ঘুম
ঘুম—দিনের শেষে বিছানায় পিঠ রাখলেই চোখের পাতায় নেমে আসে। এই একটা কাজই আমরা জন্ম থেকে করে আসি নিয়ম করে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই কাজের জন্য কোনও দক্ষতা অর্জন করতে হয় না। জন্মের সঙ্গে দিনে ১৫-১৬ ঘণ্টার ঘুম, মিড-লাইফে গিয়ে ৬-৭ ঘণ্টায় দাঁড়ায়। জোর দিয়ে বলাও যায় না যে, রাতে ভাল ঘুম হয়, কিংবা ৭ ঘণ্টা ঘুমোই। ততদিনে, মানে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, ঘুমের সময় কমতে থাকে। এ দিকে, উড়ে এসে জুড়ে বসেছে ইনসমনিয়া। সহজ বাংলায় অনিদ্রা। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে ঘুমের গুরুত্ব। অথচ, এই একটা কাজই আপনাকে প্রায় একশো রোগের হাত থেকে দূরে রাখতে পারে। দিনের পর দিন ঘুম হচ্ছে না। চোখের পাতায় ঘুম ধরতে-ধরতে রাত শেষ। ঘুমের সময় জোরে-জোরে নাক ডাকছেন। মুখ খুলে ঘুমোচ্ছেন। আর আপনি ভাবছেন এগুলো ‘নরম্যাল’। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা তা ভাবেন না। ঘুমকে কেন্দ্র করে এমন ছোট-ছোট বিষয়গুলোই গুরুতর রোগ ডেকে আনে। রাত ৩টে অবধি জেগে সিরিজ়-সিনেমা বিঞ্জওয়াচিং। বেলা ১২টা পর্যন্ত ঘুমনো। ফোন সঙ্গে নিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস। ঘুম না-এলে শুয়ে-শুয়ে ফোন ঘাঁটা। এগুলো ঘুমের বারোটা বাজায়। লকডাউনে প্রায় ৮০% মানুষ অনিদ্রার সমস্যাকে কেন্দ্র করে সমস্যার কথা উগরে দিয়েছিলেন। আর বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৩ জনের মধ্যে ১ জন ভুগছেন অনিদ্রায়। সুতরাং, আপনি যেগুলোকে ‘সাধারণ’ ভেবে তোয়াক্কা করছেন না, সেগুলোই আপনার প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। ঠিক যেমন, অনিদ্রা বাড়াতে পারে ডায়াবেটিস, ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা। তেমনই জোরে-জোরে নাক ডাকা স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। এমন আরও অনেক ‘স্লিপিং ডিজ়অর্ডার’ রয়েছে, যা নিয়ে আমজনতা সচেতন নয়।