Michael Schumacher: শ্যুমাখারের সেই ঐতিহাসিক রেসিং কার এ বার উঠছে নিলামে
রেসিং দুনিয়ায় এই গাড়ি রীতিমতো আলোড়ন তুলে দিয়েছিল। টেকনোলজির দিক থেকে তো বটেই, আধুনিক রেসের দুনিয়ায় আমূল বদল নিয়ে এসেছিল ফেরারির এই স্পোর্টস কার।
জেনেভা: ২০০৩ সালে স্প্যানিশ গ্রাঁ প্রি-তে প্রথম ব্যবহার হয়েছিল ফেরারি (Ferrari) এই লাল টুকটুকে গাড়ি। যার গালভরা নাম এফ২০০৩-জিএ। চেসিস ২২৯। ররি বায়ার্ন আর রস ব্রনের ডিজাইন করা এই স্পোর্টস কার আত্মপ্রকাশেই হইচই ফেলে দিয়েছিল ফর্মুলা ওয়ানের দুনিয়ায়। স্পেনে তো বটেই অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি আমেরিকান গ্রাঁ প্রি-তে এই গাড়ি নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন চালক। তাঁর নাম কী? মাইকেল শ্যুমাখার (Michael Schumacher)। যিনি এখনও কোমায় রয়েছেন। তাঁর সেই গাড়িই এ বার উঠতে চলেছে নিলামে (Auction)। অনুমান করা হচ্ছে, ৭৬ থেকে ৯৬ লক্ষ ডলার দাম উঠতে পারে এফ২০০৩-জিএ-র। রেসিং দুনিয়ায় এই গাড়ি রীতিমতো আলোড়ন তুলে দিয়েছিল। টেকনোলজির দিক থেকে তো বটেই, আধুনিক রেসের দুনিয়ায় আমূল বদল নিয়ে এসেছিল ফেরারির এই স্পোর্টস কার।
২০০৩ সালে সব মিলিয়ে ফেরারির এই গাড়ি ন’টা রেসে চালিয়েছিলেন শ্যুমাখার। যার মধ্যে পাঁচটাতে চ্যাম্পিয়ন হন। সব মিলিয়ে ষষ্ঠবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। ভেঙে দিয়েছিলেন ৫৩ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৫২ সালে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার জুয়ান মানুয়েল ফাঙ্গিও পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সে দিক থেকে দেখলে শ্যুমাখারের কেরিয়ারে ২০০৩ সাল ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ষষ্ঠবার ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রেসের দুনিয়ায় কিংবদন্তি হওয়ার দিকে পা বাড়িয়েছিলেন শ্যুমাখার। নিলামের আয়োজকদের তরফে ভিনসেন্ট লুজুয়ে বলা হয়েছে, ‘ফর্মুলা ওয়ানে ইতিহাসে এই গাড়ি খুব গুরুত্বপূর্ণ। গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফেরারির কাছেও ঐতিহাসিক। এটা কেনার জন্য অনেকেই মুখিয়ে রয়েছেন।’
২০১৩ সালে স্কি করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন শ্যুমাখার। তার পর থেকে আর তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে কিংবদন্তি ড্রাইভারের স্ত্রীর আশা শ্যুমাখার কোমা থেকে একদিন ঠিক বেরিয়ে আসবেন। এরই মধ্যে আবার শ্যুমাখারের ছেলে রেসের দুনিয়ায় পা রেখেছেন। তিনিও চালিয়েছেন বাবার এই গাড়ি। গাড়ি নিয়ে প্রথম নেমেই স্পেনে পোল পজিশন পেয়েছিলেন শ্যুমাখার। অস্ট্রিয়া, ইতালি ও আমেরিকান রেসেও তাই করেছিলেন। শ্যুমাখারের ছেলে মাইক বলেছেন, ‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে গাড়িটার আওয়াজ মন ছুঁয়ে গিয়েছে। চালানোর অভিজ্ঞতা তো বলে বোঝানো যাবে না।’
২০০১ সালে শ্যুমাখারেরই একটা গাড়ি নিলামে তুলেছিল এই সংস্থা। ৩.৫ মিলিয়ন ডলার দাম রাখা হয়েছিল। কিন্তু তা বিক্রি হয়েছিল ৭.৫ মিলিয়ন ডলারে। এ বারও এই গাড়ি অনেক বেশি দাম দিয়ে নিলাম থেকে কেনা হবে, এমনই আশা করা হচ্ছে। তার উপর এই মডেলের গাড়ি বাজারে সেই অর্থে পাওয়াই যায় না।