EPL: জলের বোতল বাঁচিয়ে দিল পেনাল্টি! গোপন রহস্য ফাঁস ইংল্যান্ড কিপারের
Jordan Pickford : লেস্টারের জেমস ম্যাডিসনের পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক জর্ডন পিকফোর্ড। ম্যাডিসনের ওই পেনাল্টি শট বাঁচাতে না পারলে খেলায় ৩-১ এগিয়ে যেত লেস্টার। সেক্ষেত্রে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত। ম্যাডিসনের পেনাল্টি বাঁচানোর রহস্য ফাঁস করল পিকফোর্ডের জলের বোতল।

লন্ডন: জর্ডন পিকফোর্ডের (Jordan Pickford) অবাক হোমওয়ার্কেই কোনওমতে অবনমন বাঁচানোর লড়াইয়ে টিকে থাকল এভার্টন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (EPL) পয়েন্ট টেবলের ১৯ নম্বরে রয়েছে এভার্টন (Everton)। লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে ম্যাচে ২-২ ড্র করে এভার্টন। লেস্টারের জেমস ম্যাডিসনের পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক জর্ডন পিকফোর্ড। ম্যাডিসনের ওই পেনাল্টি শট বাঁচাতে না পারলে খেলায় ৩-১ এগিয়ে যেত লেস্টার। সেক্ষেত্রে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত। ম্যাডিসনের পেনাল্টি বাঁচানোর রহস্য ফাঁস করল পিকফোর্ডের জলের বোতল। সেখানেই লেখা রয়েছে বিপক্ষ ফুটবলারের সমস্ত খতিয়ান। এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের এক নম্বর গোলকিপার পিকফোর্ড। ম্যাডিসনের পেনাল্টি বাঁচানোর ক্ষেত্রেও লক্ষ্যে ফোকাস থাকেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার। ম্যাডিসন পেনাল্টি কিক নেওয়ার সময় কোনও দিকেই ঝাঁপাননি পিকফোর্ড। আর ম্যাডিসনও সোজা পিকফোর্ডের হাতে বল মারেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
এভার্টনের গোলকিপার আগেই আন্দাজ করেছিলেন সোজা পেনাল্টি শটই মারবেন ম্যাডিসন। কীভাবে? সেই রহস্য উদ্ধার হল পিকফোর্ডের জলের বোতলে। সেখানে বিপক্ষ ফুটবলারদের যাবতীয় খুঁটিনাটি তুলে ধরা। দেখা যায়, ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে সোজা পেনাল্টি কিকই নেন ম্যাডিসন। বাকি ২০ শতাংশ ডানদিক আর ২০ শতাংশ শট বাঁ-দিকে নেন। সেটা মেনেই সোজা দাঁড়িয়ে থাকেন পিকফোর্ড। আর তাতেই তিনি সফল। এর ফলে ম্যাডিসনের কাজ যে আরও কঠিন করে তুললেন পিকফোর্ড তা বলাই বাহুল্য।
খেলা শেষে পিকফোর্ড বলেন, ‘আমি আমার হোমওয়ার্ক করেছি। আমি সকালেই তথ্যগুলো উদ্ধার করেছিলাম। ম্যাডিসন খুব ভালো ফুটবলার। ও হয়তো ভাবতে পারেনি যে আমি কোনও দিকে ঝাঁপাব না। তাই ওকে বোকা বানিয়েই সোজা দাঁড়িয়েছিলাম। এখন প্রত্যেকেই এই তথ্যগুলো নিয়ে মাঠে নামে। কি ভাবে তা নিখুঁত করতে হয়, তা অবসর নেওয়ার পরই আমি জানাব। পেনাল্টি কিকের সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা সহজ নয়। অনেক সাহসের দরকার। ওই সময় ৩-১ হয়ে গেলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত।’
লিভারপুলের বিরুদ্ধে ম্যাচেও পিকফোর্ডের জলের বোতল ক্যামেরা বন্দি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গোলকিপারের বাঁ-দিকেই মারেন মহম্মদ সালাহ। ডারউইন নুনেজের ক্ষেত্রে আবার উল্টো। যেমন কডি গ্যাকপো ৭৫ শতাংশ শটই মারেন গোলকিপারের বাঁ-দিকে। এই তথ্যগুলো অবশ্যই তাঁর কাজে দেয়।





