AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

School: স্কুলের পাঁচিল তৈরিতেও দুর্নীতি? দেওয়াল ভাঙতেই যা দেখলেন চোখ কপালে অভিভাবকদের

Bankura Scam: বাঁকুড়ার রাইপুরের কৃষ্ণমোহিনী সরখেল স্মৃতি বিদ্যাপীঠের সীমানা পাঁচিল তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় ওই স্কুলের সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে তৃণমূল পরিচালিত রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতি।

School: স্কুলের পাঁচিল তৈরিতেও দুর্নীতি? দেওয়াল ভাঙতেই যা দেখলেন চোখ কপালে অভিভাবকদের
পাঁচিল তৈরিতেও দুর্নীতিImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 12, 2024 | 11:35 AM
Share

বাঁকুড়া: স্কুলের সীমানা পাঁচিল তৈরির ক্ষেত্রেও এবার বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার রাইপুরে। স্কুলের নির্মীয়মাণ সীমানা পাঁচিল তৈরির মাঝেই তাতে ফাটল দেখা দেওয়ায় সন্দেহ হয় এলাকার মানুষের। অভিযোগ পেতেই পাঁচিল ভাঙার কাজ শুরু হয়। এতেই বেরিয়ে এল আসল ঘটনা। অভিযোগ, পাঁচিল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনও রড। আর এরপরই নির্মীয়মাণ ওই পাঁচিল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল ব্লক প্রশাসন। ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি সহ তৃণমূলের একাংশ অভিযোগের আঙুল তুলেছে প্রশাসনিক আধিকারিক ও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল পরিচালিত রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা।

বাঁকুড়ার রাইপুরের কৃষ্ণমোহিনী সরখেল স্মৃতি বিদ্যাপীঠের সীমানা পাঁচিল তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় ওই স্কুলের সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে তৃণমূল পরিচালিত রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতি। টেন্ডার করে কাজের বরাত দেওয়া হয় একটি ঠিকাদার সংস্থাকে। মার্চের শেষের দিকে নির্মাণ কাজ শুরুও হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্মাণকাজ চলাকালীন নির্মীয়মাণ সীমানা পাঁচিলের গায়ে ফাটল দেখে সন্দেহ হয় । পাঁচিলের একাংশ ভেঙে তাঁরা দেখেন এস্টিমেটে পাঁচিলের টাই বিম তৈরির ক্ষেত্রে রড ব্যবহারের নির্দেশ থাকলেও তা ব্যবহার করেনি বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা। আর সে কারণেই তৈরি হতেই ফাটল দেখা দিচ্ছে ওই পাঁচিলে।

যে কোনও সময় পাঁচিল ধসে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। এরপরই স্কুলের তরফে বিষয়টি স্থানীয় বিডিওকে জানানো হয়। বিডিও সরেজমিনে পাঁচিলটি দেখে দ্রুত তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। বিডিও-র নির্দেশেই বুল ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নির্মীয়মাণ ওই পাঁচিল। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ ও বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সহ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদের একাংশ ও ব্লক প্রশাসনের একাংশের মদতেই স্কুলের মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর স্থানে এমন নিম্ন মানের সীমানা পাঁচিল তৈরি করা হচ্ছিল। তাঁদের আশঙ্কা যেভাবে ওই সীমানা পাঁচিল তৈরি করা হচ্ছিল তাতে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

নির্মাণের মান অত্যন্ত খারাপ দাবি করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছুটির দিনগুলিতে রাতারাতি ঠিকা সংস্থা ওই পাঁচিল তৈরি করে ফেলায় তার মান নিয়ে নজরদারি চালানো সম্ভব হয়নি। রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাজের মান খারাপের অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও ঠিকা সংস্থার সঙ্গে তাঁদের যোগসাজসের অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শান্তিরাম মণ্ডল বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে পাঁচিল তৈরির টেন্ডার হয়েছে। একটি কোম্পানি কাজের বরাত পায়। নিম্নমানের কাজ করছিল। জানার পরই আমরা হস্তক্ষেপ করি।”