Lok Sabha Elections: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বেদম মারের অভিযোগ, চোখে ধুলে দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন বিজেপি কর্মী
Lok Sabha Elections: স্থানীয় সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্গত তালডাংরা ব্লকের সোনাঝোর গ্রামের বিজেপি কর্মী অভিজিৎ পাত্র শনিবার বিকালে ব্যক্তিগত কাজে শালতোড়া যাচ্ছিলেন। অভিযোগ রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে শালতোড়ার তৃণমূল কার্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁর পথ আটকায়।

বাঁকুড়া: ভোট মিটেছে কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় লাগাম টানা যাচ্ছে কোথাও। পাত্রসায়ের ও কোতুলপুরের পর এবার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটল বিষ্ণুপুরের শালতোড়া এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যায় এক বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃনমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই বিজেপি কর্মী। পরবর্তীতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও তৃণমূল মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্গত তালডাংরা ব্লকের সোনাঝোর গ্রামের বিজেপি কর্মী অভিজিৎ পাত্র শনিবার বিকালে ব্যক্তিগত কাজে শালতোড়া যাচ্ছিলেন। অভিযোগ রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে শালতোড়ার তৃণমূল কার্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁর পথ আটকায়। এরপর তাঁকে জোর করে অভিজিৎ পাত্রকে তৃণমূল কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ।
বেশ কিছুক্ষণ পর কোনওক্রমে সেখান থেকে ছুটে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন অভিজিৎ। এলাকার বিজেপি কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে আমডাংরা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শালতোড়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর দাবি, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে মারধর করেছে তৃণমূল। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, লোকসভা ভোটে এলাকায় বিজেপি এগিয়ে থাকাতেই এভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল। যদিও অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ঘটনার কথা তাঁদের জানা নেই। তৃণমূল এই মারধরের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। কিছু ঘটে থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।





