TMC Manoranjan’s Video: টলমল করছে পা, মঞ্চে হাঁটুর বয়সী তরুণীর কোমর জড়িয়ে নাচ, তৃণমূলের মনোরঞ্জন এই বয়সে হলেন ভাইরাল
Bankura: মনোরঞ্জন নন্দী, তিনি বাঁকুড়ার ইন্দাসের মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুতবিহার বুথের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি এলাকার দাপুটে নেতাও বটে। দল সূত্রেই খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর হাত ধরে দলের নীচু স্তরের কর্মীদের মধ্যে সাংগঠনিক ভিত ভালোই মজবুত হচ্ছে।
বাঁকুড়া: বয়স ষাট পেরিয়েছিল। মঞ্চে হাঁটুর বয়সী তরুণীর সঙ্গে দাপালেন মনোরঞ্জন। কোমরে হাত দিয়ে নাচলেন, কোমর দোলালেন, সিঁটি মারলেন! আর এই জুটি জমিয়ে তুলল মাচা জলসা। হাততালি-সিঁটিতে জমে উঠল মাচা-শো’র পরিবেশ। মনোরঞ্জন হলেন ভাইরাল। শুরু রাজনৈতিক তরজা। বাঁকুড়ার ইন্দাসের তৃণমূলের বুথ সভাপতি মনোরঞ্জন নন্দীর নাচের ভিডিয়ো এখন ভাইরাল। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
মনোরঞ্জন নন্দী, তিনি বাঁকুড়ার ইন্দাসের মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুতবিহার বুথের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি এলাকার দাপুটে নেতাও বটে। দল সূত্রেই খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর হাত ধরে দলের নীচু স্তরের কর্মীদের মধ্যে সাংগঠনিক ভিত ভালোই মজবুত হচ্ছে। কিন্তু এসবের মাঝেই তাঁর একটি নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ইন্দাসে।
ইন্দাসের পঞ্চবটি সেবাশ্রম মেলার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই চটুল নাচের আয়োজন করা হয়েছিল উদ্যোক্তাদের তরফে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণীর মঞ্চে গান গাইছেন। সেই মঞ্চে উঠে পড়েন তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন। তারপর তাঁর কোমর ধরে নাচতে শুরু করেন। নাচ দোলান। দৃশ্যত পা টলমল করছিল তৃণমূল নেতার। একপ্রকার নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই তিনি মঞ্চে উঠে নাচ করতে শুরু করেন।
সামাজিক মাধ্যমে তাঁর নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শুরু হয় রাজনৈতিক শোরগোল। অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। বিজেপি এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে। তৃনমূলের দাবি কেউ নাচ গান করলে সেটা তাঁর একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সব কিছুতে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বুথ প্রেসিডেন্ট অশ্লীলভাবে নাচ করবে, এটাই স্বাভাবিক। পয়সা থাকলে সব সময়ে ভোগ বিলাসেই মত্ত থাকছে। অত্যন্ত অশালীন নাচ।”
অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের বক্তব্য, “মস্তিষ্কবিকৃত তো ছিলই, এখন বাড়ছে। সেটা তাঁর ফেস এক্সপ্রেশনেই বোঝা যাচ্ছে। সারাক্ষণ একটা সুজাতা নামক টেনশনে থাকছে। কে কোথায় নাচবে, গাইবে, সেটা নিয়ে আমার আলাদা করে বলার কী আছে আর দলেরই বা বলার কী আছে!”