Tork Kratos Launched In India: প্রজাতন্ত্র দিবসে আত্মপ্রকাশ নতুন ই-বাইক টর্ক ক্রাটোস-এর, সর্বোচ্চ স্পিড ১০৫ কিমি, দাম ১.০২ লক্ষ টাকা
Tork Kratos Price, Specifications: এই বিদ্যুচ্চালিত মোটরসাইকেলের সর্বাধিক রেঞ্জ ১৮০ কিলোমিটার, সর্বাধিক স্পিড প্রতি ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার। বাইকটির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী হল, মাত্র ৪ সেকেন্ডেই ০-৪০ কিলোমিটার অ্যাক্সিলারেশন নিতে পারে।
দেশের ইলেকট্রিক ভেহিকল সেগমেন্টে জোয়ার আনতে ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসেই আত্মপ্রকাশ হল টর্ক ক্রাটোস (Tork Kratos) ইলেকট্রিক বাইকের (Electric Bike)। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে এই সংস্থা একটি কনসেপ্ট বাইক নিয়ে এসছিল টর্ক মোটরস, যার নাম টিসিক্সএক্স (T6X Concept Model)। দীর্ঘ ৬ বছর পর সেই মডেলের উপরই ভিত্তি করে তৈরি হল টর্ক ক্রাটোস ই-বাইক। এই বিদ্যুচ্চালিত মোটরসাইকেলের সর্বাধিক রেঞ্জ ১৮০ কিলোমিটার, সর্বাধিক স্পিড প্রতি ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার। বাইকটির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী হল, মাত্র ৪ সেকেন্ডেই ০-৪০ কিলোমিটার অ্যাক্সিলারেশন নিতে পারে। এই বাইকের দাম-সহ ফিচার্স ও স্পেসিপিকেশন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দাম ও উপলব্ধতা
ভারতে টর্ক ক্রাটোস লঞ্চ করা হয়েছে দুটি ভ্যারিয়েন্টে: তার একটি ক্রাটোস এবং আর একটি ক্রাটোস আর। বাইকটির দাম শুরু হচ্ছে ১.০২ লাখ টাকা (দিল্লি এক্স-শোরুমের দাম) থেকে। সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে মাত্র ৯৯৯ টাকায় বুক করা যাবে গাড়িটি, যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই এই ইলেকট্রিক বাইকটি দেশের সমস্ত জায়গায় উপলব্ধ হতে চলেছে।
গাড়িটির স্ট্যান্ডার্ড মডেল লঞ্চ করা হয়েছে কেবল মাত্র সাদা রঙে। আবার ক্রাটোস আর ভ্যারিয়েন্টটি সাদা, নীল, লাল এবং কালো – এই চারটি কালার অপশনে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুণে, মুম্বই, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং দিল্লি এই কয়েকটি শহরেই বিক্রি করা হবে গাড়িটি। কয়েক দিনের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়বে দেশের অন্যান্য প্রান্তে।
স্পেসিফিকেশন, ফিচার্স
এই টর্ক ক্রাটোস গাড়িটির আইডিসি রেঞ্জ ১৮০ কিলোমিটার এবং রিয়্যাল-ওয়ার্ল্ড ইউসেজ ১২০ কিলোমিটার। ইলেকট্রিক বাইকটিতে রয়েছে আইপি৬৭-রেটেড ৪ কেডব্লুএইচ লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি প্যাক, যার সিস্টেম ভোল্টেড ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। স্ট্যান্ডার্ড ভ্যারিয়েন্টের স্পিড যেখানে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। ঠিক সেখানেই বাইকটির আর ভ্যারিয়েন্ট সর্বোচ্চ স্পিড প্রতি ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার।
এই মোটরসাইকেলে রয়েচে অ্যাক্সিয়াল ফ্লাক্স টাইপ ইলেকট্রিক মোটর। এদের মধ্যে বেস ভ্যারিয়েন্টের সর্বোচ্চ শক্তি ৭.৫ কিলোওয়াট এবং পিক টর্ক আউটপুট ২৮ এনএম। অন্য দিকে হাইয়ার-স্পেসিফিকেশনের ক্রাটোস আর মডেলের ম্যাক্স পাওয়ার ৯.০ কিলোওয়াট এবং পিক টর্ক ৩৮এনএম।
টর্ক ক্রাটোসের স্ট্যান্ডার্ড মডেলটিতে কোনও ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি দেওয়া হয়নি। তবে ক্রাটোস আর ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং। অতিরিক্ত ফিচার্সের মধ্যে রয়েছে, জিওফেন্সিং, ফাইন্ড মাই ভেহিকল ফিচার, মোটরওয়াক অ্যাসিস্ট, ক্র্যাশ অ্যালার্ট, ভ্যাকেশন মোড, ট্র্যাক মোড অ্যানালিসিস এবং স্মার্ট চার্জ অ্য়ানালিসিস।
আরও পড়ুন: EV Charging: অর্ধেক হবে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম! নতুন চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে এলেন IIT গবেষকরা