Toyota Mirai: হাইড্রোজন জ্বালানি দ্বারা চালিত দেশের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ির আগমন! টয়োটা মিরাই মুক্তি দেবে দূষণ থেকে
Hydrogen Fuel Cell Electric Vehicle: দেশের প্রথম হাইড্রোজেন জ্বালানি দ্বারা চালিত ইলেকট্রিক গাড়ি টয়োটা মিরাই লঞ্চ হল। গাড়িটির বিশেষত্ব কী, তা জেনে নিন।
ভারতের প্রথম অল-হাইড্রোজেন ইলেকট্রিক ভেহিকল (All Hydrogen Electric Vehicle) নিয়ে এল টয়োটা। সংস্থার সেই লেটেস্ট গাড়িটির নাম টয়োটা মিরাই (Toyota Mirai)। এটি আসল টয়োটার একটি পাইলট প্রজেক্ট। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অটোমোটিভ টেকনোলজির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেই এই অল-হাইড্রোজেন ইলেকট্রিক ভেহিকল মিরাই নিয়ে এসেছে টয়োটা। সারা বিশ্বে খুবই অল্প সংখ্যক হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকল (Hydrogen Fuel Cell Electric Vehicle) বা এফসিইভি রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্যতম এই টয়োটা মিরাই। গাড়িটি সম্পূর্ণ ভাবে হাইড্রোজেন জেনারেটেড ইলেকট্রিসিটি দ্বারা চালিত হবে।
Delighted to launch the world’s most advanced technology – developed Green Hydrogen Fuel Cell Electric Vehicle (FCEV) Toyota Mirai along with Union Minister Shri @HardeepSPuri ji, Union Minister Shri @RajKSinghIndia ji,… pic.twitter.com/teu8pm1l57
— Nitin Gadkari (@nitin_gadkari) March 16, 2022
দ্বিতীয় প্রজন্মের এই ইলেকট্রিক ভেহিকল তৈরি করা হচ্ছে কর্ণাটকে টয়োটার প্ল্যান্টে। গ্লোবালি টয়োটা মিরাই গাড়িটির এক ঝলক দেখানো হয়েছিল গত বছরেই। সিঙ্গেল ট্যাঙ্ক পরিপূর্ণ হলেই এই গাড়িটি ৬৪৬ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে পারবে। পুনরায় ফুয়েল দ্বারা পরিপূর্ণ হতে টয়োটা মিরাই সময় নেবে মাত্র ৫ মিনিট।
এই পাইলট প্রকল্পটি দেশের যানবাহন বহরের ক্ষেত্রে সবুজ এবং পরিষ্কার জ্বালানি সমাধানের প্রচারের জন্য ভারত সরকারের প্রচেষ্টার একটি অংশ হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। টয়োটা মিরাই গাড়িতে রয়েছে হাই-প্রেসার হাইড্রোজেন ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং একটি ইলেকট্রিক মোটর। গাড়িটির পাওয়ারট্রেন হাইড্রোজেনকে মূলত জল ও অক্সিজেনে ভেঙে তা থেকে শক্তি উৎপন্ন করে। প্রচলিত আইসিই-র সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে একটি হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল পাওয়ারট্রেন টেলপাইপ থেকে জল নির্গত করে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি এদিন ট্যুইট করে লেখেন, “সবুজ হাইড্রোজেন রিনিউএবল এনার্জি এবং প্রচুর পরিমাণে উপলব্ধ জৈববস্তু থেকে তৈরি করা যেতে পারে। সবুজ হাইড্রোজেনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রবর্তন এবং সেটিকে গ্রহণ করা ভারতের জন্য একটি পরিষ্কার ও সাশ্রয়ী শক্তির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
কেন এই গাড়ি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
১) শূন্য কার্বন নির্গমণ করতে সক্ষম এই টয়োটা মিরাই। যার ফলে কোনও দূষণ হবে না। মাত্র কয়েক ফোঁটা জল বর্জ্য হিসেবে নির্গত হবে।
২) ইলেকট্রিক ভেহিকলের ক্ষেত্রে ব্যাটারি এবং তার চার্জিং যেখানে সমস্যার বিষয়, ঠিক সেখানেই হাইড্রোজেন জ্বালানি দ্বারা গাড়িটি চালিত হবে।
৩) একটা ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ হতে যেখানে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় নেয়, ঠিক সেখানেই হাইড্রোজেন ফুয়েল দ্বারা চালিত এই টয়োটা মিরাই মাত্র ৫ মিনিটেই হাইড্রোজেন রিফিল করবে।
আরও পড়ুন: বাইকের লুকে আশ্চর্য জুপিটার স্কুটার নিয়ে এল ইয়ামাহা! তাক লাগানো ফিচার্স সম্পর্কে জেনে নিন
আরও পড়ুন: দুর্ধর্ষ রয়্যাল এনফিল্ড স্ক্র্যাম ৪১১ লঞ্চ হল, দাম ২.০৮ লাখ টাকা, ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশনস দেখে নিন
আরও পড়ুন: ৯৯,৯৯৯ টাকায় ভারতে হাজির নতুন ইলেকট্রিক বাইক, একবার চার্জে ছুটবে ২০০ কিলোমিটার