু সিং যে ভারতের অন্যতম সেরা ফিল্ডার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জিম্বাবোয়ে সফরে তাঁর অনবদ্য ফিল্ডিং দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। প্রতি ম্যাচে তাঁর ফিল্ডিংয়ে অবদান সকলের নজরে পড়েছে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৪-১ ব্যবধানে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। আর সিরিজের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেয়েছেন রিঙ্কু সিং।
বিসিসিআইয়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় রিঙ্কু সিংকে সেরা ফিল্ডারের মেডেল তুলে দেওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায় শুভদীপ ঘোষ, ভারতের ফিল্ডিং কোচ কিছু বলেন। প্রথমে একটি মোবাইলে ভারতের সদ্য প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের একটি ভিডিয়ো বার্তা দেখান ভারতের বর্তমান ফিল্ডিং কোচ। যেখানে টি দিলীপ সকলের ফিল্ডিংয়ের প্রশংসা করেন। এরপর শুভদীপ ঘোষ ঘোষণা করেন, সিরিজের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পাচ্ছেন রিঙ্কু সিং। তিনি সেই মেডেল পরিয়ে দিতে বলেন, এই সিরিজে ভারতের হেড কোচ ভিভিএস লক্ষ্মণকে। শুভদীপ ঘোষ নাম শুনলেই বাংলার ক্রিকেটার মনে হতে পারে। তিনি হলেন অসমের প্রাক্তন ক্রিকেটার। অসমের পাশাপাশি তিনি রেলওয়েজের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ১৭টি এফসি ও ১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন শুভদীপ।
ড্রেসিংরুমে লক্ষ্মণ সেরা ফিল্ডারের মেডেল রিঙ্কুকে দেওয়ার পর সতীর্থরা তাঁকে কিছু বলতে বলেন। লাজুক রিঙ্কু বলতে থাকেন, কী আর বলব! এরপর একটি চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে প্রথমেই রিঙ্কু সিং বলেন, ‘গডস প্ল্যান। সকলের সঙ্গে খেলে দারুণ লেগেছ। এটা আমার চতুর্থ বা পঞ্চম সিরিজ। ভালো লেগেছে। আমি ব্যাটিং, ফিল্ডিং দুটোই দারুণ ভালোবাসি। উপভোগ করি। মজাও করি।’ এরপর শেষেও গডস প্ল্যান বলে চেয়ার থেকে নামেন তিনি।
Straight from Harare! 📍
A special video message followed by the Fielding Medal 🏅 Ceremony!
Class, Smiles & Generosity All Around! ☺️
Subhadeep Ghosh 🤝 T Dilip#TeamIndia | #ZIMvIND | @VVSLaxman281 | @rinkusingh235 pic.twitter.com/GBrtU85kUF
— BCCI (@BCCI) July 15, 2024
বিরাট কোহলিকে ফিল্ডিংয়ে যদি এই প্রজন্মের কেউ টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তিনি রিঙ্কু সিং। তাঁদের একসঙ্গে ফিল্ডিং করতে কমই দেখা গিয়েছে। আফগান সিরিজে দেখা গিয়েছিল। লং অন ও লং অফে একে অপরকে পাল্লা দিতেন। একজনের বয়স (বিরাট কোহলির) ৩৫। আর একজনের জার্সি নম্বর ৩৫ (রিঙ্কু সিংয়ের)। দু’জন যেন প্রতি ম্যাচেই ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সেরাটা ছাপিয়ে যেতে চান। অনেক সময় তাঁদের দেখে মনে হয় সহজ ক্যাচ নিয়েছেন তাঁরা। আদপে সেই সব ক্যাচ সহজ হয় না। বিরাট-রিঙ্কুরা ফিল্ডিং অনুশীলন করে, ক্যাচ অনুশীলন করে নিজেদের সেই জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন।