Bankura: ‘সকলের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, তাই আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়…’, জয়পুরে জয়ী তৃণমূল
Bankura: সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নের শেষ দিনেও বিরোধীদের কেউ মনোনয়ন না করায় ওই সমবায়ের ২৯ টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। জয়লাভের পর একে অপরকে আবির মাখিয়ে বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠে ঘাসফুল শিবির।

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার জয়পুরে ফের সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে সবকটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল। মঙ্গলবার জয়পুর ফারমার্স সার্ভিস কো অপারেটিভ সোসাইটির পরিচালন সমিতির নির্বাচনের জন্য মনোনয়নের শেষ দিন ছিল। শেষ দিনেও বিরোধীরা মনোনয়ন না করায় সবকটি আসনেই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজেপির দাবি, সন্ত্রাস করে অন্যান্য সমবায়ের মতো এই সমবায়ের ক্ষেত্রেও সন্ত্রাস করে বিরোধীদের মনোনয়ন করতে দেয়নি শাসক তৃণমূল।
জয়পুর ফারমার্স সার্ভিস কো অপারেটিভ সোসাইটির পরিচালন সমিতিতে একসময় একচেটিয়া দাপট ছিল বামেদের। ২০১১ সালে এই সমবায়ের পরিচালন সমিতির দখল নেয় তৃণমূল। তারপর থেকে লাগাতারভাবে এই সমবায়ের রাশ রয়েছে তৃণমূলের হাতে।
সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নের শেষ দিনেও বিরোধীদের কেউ মনোনয়ন না করায় ওই সমবায়ের ২৯ টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। জয়লাভের পর একে অপরকে আবির মাখিয়ে বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠে ঘাসফুল শিবির। বিজেপির দাবি, সন্ত্রাস করে বিরোধীদের মনোনয়ন করতে দেয়নি রাজ্যের শাসক দল। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি ২৯ টি আসনের জন্য প্রতিটিতে একজন করে প্রার্থী ও একজন করে প্রস্তাবক খুঁজে না পেয়েই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “ভয় দেখিয়ে হোক, কিংবা যেভাবেই হোক, বিজেপিকে প্রার্থী দিতে দিচ্ছে না। এর ফল ছাব্বিশের নির্বাচনে মানুষ দেখাবে।”
তৃণমূলের জয়পুর ব্লকের সভাপতি কৌশিক বটব্যাল বলেন, “সকলের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। আমাদের দল ২৯টি সিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। আসলে বিরোধীরা তো প্রার্থীই পায় না।”

