Ayodhya Hill: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনেই বাংলার অযোধ্যায় সীতারাম মন্দির গড়ার সংকল্প
অযোধ্যা যেমন প্রভু রামচন্দ্রের জন্মস্থান, সে রকম বাংলার এই অযোধ্যা পাহাড় অঞ্চল প্রভু রামের কর্মভূমিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পথ দিয়েই ভাই লক্ষণ এবং পত্নী সীতা দেবীকে নিয়ে প্রভু রাম অযোধ্যা থেকে কিস্কিন্ধ্যা গিয়েছিলেন এবং বেশ কিছু দিন এই অঞ্চলের অরণ্যে বসবাস করেন।
অযোধ্যা: ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যাতে যখন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন। সে সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় সর্বধর্ম সমন্বয়ে সম্প্রীতি যাত্রার মিছিল করবেন। এ দিনেই পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে সীতাকুণ্ডের পাশে সীতারাম মন্দিরের সংকল্প পুজোর আয়োজন করেছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। কলকাতা থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে হিন্দু সমাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে হবে এই কর্মসূচি। শুধু সীতারাম মন্দির নয়, এই অযোধ্যা পাহাড় অঞ্চলকে হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে, তার যথোপযুক্ত উন্নয়ন ঘটিয়ে, একটি উন্নত মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পক্ষেও সওয়াল করেছে হিন্দু মহাসভা।
আগামী দিনে এই বিষয়ে জনমত গঠন করে হিন্দু মহাসভা পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় অঞ্চলের সাংসদ, বিধায়ক, রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী এবং অবশ্যই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী এ বিষয়ে বলেছেন, “অযোধ্যা যেমন প্রভু রামচন্দ্রের জন্মস্থান, সে রকম বাংলার এই অযোধ্যা পাহাড় অঞ্চল প্রভু রামের কর্মভূমিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পথ দিয়েই ভাই লক্ষণ এবং পত্নী সীতা দেবীকে নিয়ে প্রভু রাম অযোধ্যা থেকে কিস্কিন্ধ্যা গিয়েছিলেন এবং বেশ কিছু দিন এই অঞ্চলের অরণ্যে বসবাস করেন। শুধু তাই নয় তৃষ্ণার্ত সীতা দেবীকে জল খেতে দেওয়ার জন্য তির নিক্ষেপ করে এই অঞ্চলে যে জলাশয় বা কূপ সৃষ্টি করেন ভগবান রামচন্দ্র সেই জলাশয়ই সীতাকুণ্ড নামে পরিচিত।”
তিনি আরও বলেন, “প্রভু রামচন্দ্র কোনA এক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের মালিকানা হতেই পারে না। ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে মর্যাদা পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের অবস্থান হওয়া উচিত। সনাতনী সমস্ত মানুষের আবেগের নাম রামচন্দ্র। তাই ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে রাজনৈতিক রুটি স্যাঁকার জন্য যারা প্রভু রামকে হিন্দি বলয়ের ভগবান করে রাখতে চান তাদের জানা নেই রাবণকে যুদ্ধে হারানোর জন্য প্রভু রাম এই বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বা দেবী দুর্গার আরাধনা করে ছিলেন। রামের সৃষ্ট পূজাই আজ অকালবোধন রূপে শরৎকালে সারা বাংলায় দেবী দুর্গার পুজো হয়।”