Ganfulia Sadhu: ঠাকুর ঘরের দরজা লাগানো, ভিতরে গৃহবধূ আর সাধুবাবা! তার পর হুলস্থূল
ফুটন্ত রসে গলে যাচ্ছে রসগোল্লা। ভাজতে গিয়ে বদলে যাচ্ছে জিলাপির রং। কমে গিয়েছে মিষ্টির দোকানের বেচাকেনা। হঠাৎ করে কেন এমন হল, তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না দোকানি। তখন এক সাধুবাবা এসে জানায়, তাঁর মন্ত্রপুত জল এনে দোকানে ছেটালে তবেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
কাটোয়া: ফুটন্ত রসে গলে যাচ্ছে রসগোল্লা। ভাজতে গিয়ে বদলে যাচ্ছে জিলাপির রং। কমে গিয়েছে মিষ্টির দোকানের বেচাকেনা। হঠাৎ করে কেন এমন হল, তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না দোকানি। তখন এক সাধুবাবা এসে জানায়, তাঁর মন্ত্রপুত জল এনে দোকানে ছেটালে তবেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। সেই মতো ওই সাধুবাবার বাড়িতে জল আনতে গিয়েছিলেন গৃহবধূ। সেই সুযোগে গৃহবধূকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল সাধু বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্ত সাধুবাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও দায়ের হয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কাছে গাঁফুলিয়া গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গাফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক মহিলা তাঁর জামাইকে মিষ্টির দোকান করে দেন। প্রথম প্রথম ভাল বিক্রি হলেও,গত কয়েকদিন ধরেই মিষ্টি ঠিক মতো তৈরি হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রসগোল্লা তৈরি করতে গেলে ভেঙে যাচ্ছে। রং পাল্টে যাচ্ছে জিলাপির। এমনকি দোকানের বিক্রিও তলানিতে ঠেকেছে বলে অভিযোগ। গত শনিবার ওই মহিলা দোকান খোলার পরেই দোকানে আসে গ্রামের পরিচিত এক সাধু। সে এসে জানায় তাঁর ঠাকুরের কাছে না গিয়ে টাকা রোজগারের জন্য ব্যবসা করছে তাঁরা। তাই তিনি বান মেরেছেন। ভয়ে মহিলা সাধুর হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চান। তখন মন্ত্রপুত জল এনে দোকানে ছেটানোর নিদান দেন ওই অভিযুক্ত সাধু।
সেই মতো বেলা ওই মহিলা সাধুর ঠাকুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে যাওয়ার পর ঠাকুর ঘরের দরজা বন্ধ করে মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে সাধুর বিরুদ্ধে। সাধুকে সরিয়ে দিয়ে মহিলা বাইরে এসে চিৎকারে শুরু করেন। তখন ছুটে আসেন তাঁর জামাই ও এলাকাবাসীরা। মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। যদিও সাধুর পরিবারের দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন ওই সাধু।