Chandrakona: ছাড় পেল না বাচ্চারাও! সিদ্ধি খেয়ে অসুস্থ ২৪ জন
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ১ এক নম্বর ব্লকের লোধা গ্রামের। আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুর্গাপুজোর নিরঞ্জন চলছিল সেখানে। আর সেই নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে আনন্দ করছিলেন সকলে। তখনই মর্মান্তিক ঘটনা। সিদ্ধি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ২৫ জনেরও বেশি। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছোট শিশুও রয়েছে।

চন্দ্রকোনা: পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা সকলে। কিন্তু তার মধ্যেই এভাবে অনর্থ হয়ে যাবে কে ভেবেছিল। পুজোয় সেলিব্রেশন করতে গিয়ে সিদ্ধি খেয়ে অসুস্থ একাধিক ব্যক্তি। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থা যাঁদের তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে প্রায় দশ জনের মতো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ১ এক নম্বর ব্লকের লোধা গ্রামের। আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুর্গাপুজোর নিরঞ্জন চলছিল সেখানে। আর সেই নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে আনন্দ করছিলেন সকলে। তখনই মর্মান্তিক ঘটনা। সিদ্ধি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ২৫ জনেরও বেশি। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছোট শিশুও রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিদ্ধি খাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর থেকে প্রত্যেকেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। এরপর একে একে বমি করতে শুরু করেন। সঙ্গে ছিল আরও একাধিক উপসর্গ। তারপরই তড়িঘড়ি পরিজনরা বিভিন্ন হাসপাতালে অসুস্থদের ভর্তি করেন। এদের মধ্যে দশজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এলাকাবাসী তাপস রায় বলেন, “লোদাতে আমার বাড়ি। ঠাকুর ভাসানের সময় সিদ্ধি খায় ছেলে। এখন আর মাথা তুলতে পারছে না। শুধু ওর একার নয়, আরও অনেকের হয়েছে। এখন বমি করছে। মাথা তুলতে পারছে না। বলছে ঠান্ডা লাগলে যেমন হয় তেমনই হয়েছে। বাচ্চারাও সিদ্ধি খেয়েছে। তাদেরও এমন হয়েছে।” এলাকার এক মহিলা তাঁর অসুস্থ ছোট ছেলেকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, “সিদ্ধি খেয়েছিল ঠাকুর ভাসানের সময়। তারপর থেকে বমি করছে। ঘরে গেছে বমি করছে। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে বমি করছে। বলছে মাথা ঘুরছে। তারপরই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতও পারিনি।”
