Bankura: একি অবস্থা পঞ্চায়েত সমিতির! গৃহহীনদের মাথায় ছাদ দেওয়ার কথা যাদের ভেঙে পড়ল সেই অফিসেরই ছাদ
Bankura: সরকারি প্রকল্পে এলাকার গৃহহীনদের মাথার উপর ছাদ তুলে দেওয়ার দায়িত্ব যে পঞ্চায়েত সমিতির কাঁধে সেই অফিসেই সভাপতির চেম্বারেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ফলস সিলিং। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন সভাপতি-সহ কর্মাধ্যক্ষরা। খোলা আকাশের নিচে বসে চলল কাজ।
বাঁকুড়া: গৃহহীনদের মাথার উপর ছাদ তুলে দেওয়ার দায়িত্ব যে পঞ্চায়েত সমিতির কাঁধে সেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের অফিসেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ফলস সিলিং। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসেই পরিষেবা দিতে বাধ্য হলেন সভাপতি-সহ কর্মাধ্যক্ষরা। গাছের তলায় বসে চলল কাজ।
বাঁকুড়ার ইন্দপুর পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল পরিচালিত। আর পাঁচটা পঞ্চায়েত সমিতি-সহ এই পঞ্চায়েত সমিতির কাঁধেও ছিল গৃহহীনদের মাথায় ছাদ তুলে দেওয়ার দায়িত্ব। কিন্তু সেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ কর্মাধ্যক্ষরাই এবার হয়ে পড়লেন গৃহহীন। এদিন সকালে অফিস খোলার সময় আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির চেম্বারের ফলস সিলিং। সে সময় সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষরা ভেতরে না থাকায় কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। কিন্তু ভেঙে পড়া সেই অফিসে বসে আর কাজ করার সাহস দেখাতে পারেননি সভাপতি-সহ কর্মাধ্যক্ষরা। অগত্যা খোলা আকাশের নিচে গাছের তলায় চেয়ার টেবিল পেতে বসে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে বাধ্য হন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষরা।
এই ঘটনার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির লোকজন কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বিডিওকে। তাঁদের দাবি, অফিসের বেহাল অবস্থার কথা বারবার বিডিওকে জানানো হলেও তিনি সংস্কারের কোনও ব্যবস্থা করেননি। যতদিন না সংস্কার হচ্ছে ততদিন এভাবেই গাছের তলায় বসে পরিসেষা দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা। যদিও একই ভবনে নিজের দফতরে থাকা বিডিও অবশ্য জানিয়েছেন গোটা ভবনটিই বেশ পুরানো। ঢালাও সংস্কারের প্রয়োজন। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অফিসের অবস্থা এতটা বেহাল তা তাঁর জানা ছিল না। অবিলম্বে ওই অফিসে সংস্কারের কাজ করা হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি।