Bankura: বিজয়ার অনুষ্ঠান দেখার নাম করে বের হন দেওর-বৌদি, গ্রামবাসীরা সকালে তাঁদের দেখে শিউরে উঠলেন
Bankura Body Recovered: রাইপুর থানার একেবারে লালগড় সীমানার গ্রাম পেছেলা। এই গ্রামে সত্য মাঝি পেশায় রাজমিস্ত্রি। শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান দেখার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় সত্য। পরে আর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেননি। রবিবার ভোর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সত্যর বৌদি রেবতী মাঝি।

বাঁকুড়া: যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার রাইপুর থানা এলাকায়। রবিবার দুপুরে গ্রাম লাগোয়া মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে মৃতদেহগুলি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম সত্য মাঝি ও রেবতী মাঝি। দুজনে সম্পর্কে দেওর ও বৌদি। প্রাথমিক অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই ওই যুগল আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাইপুর থানার একেবারে লালগড় সীমানার গ্রাম পেছেলা। এই গ্রামে সত্য মাঝি পেশায় রাজমিস্ত্রি। শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান দেখার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় সত্য। পরে আর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেননি। রবিবার ভোর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সত্যর বৌদি রেবতী মাঝি। সকাল থেকে পরিবারের লোকজন দু’জনের খোঁজ শুরু করেন । বেলা বাড়তেই খবর আসে গ্রামের অদূরে একটি বটগাছের ডালে গলায় নাইলনের ফাঁস লাগানো অবস্থায় দুজনের দেহ ঝুলছে।
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় রাইপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সত্য ও রেবতী। সামাজিকভাবে এই সম্পর্ক কেউ মেনে নেবে না এই আশঙ্কাতেই মানসিক অবসাদে ওই যুগল আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “ওদের চিনতাম। দেখে তো ভালই মনে হত। একসঙ্গেও দেখেছি অনেকবার। তবে ঘরের ভিতরের ব্যাপার তো আমরা আর সেভাবে খোঁজ খবর করিনি। আজ সকালে তো শুনি একসঙ্গে ঝুলছে। প্রেম থাকলেও থাকতে পারে, নাহলে আর কী কারণ থাকতে পারে!”
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “গাছের আড়ালে কিছু একটা ঝুলতে দেখছিলাম। বুঝতে পারিনি প্রথমে। কাছে গিয়ে দেখে শিউরে উঠি। একটা দড়িতেই দুদিকে ঝুলছিল ওরা। মনে তো হচ্ছে প্রেম ছিল, তা নিয়ে ঝামেলা। পুলিশ বডি নিয়ে গেছে।”
