Artemis-1: দ্বিতীয় বারেও ডাহা ফেল! জ্বালানি লিকের কারণে আর্টেমিস 1 রকেটের সফল চন্দ্রাভিযান ফের অধরা
Artemis-1 Second Launch Attempt Scrubbed: দ্বিতীয় বারেও নাসার আর্টেমিস 1 রকেট চাঁদে যেতে পারল জ্বালানি লিকের কারণে। ঠিক কী হয়েছিল, তৃতীয় বার আর্টেমিস-কে চাঁদের পাঠানোর চেষ্টা কবে নাগাদ করা হবে, জেনে নিন এই সব তথ্য।
Artemis-1 Fuel Leak: প্রথম বার ইঞ্জিন সমস্যা, দ্বিতীয় বারে জ্বালানি লিক— আর্টেমিস 1 রকেটের চন্দ্রাভিযান দ্বিতীয় পর্যায়ের সাফল্যও অধরাই রয়ে গেল। প্রথম বার ব্যর্থ হওয়ার পর শনিবার দ্বিতীয় বার প্রচেষ্টা করে জ্বালানি লিকের কারণে স্পেস লঞ্চ সিস্টেমটির উৎক্ষেপণ করে ব্যর্থ হয়েছে নাসা। এখন ইঞ্জিনিয়াররা রকেটটিকে মেরামত করে লঞ্চ প্যাডের বদলে ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। ফলে, 50 বছর পরেও চাঁদে মানুষ পাঠানোর বিরাট কর্মকাণ্ড আরও বেশ কয়েক সপ্তাহে পিছিয়ে যেতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অক্টোবারের মাঝামাঝি সময়ের আগে আর্টেমিস 1-এর তৃতীয় বার উৎক্ষেপণের কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই।
দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় লঞ্চ উইন্ডোটি খোলার কয়েক ঘণ্টা আগেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল লিকের কারণে। জানা গিয়েছে, রকেটে আট ইঞ্চির সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে সরবরাহের দিকে একটি ফুটো হয়। পরে প্রকৌশলীরা সমস্যাটি সমাধান করা চেষ্টা করলেও ওই সময়ের মধ্যে লিকটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
322 ফুট (98-মিটার) রকেটে প্রায় এক মিলিয়ন গ্যালন জ্বালানি লোড করে লঞ্চের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। অতিরিক্ত চাপের একটি অ্যালার্মও বাজানো হয়েছিল এবং ট্যাঙ্কিং অপারেশনটি হুট করেই থামাতে হয়েছিল। যদিও এর ফলে রকেটটি কোনও বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি এবং সেটিকে উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টাও শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই ধরা পড়ে আসল গলদটি। কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই প্রকৌশলীরা রকেটের নিচের ইঞ্জিন বিভাগ থেকে হাইড্রোজেন জ্বালানি লিকিং সনাক্ত করেন। সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্যাঙ্কিং অপারেশন বন্ধ করতে বাধ্য হন ইঞ্জিনিয়াররা। কাউন্টডাউন ঘড়ি সক্রিয় থাকার কারণে সরবরাহ লাইনে একটি সিলের চারপাশে ফাঁকটি দেখা গিয়েছিল।
লঞ্চ প্রক্রিয়া থামিয়ে দেওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে নাসার তরফ থেকে বলা হয়, ” ফ্লাইট সাইড এবং গ্রাউন্ড সাইড প্লেট যেখানে মিলিত হচ্ছে, ঠিক সেখানেই প্রকৌশলীরা দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে একটি গহ্বরে একটি তরল হাইড্রোজেন লিককে মেরামত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সিলটি রিসেটের চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা।”
তবে গত সোমবার যখন প্রথম বার আর্টেমিস 1-কে চাঁদে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়, সে সময় কিন্তু এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। সে দিন একটি সেন্সর নির্দেশ করে যে, রকেটের চারটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটি খুব গরম ছিল। কিন্তু প্রকৌশলীরা পরে যাচাই করে দেখেন যে, সেটি আসলে যথেষ্ট ঠান্ডা ছিল। লঞ্চ টিম সেই সময়ে ত্রুটিপূর্ণ সেন্সরটিকে উপেক্ষা করার পরিকল্পনা করেছিল এবং প্রতিটি প্রধান ইঞ্জিন সঠিক ভাবে ঠান্ডা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য অন্যান্য যন্ত্রের উপর নির্ভর করে।
4.1 বিলিয়ন ডলারের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি হল, নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের নবায়নকৃত চন্দ্র অন্বেষণের প্রথম ধাপ, যার নামকরণ হয়েছে গ্রিক পুরাণে অ্যাপোলোর যমজ বোনের নামে। 1972 সালে শেষবার নাসার অ্যাপোলো প্রোগ্রামের সময় 12 জন নভোচারী চাঁদে হেঁটেছিলেন। যদিও মিশনটি ইতিমধ্যেই সময়সূচীর পিছনে রয়েছে। তবে এই নিয়ে দুই বার ব্যর্থ হওয়ার পর এবার নাসার বিজ্ঞানীরা আর্টেমিসকে চাঁদে পাঠাতে আর তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না। এই মুন মিশনের ম্যানেজার মাইক সারফিন জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে মহাকাশযানটিতে মানুষ পাঠাতে আমাদের আরও যত্নবান হতে হবে।