ওসাকায় অলিম্পিকের মশালদৌড় বন্ধের দাবি
১৩ ও ১৪ এপ্রিল ওসাকায় (Osaka) মশালদৌড় (Olympic torch relay) হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ।
ওসাকা: করোনার তীব্রতার কাছে কি আরও একবার ধাক্কা খেতে চলেছে টোকিও অলিম্পিক (Tokyo Olympics)? যত দিন যাচ্ছে, বড় হয়ে উঠছে এই প্রশ্ন। কোভিড-১৯ (COVID-19) এর প্রভাব নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে জাপানে (Japan)। যা নিয়ে বেশ চিন্তায় সরকার, প্রশাসন। বেশ কিছুদিন সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও তা উঠতেই ফের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে শুরু করেছে করোনা। যে কারণে জাপানের কিছু জায়গায় অলিম্পিকের মশালদৌড় (Olympic torch relay) বন্ধের দাবি তোলা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ওসাকাও (Osaka)।
১৩ ও ১৪ এপ্রিল ওসাকায় মশালদৌড় হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। যা নিয়ে সেখানকার জেলা গভর্নর হিরোফুমি ইওশিমুরা মশালদৌড় বন্ধের দাবি তুলেছেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি, ‘আমরা লোকজনকে বলব, গুরুত্বহীন বিষয়ে খুব বেশি মাথা না ঘামাতে। ওসাকা শহরে অলিম্পিকের টর্চ র্যালি না করাই উচিত।’
আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ে আরসিবির বায়ো বাবলে বিরাট-এবিডি
অনেক টালবাহানার পর ২৫ মার্চ ফুকুশিমা থেকে শুরু হয়েছে টোকিও গেমসের মশালদৌড়। করোনার কথা মাথায় রেখেই ওই ঐতিহ্যশালী অনুষ্ঠানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার বদলে টিভিতে লাইভ অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী মশালদৌড়ের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না-ও যেতে পারে। এমন আশঙ্কাই করছেন হিরোফুমির মতো লোকজন।
সাধারণ মানুষ না থাকলেও ১০ হাজারের মতো অ্যাথলিট তাতে অংশ নেবেন। সেখান থেকেও করোনা ছড়াতে পারে, এমনই উদ্বেগ তাড়া করছে। পাশাপাশি, আয়োজকরা চাইছেন, পরবর্তী মশালদৌড়ের সময় রাস্তার ধারে যেন জনতারা থাকেন। তবে তাঁদের মাস্ক পরতে হবে। সব মিলিয়ে আরও একবার অস্বস্তির মুখে পড়তে চলেছে টোকিও গেমস।
আরও পড়ুন: অনামী দলের কাছে অবাক হার জার্মানির