AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আপনিও বিনিয়োগ করতে পারেন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে, ফেসবুক নিয়ে আসছে ওয়ালেট

Digital Wallet : মার্কিন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়েন্ট ফেসবুক ক্রিপটোকারেন্সির জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করার জন্য বদ্ধপরিকর। ওয়ালেটের নামও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। ফেসবুকের ডিজিটাল ওয়ালেটের নাম দেওয়া হবে নোভি।

আপনিও বিনিয়োগ করতে পারেন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে, ফেসবুক নিয়ে আসছে ওয়ালেট
দেশে পুরোপুরিই কি বন্ধ হতে চলেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি? ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 7:47 PM
Share

নয়াদিল্লি : ভারতে বাড়ছে ক্রিপটোকারেন্সির বাজার। বিনিয়োগ বাড়ছে ক্রিপটোকারেন্সিতে। আর এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। শীঘ্রই ক্রিপটোকারেন্সি জমানোর জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট আনতে চলেছে ফেসবুক। সম্প্রতি সংস্থার তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।

সংস্থার ক্রিপটো ইউনিটের প্রধান ডেভিড মারকাস জানিয়েছেন, মার্কিন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়েন্ট ফেসবুক ক্রিপটোকারেন্সির জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করার জন্য বদ্ধপরিকর। ওয়ালেটের নামও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। ফেসবুকের ডিজিটাল ওয়ালেটের নাম দেওয়া হবে নোভি। চলতি বছরেই নোভি বাজারে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ফেসবুক।

শুধু ডিজিটাল ওয়ালেটই নয়, নিজস্ব একটি ডিজিটাল কারেন্সিও বাজারে আনতে চলেছে ফেসবুক। এই কারেন্সির নাম দেওয়া হচ্ছে ডিয়েম। শুরুতে নোভি এবং ডিয়েম একইসঙ্গে বাজারে আনার পরিকল্পনা নিয়েছিল মার্ক জ়ুকারবার্গের সংস্থা। কিন্তু বেশ কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ডিয়েমের আত্মপ্রকাশের দিনক্ষণ নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু জানাচ্ছে না সংস্থা।

মারকাস জানিয়েছেন, “ডিয়েমের আগেই নোভি বাজারে নিয়ে আসা যেত। কিন্তু তাহলে আমাদের ডিয়েম বাদ দিয়েই নোভিকে বাজারে আনতে হত। আমরা সেটা চাইছিলাম না।” তিনি আরও বলেন, “পুরো বিষয়টাই নির্ভর করছে ডিয়েম তৈরি করতে আমাদের কতটা সময় লাগছে। ডিয়েম সংক্রান্ত প্রজেক্টের বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখছি না।”

এর আগে ২০১৯ সালে ফেসবুক জানিয়েছিল, তারা বাজারে ক্রিপটোকারেন্সি আনতে চাইছে। তখন অবশ্য নাম বলা হয়েছিল লিব্রা। তবে ‘লিব্রা’-র নিরাপত্তা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময়। পরে ২০২০ সালে ‘লিব্রা’-র নাম বদলে ‘ডিয়েম’ করা হয় এবং প্রজেক্টটির অফিস সুইজ়ারল্যান্ড থেকে আমেরিকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গতমাস থেকেই ক্রিপটোকারেন্সির বাজার দর উঠতে শুরু করেছে। শুধু বিটকয়েনই নয়, কারডানো, এক্সআরপি, ডগিকয়েন সহ একাধিক ক্রিপটোকারেন্সির দর বাড়ছে। গতকালের তুলনায় ক্রিপটোকারেন্সির সামগ্রিক বাজারদর ০.০৪ শতাংশ বেড়েছে।

বিশ্বজুড়়ে অনেক সংস্থাই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ক্রিপটোকারেন্সিকে ব্যবহার করছেন। ক্রিপটোকারেন্সির বাজারদরও এখন ঊর্ধ্বমুখী। গোটা বিশ্বে ক্রিপটোকারেন্সির বাজারদর ২ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের উপর দিয়ে যাচ্ছে। আর এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ আগামী দিনেও চলতে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রিপটোকারেন্সির বাজার দর একটানা উঠতে থাকার মানেই হল, বিশ্বব্যাপী মানুষ ক্রিপটোকারেন্সিকে গ্রহণ করতে শুরু করেছেন।

আর এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চাইছে না ফেসবুকষ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই বাজারে আসতে পারে ফেসবুকের ডিজিটাল ওয়ালেট নোভি। ভারত এখন ক্রিপটোর দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। ক্রিপটোয় বিনিয়োগ হচ্ছে।  আর এই নোভি আগামী দিনে ভারতীয় বাজারেও যথেষ্ট ছাপ ফেলবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। আরও পড়ুন : তড়তড়িয়ে বাড়ছে ক্রিপটোর বাজার, বছর শেষে বিটকয়েনের দর উঠতে পারে ৭০ লাখ