Bankura: দামোদর গিলছে দোফসলী জমি, ধীরে ধীরে এগোচ্ছে গ্রামের দিকেও, আতঙ্কে ভুগছেন বাসিন্দারা

Bankura: বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ভাসনা গ্রামের অবস্থান একেবারে পুর্ব বর্ধমানের সীমান্তে। দামোদর নদের পাড়ে থাকা এই ভাসনা গ্রাম দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙনের সমস্যায় জর্জরিত। সম্প্রতি দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে মাত্রাতিরিক্ত হারে জল ছাড়ায় সেই সমস্যা আরও তীব্র আকার নিয়েছে।

Bankura: দামোদর গিলছে দোফসলী জমি, ধীরে ধীরে এগোচ্ছে গ্রামের দিকেও, আতঙ্কে ভুগছেন বাসিন্দারা
বাঁকুড়ায় নদী ভাঙনImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2024 | 11:38 AM

বাঁকুড়া: ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। হাহাকার চারিদিকে। বন্যায় কার্যত ভেসে গিয়েছে চারিদিক। যদিও, বৃষ্টি কমতেই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়েছে ডিভিসি। আর তাতে আপাতত বন্যার আশঙ্কা দূর হয়েছে। কিন্তু বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ভাসনা গ্রামে বুকে কাঁপন ধরাচ্ছে ভাঙন। প্রতিদিন দামোদর একটু একটু করে গিলে খাচ্ছে গ্রাম লাগোয়া তিন ফসলী সোনা কৃষি জমি। নদী একটু একটু করে এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে। আতঙ্কে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না ভাসনা গ্রামের মানুষ।

বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ভাসনা গ্রামের অবস্থান একেবারে পুর্ব বর্ধমানের সীমান্তে। দামোদর নদের পাড়ে থাকা এই ভাসনা গ্রাম দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙনের সমস্যায় জর্জরিত। সম্প্রতি দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে মাত্রাতিরিক্ত হারে জল ছাড়ায় সেই সমস্যা আরও তীব্র আকার নিয়েছে। বর্তমানে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ কমতে থাকায় সেই ভাঙন আরও তীব্র আকার নিয়েছে।

প্রতিদিন একটু একটু করে দামোদরের জল গিলে খাচ্ছে গ্রাম লাগোয়া তিন ফসলী সোনা জমি। ইতিমধ্যেই বিঘের পর বিঘে জমি তলিয়ে গেছে দামোদরের গর্ভে। ধীরে ধীরে নদী গ্রামের দিকে এগিয়ে আসায় চূড়ান্ত আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন। ব্লক প্রশাসনের দাবী অবস্থার কথা জানিয়ে দ্রুত পাড় বাঁধানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

ইন্দাসের বিডিও সুরন্দ্রনাথ পতি বলেন, “ইন্দাসের বিডিও সুরন্দ্রনাথ পতি বলেন, “আগাম খবর পেয়েছিলাম ডিভিসি জল ছাড়ছে। দামোদরের পাড় ভাঙছে। আমি নিজে টিম নিয়ে গিয়েছি। তবে আগাম সতর্কতাও নেওয়া হয়েছিল। কৃষির একটা ক্ষয়ক্ষতির জায়গা থেকে যাচ্ছে। ত্রাণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি ঠিক আছে।”