Bankura: জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে লক্ষ্মী আসেন হাতির পিঠে, বাঁকুড়ায় এ পুজো অনন্য
Bankura Laxmi Pujo: রাত পেরোলেই কোজাগরি লক্ষ্মীপুজো। বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হবে ধনদেবীর আরাধনা। এ রাজ্যে কোজাগরি পূর্ণিমায় যে লক্ষ্মী প্রতিমার পুজো হয় তা সাধারণত কমলাসনা। কিন্তু রামকানালী গ্রামে দেবী কমলাসনা নয়। এখানে দেবী গজাসনা অর্থাৎ এই গ্রামে দেবী গজের উপর বসে রয়েছেন।

বাঁকুড়া: গ্রাম থেকে বাইরে পা ফেললেই জঙ্গল। দলমা থেকে আসা পাল পাল হাতি সেই জঙ্গলেই ডেরা বেঁধে থাকে মাসের পর মাস। হাতির হানায় প্রতি বছর ক্ষতি হয় একরের পর একর জমির ফসল, ঘরবাড়ি ও সম্পত্তির। বন দফতরের তরফে না মেলে সাহায্য, না ক্ষতিপূরণ। অগত্যা দশকের পর দশক ধরে বাঁকুড়ার রামকানালী গ্রামের মানুষের কাছে অন্যতম ভরসা গজলক্ষ্মী।
রাত পেরোলেই কোজাগরি লক্ষ্মীপুজো। বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হবে ধনদেবীর আরাধনা। এ রাজ্যে কোজাগরি পূর্ণিমায় যে লক্ষ্মী প্রতিমার পুজো হয় তা সাধারণত কমলাসনা। কিন্তু রামকানালী গ্রামে দেবী কমলাসনা নয়। এখানে দেবী গজাসনা অর্থাৎ এই গ্রামে দেবী গজের উপর বসে রয়েছেন। প্রায় দেড়শো বছরের প্রাচীন এই লক্ষ্মীপুজোতে প্রতিমার কেন এমন ব্যতিক্রম?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় হাতির উৎপাত আজকের নয়। প্রায় দেড় শতক আগেও গ্রামে ছিল হাতির উৎপাত। হাতির দলের তান্ডবে ফসল মাঠে তোলা যেতো না। হাতির দলকে শান্ত রেখে মা লক্ষ্মীকে ঘরে তুলতে তখন থেকেই গজলক্ষ্মীর পুজো শুরু হয় গ্রামে। দেড়শো বছর পরেও পতিস্থিতির তেমন বদল না হওয়ায় রামকানালী গ্রামে আজো চলে আসছে মহা ধূমধামে গজলক্ষ্মীর আরাধনা।
রাত পোহালেই লক্ষ্মী পুজো। আর এই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এটাই লক্ষ্মীপুজো। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমাদের কাছে এটাই লক্ষ্মীপুজো। গ্রামে একটা উৎসবের মরশুম তৈরি হয়। সারা বছর আমরা এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করে থাকি। এই দিনটা আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব রাখে।”
আরেক মহিলা বলেন, “আমাদের এখানকার লক্ষ্মীর আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। আমাদের দেবী হাতির পিঠে আসেন। আমরা গ্রামের সব মহিলাই পুজোর কাজে হাত লাগান। সন্ধ্যায় পুজো হয়। আলাদা করে বিশেষ করে কোনও নিয়ম নেই। দীর্ঘদিন ধরেই এই রীতি এসে চলেছে। রাতে আবার আমাদের খাওয়া দাওয়ারও আয়োজন থাকে। বাচ্চারাও ভীষণভাবে মজা করে।”
