তড়তড়িয়ে বাড়ছে ক্রিপটোর বাজার, বছর শেষে বিটকয়েনের দর উঠতে পারে ৭০ লাখ

Bitcoin : আজ বিটকয়েনের দর রয়েছে ৫০ হাজার ২০৭ মার্কিন ডলার। অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিটকয়েনের দর ছিল সাড়ে ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার।

তড়তড়িয়ে বাড়ছে ক্রিপটোর বাজার, বছর শেষে বিটকয়েনের দর উঠতে পারে ৭০ লাখ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 7:05 PM

মুম্বই : ক্রিপটোকারেন্সির বাজার ক্রমেই বাড়ছে। অনেকেই ক্রিপটোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করছেন। লাভবানও হচ্ছেন। আর ক্রিপটোকারেন্সির বাজারে সবথেকে জনপ্রিয় বিটকয়েন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছরের শেষ হতে হতে বিটকয়েনের বাজারদর ১ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৭২ লাখ টাকা) পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।

যত দিন এগোচ্ছে, ক্রিপটোকারেন্সি তত মূল স্রোতে আসতে শুরু করেছে। বিশ্বজুড়়ে অনেক সংস্থাই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ক্রিপটোকারেন্সিকে ব্যবহার করছেন। ক্রিপটোকারেন্সির বাজারদরও এখন ঊর্ধ্বমুখী। গোটা বিশ্বে ক্রিপটোকারেন্সির বাজারদর ২ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের উপর দিয়ে যাচ্ছে। আর এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ আগামী দিনেও চলতে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতমাস থেকেই ক্রিপটোকারেন্সির বাজার দর উঠতে শুরু করেছে। শুধু বিটকয়েনই নয়, কারডানো, এক্সআরপি, ডগিকয়েন সহ একাধিক ক্রিপটোকারেন্সির দর তড়তড়িয়ে বাড়ছে। গতকালের তুলনায় ক্রিপটোকারেন্সির সামগ্রিক বাজারদর ০.০৪ শতাংশ বেড়েছে। সবথেকে লম্বা লাফ দিচ্ছে বিটকয়েন। এভাবেই চলতে থাকলে ১ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে বিটকয়েনের দর। আজ বিটকয়েনের দর রয়েছে ৫০ হাজার ২০৭ মার্কিন ডলার। অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিটকয়েনের দর ছিল সাড়ে ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রিপটোকারেন্সির বাজার দর একটানা উঠতে থাকার মানেই হল, বিশ্বব্যাপী মানুষ ক্রিপটোকারেন্সিকে গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। মে মাসের পর এই প্রথম ক্রিপটোকারেন্সির বাজার দর ৫০ হাজারের উপরে উঠেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিটকয়েনের বাজার দর ছিল ২৭ হাজার মার্কিন ডলার। সেখান থেকে হিসেব করলে এখনও পর্যন্ত ৮১ শতাংশ বেড়েছে বিটকয়েনের দাম।

এদিকে ভারতীয় বাজারে যেভাবে ক্রিপটোকারেন্সিতে বিনিয়োগ বাড়ছে, তাতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও এবার ক্রিপটোর দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডিজিটাল কারেন্সি প্রকাশ করা হতে পারে। নাম দেওয়া গয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি। তবে এই ডিজিটাল কারেন্সি ঠিক ক্রিপটো কারেন্সির মতো হবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে এই ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে এবং কোনও ব্যক্তির ভবিষ্যতের সঞ্চয় হিসেবেও এই ডিজিটাল কারেন্সি গুরুত্বপূর্ণ হতে উঠতে পারে বলে অনুমান করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য ক্রিপটোকারেন্সির সঙ্গে নগদ টাকার কোনও মিল নেই। ক্রিপটোকারেন্সিকে এখনও ভারতীয় ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় মান্যতা দেওয়া হয়নি। তবে এগুলির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে। বেশ কিছু ক্রিপটো কারেন্সি এক্সচেঞ্জও রয়েছে। মূলত সেগুলির মাধ্যমেই এই ধরনের লেনদেন করা হয়। এইভাবে একটি ব্লকচেনের মাধ্যমে ক্রিপটোকারেন্সি কাজ করে। যখনই কোনও ক্রিপটোকারেন্সির লেনদেন করা হয়, তখন এই ব্লকচেনে তার একটি রেকর্ড থেকে যায়। আরও পড়ুন : SBI Internet Banking: SBI-এর গ্রাহকেরা আগেভাগে কাজ মিটিয়ে নিন, দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকবে অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা