India vs South Africa: দুরন্ত বিরাটেও অন্ধকার কাটল না ভারতের
বিরাট যে দিন খেলেন, সে দিন সব আলো কেড়ে নেন। কেপ টাউনে একদিকে সত্যিই আলো জ্বালালেন বিরাট। উল্টো দিকে শুধুই অন্ধকার। কিছুটা লড়াই করে চেতেশ্বর পূজারা ৪৩ করে ফিরলেন। বাকিরা ব্যস্ত থাকলেন আসা-যাওয়ার পথে। বিরাট একদিকে দাঁড়িয়ে না থাকলে ২২৩ তুলতে পারত না ভারত।
ভারত ২২৩ (৭৭.৩ ওভার) দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭-১ (৮ ওভার)
কেপ টাউন: ২৬ মাসের খরা বোধহয় কেটেই যেত। কভার ড্রাইভ, ব্যাকফুট ড্রাইভে দেখা যাচ্ছিল তেমনই ঝলক। ২৬ মাসের অপেক্ষার অবসান হতে পারত। ধৈর্যশীল দেখাচ্ছিল। পেস আর বাউন্সের সঙ্গে মানিয়েও নিয়েছিলেন চমত্কার। ২০১৯ সালের নভেম্বরে কলকাতায় শেষবার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন, এই কথা ক’টা আর বলতে হত না। বরং বলা হত, ২৬ মাস পর সেঞ্চুরিতে ফিরলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কাগিসো রাবাডার লাফিয়ে ওঠা বলটা যদি না তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে কিপার কাইল ভেরিনের দস্তানায় জমা না পড়ত। ২৬ মাস আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে ১৩৬ করেছিলেন বিরাট। ২৬ মাস পর টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেললেন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন। ৭৯ করে ফিরলেন ভিকে।
Virat Kohli’s cover drives today ?#WTC23 | https://t.co/Wbb1FE1P6t pic.twitter.com/0est8vxNnQ
— ICC (@ICC) January 11, 2022
বিরাট যে দিন খেলেন, সে দিন সব আলো কেড়ে নেন। কেপ টাউনে একদিকে সত্যিই আলো জ্বালালেন বিরাট। উল্টো দিকে শুধুই অন্ধকার। কিছুটা লড়াই করে চেতেশ্বর পূজারা ৪৩ করে ফিরলেন। বাকিরা ব্যস্ত থাকলেন আসা-যাওয়ার পথে। বিরাট একদিকে দাঁড়িয়ে না থাকলে ২২৩ তুলতে পারত না ভারত। সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট জিতে দুরন্ত শুরু করেছিল রাহুল দ্রাবিড়ের টিম। কিন্তু জো’বার্গে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন দেখিয়েছেন ডিন এলগাররা। সিরিজ জিততে হলে কেপ টাউন টেস্ট পকেটে পুরতেই হবে ভারতকে। কিন্তু স্কোর বোর্ডের রুগ্নতা বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেনি বিরাটের টিম। ভারতীয় পেসাররা যদি পাল্টা আঘাত না হানতে পারেন, তা হলে এই টেস্টের দ্বিতীয় দিন থেকেই চালকের আসনে বসে পড়বে প্রোটিয়ারা।
বিরাটের রানে ফেরা যেমন প্রশ্ন ছিল, তেমনই ছিল রাহানে ও পূজারাকে নিয়ে। আগের টেস্টে দু’জনেই হাফসেঞ্চুরি করে কেপ টাউন টেস্টের প্রথম একাদশে ঢুকতে পেরেছেন। পূজারাও তাও চেষ্টা করছেন। কিন্তু রাহানে? আগের টেস্টে যথেষ্ট ভালো খেলা সত্ত্বেও হনুমা বিহারী বাদ পড়লেন টিম থেকে। কেন রাহানে নয়? এই প্রশ্ন কিন্তু জোরালো হচ্ছে। কোচ রাহুল বলেছেন, হনুমা-শ্রেয়সদের টিমে নিয়মিত হতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। রাহানের এই ফর্ম অব্যহত থাকলে খুব বেশি সময় লাগবে না।
শুরুতেই দুই ভারতীয় ওপেনার ফিরে যাওয়ার চাপটা আর নিতে পারেননি অন্যরা। লোকেশ রাহুল ১২ ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল ১৫ করেন। ২-৩৩ থেকে টিম ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল বিরাটের হাত ধরে। ২০১ বলে ৭৯ রান করেছেন তিনি। ১২টা ও ১টা ছয় দিয়ে সাজিয়েছেন ইনিংস। রাহানে (৯), পন্থ ও অশ্বিনরা (২) কিছুটা ভরসা দিতে পারলে ৩০০-র কাছাকাছি যেতে পারত ভারত। পন্থ আগের ইনিংসে রাবাডাকে অকারণ মারতে গিয়ে আউট হয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। এই ইনিংসে মার্কো জেনসেনের বলে আউট হয়েছেন। ২৭ রান কিন্তু তাঁকে বেশিদিন লাইফলাইন দেবে না। কবে খেলবেন, এই প্রত্যাশা নিয়েও খুব বেশি অপেক্ষা করবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। পন্থ যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন, তাঁর পক্ষে ভালো।
ভারতকে যদি কেপ টাউন ম্যাচে ফিরতে হয়, তা হলে ২৫০-র মধ্যে বেঁধে ফেলতে হবে প্রোটিয়াদের। প্রথম দিনের শেষে বুমরা প্রাথমিক ধাক্কাটা দিয়েছেন ক্যাপ্টেন এলগারকে (৩) ফিরিয়ে দিয়ে। দিনের শেষ ক্রিজে আইডেন মার্কর্যাম (৮) ও নাইট ওয়াচম্যান কেশব মহারাজ (৬)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ২১৮ (বিরাট ৭৯, পূজারা ৪৩, পন্থ ২৭, রাবাডা ৪-৬৮, জেনসেন ৩-৫৫, মহারাজ ১-১৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭-১ (মার্করাম ৮*, মহারাজ ৬*, বুমরা ১-৪)