Indian Football: ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র তৈরিতে সুপ্রিম নিয়োগ
ফেডারেশনে নির্বাচন চেয়ে ২০১৭ সালে দিল্লি উচ্চ আদালত থেকে রায় পাশ হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ফেডারেশনে নির্বাচন প্রক্রিয়া থমকে ছিল।

নয়াদিল্লি: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নতুন গঠনতন্ত্র তৈরিতে চূড়ান্ত নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এআইএফএফের (AIFF) নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে। খসড়া মেনে গঠনতন্ত্র তৈরিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওকে নিয়োগ করল দেশের শীর্ষ আদালত। সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ মেনে নতুন গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসনিক কমিটি। গত বছর সেই খসড়া তৈরিতে বিস্তর সমস্যাও তৈরি হয়। এমনকি তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে একটা সময় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নির্বাসনের কবলেও পাঠিয়ে দেয় ফিফা (FIFA)। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অন্যদিকে গড়ালে নির্বাচনের মাধ্যমে ফেডারেশনের নতুন সভাপতি নিযুক্ত হন কল্যাণ চৌবে। বাইচুং ভুটিয়াকে বিপুল পরিমাণ ভোটে পরাস্ত করেন তিনি। নতুন সচিব হিসেবে সাজি প্রভাকরণকে নিয়োগ করে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ফেডারেশনে নির্বাচন চেয়ে ২০১৭ সালে দিল্লি উচ্চ আদালত থেকে রায় পাশ হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ফেডারেশনে নির্বাচন প্রক্রিয়া থমকে ছিল। জাতীয় ক্রীড়া বিধি মেনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ফেডারেশনে নির্বাচনের আবেদন জানান ক্রীড়া আইনজীবী রাহুল মেহরা। এরপরই তিন সদস্যের প্রশাসনিক কমিটি নিয়োগ করে দেশের শীর্ষ আদালত। সমস্ত ক্লাব, প্রাক্তন ফুটবলারদের মতামত শোনার পর নয়া গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি করে প্রশাসনিক কমিটি।
প্রশাসনিক কমিটির প্রস্তাবিত সেই খসড়া এ দিন সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হয়। প্রশাসনিক কমিটির প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রের খসড়া নিয়ে আপত্তিও রয়েছে অনেকের। এমনকি বেসরকারি সংস্থা এফএসডিএলের ভূমিকা নিয়েও একটা প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। অথচ দেশের শীর্ষ লিগ (আইএসএল) পরিচালনে প্রধান ভূমিকা রয়েছে এফএসডিএলেরই। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার গঠনতন্ত্র সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন এল নাগেশ্বর রাও। ফিফার আইন মেনেই গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে ফেডারেশনকে। একই সঙ্গে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের যথেষ্ট মর্যাদা দেওয়ার সওয়ালও করেছেন সিনিয়র আইনজীবী শঙ্করনারায়ণন।
এ দিকে লিগ কমিটির প্রস্তাবে সায় ফেডারেশনের। সামনের বছর থেকেই আই লিগে বাড়ছে দলসংখ্যা। ১৩ দলের আই লিগ হবে। একই সঙ্গে কমছে বিদেশি সংখ্যাও। পরের বছর থেকে আই লিগে ৫ বিদেশি রেজিস্ট্রেশন করানো যাবে। মাঠে তিন জনের বেশি বিদেশি ফুটবলার খেলানো যাবে না।





