Pele Health: ভক্তদের উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের হাসপাতালে পেলে
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সুস্থ আছেন ফুটবল সম্রাট। তাঁর অবস্থাও স্থিতিশীল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়, ‘পেলের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
সাও পাওলো: কোলন ক্যানসারের চিকিৎসায় ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন ফুটবল সম্রাট পেলে (Pele)। সাও পাওলোর (Sau Paulo) অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি ফুটবল সম্রাট। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্যই আবার তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি সুস্থ এবং স্থিতিশীল আছেন। চিকিৎসার পরই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবু ব্রাজিলিয়ান (Brazil) কিংবদন্তি ফুটবলার যখনই হাসপাতালে ভর্তি হন, তখনই উদ্বেগ বাড়ে ফুটবলমহলে। গত বছর সেপ্টেম্বরে পেলের শরীর থেকে টিউমর সরানো হয়েছিল। ৮ দিন হাসপাতালে থাকার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, রুটিন চেক আপে মূত্রনালিতে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। মলাশয়ে টিউমার নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পেলে। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর আর দেরি করেননি। ৪ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। তার পর থেকে কিছুটা শারীরিক অবনতি হয়েছিল তাঁর। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ফুটবলমহল। ধীরে ধীরে আশঙ্কা কাটিয়ে আইসিইউ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন পেলে। তবে এরপর থেকে হাসপাতালে যাতায়াত লেগেই রয়েছে তাঁর।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সুস্থ আছেন ফুটবল সম্রাট। তাঁর অবস্থাও স্থিতিশীল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়, ‘পেলের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
গত সেপ্টেম্বরে মলাশয়ে টিউমার ধরা পড়ার পর পেলেকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। ডাক্তারি পরীক্ষায় সেই টিউমারের অস্তিত্ব জানার পরই ডাক্তার আর দেরি করেননি। দ্রুত অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয় ওই টিউমার। কোভিডের কারণে অনেক দিন বাড়ির বাইরে বেরোননি পেলে। তবে বহির্বিশ্বের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে ভক্তদের বার্তা দেন ফুটবল সম্রাট। অস্ত্রোপচারের পরও পেলের হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তখন পেলে নিজেই লিখেছিলেন, ‘আমি অজ্ঞান হয়ে যাইনি। সবাইকে জানাই, আমার শারীরিক অবস্থা ভালো। সুস্থ আছি। আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম রুটিন চেকআপের জন্য। অতিমারির জন্য এটা আগে সম্ভব হচ্ছিল না।’