Tokyo Olympics 2020: লেগে যাওয়ার ভয়ে বাবা রিংয়ে নামতে দিত না: পূজা

Summer Olympics 2020: ৭৫ কেজি বিভাগে আলজেরিয়ার ইচরাক চায়েবকে উড়িয়ে বক্সিংয়ের শেষ আটে হরিয়ানার পূজা রানি।

Tokyo Olympics 2020: লেগে যাওয়ার ভয়ে বাবা রিংয়ে নামতে দিত না: পূজা
Tokyo Olympics 2020: লেগে যাওয়ার ভয়ে বাবা রিংয়ে নামতে দিত না: পূজা (সৌজন্যে-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2021 | 5:49 PM

টোকিও: বাবার কথাকে থোরাই কেয়ার! ভয় সরিয়ে বরং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। দুরূহ পাঞ্চে বিপক্ষকে ঘায়েল করে দেওয়া। বক্সিংয়ের (Boxing) নাম শুনলেই আঁতকে ওঠেন বাবা-মায়েরা। কেই বা চায় তাঁর ছেলে বা মেয়েকে বক্সার বানাতে! পূজা রানির (Pooja Rani) বাবাও চাননি মেয়ে বক্সার হোক। কিন্তু ওই যে কথায় বলে না, ‘ডর কে আগে জীত হ্যায়’। বাবার কথাকে অগ্রাহ্য করেই রিংয়ে নামা। আর সেই মেয়ে এখন পদক জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভারতকে।

৭৫ কেজি বিভাগে আলজেরিয়ার ইচরাক চায়েবকে উড়িয়ে বক্সিংয়ের শেষ আটে হরিয়ানার পূজা রানি। জিতলেন ৫-০ ব্যবধানে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রিংয়ে দাপট দেখিয়ে গেলেন পূজা। ভয়ডরহীন পারফরম্যান্সকে হাতিয়ার করেই পদকের লক্ষ্যে আগুয়ান ৩০ বছরের এই বক্সার। আলজেরিয়ার প্রতিপক্ষকে হারানোর পরেই পূজা বলেন, ‘বাবা চায়নি আমি বক্সার হই। ছোটবেলায় বাবা আমাকে বক্সিং রিংয়ে নামতে বারণ করত। লেগে যাওয়ার ভয়ে আমাকে রিংয়ে নামতে দিত না। বলত, এই খেলাটা তোমার জন্য নয়। বাবা ভাবত, বক্সিং শুধু আগ্রাসী মনোভাবের মানুষরাই খেলতে পারে।’ পূজা রানির বাবা পেশায় একজন পুলিস অফিসার। বাবার কথাকে উপেক্ষা করেই এগিয়ে যান পূজা।

হরিয়ানার ৩০ বছরের বক্সারের অলিম্পিকের যাত্রাটা অবশ্য সহজে হয়নি। কাঁধের চোটে কেরিয়ারই শেষ হতে বসেছিল। আগুনে হাত পুড়ে গিয়েছিল। বক্সিং চালিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অর্থও ছিল না তাঁর। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়েই আজ অলিম্পিকের মঞ্চে তিনি। দেশবাসীর আশা-ভরসার নাম এখন পূজা রানি। শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ। বিপক্ষে শক্ত প্রতিপক্ষ। চিনের লি কিয়ান অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। শুধু তাই নয়, বিশ্ব বক্সিংয়ে সোনা জেতার পাশাপাশি ২ বারের এশিয়া চ্যাম্পিয়ন লি। যদিও ভয় পেতে নারাজ পূজা। কারণ তাঁর অভিধানে ‘ভয়’ শব্দটাই নেই।

আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: টোকিওয় বুধে নারী শক্তির জয়

অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০