PirPujo Mela: কাঁটাতারের বিভেদ মুছে দুই বাংলার মানুষকে পাশাপাশি আনে পীরপুজোর মেলা

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেধারায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসব উরস উপলক্ষে ভারতীয় ভূখণ্ডের জিরো পয়েন্টে পীরের সমাধিতে চাদর চড়ানো হয়। যেখানে ভারতীয় ও বাংলাদেশি সব ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করে। অনেকে আবার একে পীরের পুজোও বলে।

PirPujo Mela: কাঁটাতারের বিভেদ মুছে দুই বাংলার মানুষকে পাশাপাশি আনে পীরপুজোর মেলা
পীরের পুজো মেলাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2024 | 7:00 AM

বালুরঘাট: দেশ ভাগের পর সীমান্তে বসেছে কাঁটাতারের বেড়া। দেশভাগ আলাদা করেছিল আত্মীয় পরিজনদেরও। তবে সীমান্তের দু’পারে রয়ে গেছে অমিলত প্রাণ। একদিকে আইনি বেড়াজাল, অন্যদিকে আর্থিক সমস্যার জন্য ভিসা পাসপোর্ট বানাতে না পারা। তাই ইচ্ছে থাকলেও প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে পারে না দুই বাংলার অনেক মানুষই। তবে বছরের একটা দিন পীর পুজো মেলাকে কেন্দ্র করে দুই বাংলার মধ্যে মিলন উৎসব তৈরি হয়। সে সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে সীমান্তের আইনি বেড়াজাল থাকে না। খুলে দেওয়া হয় কাঁটাতার। তবে এবার কাঁটাতারের ওপারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি ভারতীয়দের। শুধুমাত্র পুজো দিতে কয়েকজন ওপারে যায়। পরে বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেধারায় বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ভারতীয় গ্রামেই এবারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেধারায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসব উরস উপলক্ষে ভারতীয় ভূখণ্ডের জিরো পয়েন্টে পীরের সমাধিতে চাদর চড়ানো হয়। যেখানে ভারতীয় ও বাংলাদেশি সব ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করে। অনেকে আবার একে পীরের পুজোও বলে। তবে প্রত্যেকবার বিএসএফের পক্ষ থেকে মেলে না যাওয়ার অনুমতি। এবারে কাঁটাতারের ওপারে যাওয়ার জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।

তাই ওপারে পীরে মাজারে পুজো করে চলে আসেন এ পারের পুজো উদ্যোক্তারা। বিকেলে মুসলিম ধর্মগুরুদের উপস্থিতিতে হয় বিশেষ প্রার্থনা। তারপর পীরের উদ্দেশ্যে নিবেদিত সিন্নি গ্রহণ করে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। এখানে সাম্প্রদায়িক হানাহানি নয় মুসলিম ইমাম প্রার্থনা করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মঙ্গল কামনায়। এদিকে পীরের পুজোকে কেন্দ্র করে বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেধারা সীমান্তে বসে বিরাট মেলা। রবিবার সকাল থেকেই এই মেলায় সাধারণ মানুষ ভিড় করে।