Basirhat: স্বাধীনতার পর প্রথম উন্নয়নের মুখ দেখছিল গ্রাম, তবুও বাসিন্দারা বললেন, ‘যা হচ্ছে, তা না হওয়াই ভাল’
Basirhat: যে পরিমাণ রাস্তা পুরু হওয়ার কথা, তা না করে সম্পূর্ণ শিডিউল না মেনে এই কাজ চালাচ্ছিল ঠিকাদার সংস্থা। এতেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম রাস্তা সংস্কারের করার নামে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে।
বসিরহাট: স্বাধীনতার পর এই প্রথম। তার আগে কবে রাস্তা সংস্কার হয়েছিল, তা স্মৃতি হাতড়ে মনে করতে পারছেন না গ্রামে অশীতিপর বৃদ্ধও। স্বাধীনতার পর গ্রামে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, সেই তো প্রায় উৎসবের সামিল। কিন্তু রাস্তার সংস্কারের কাজও বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। স্বাধীনতার পর প্রথমবার রাস্তার সংস্কারের পরেও খুশি নন সীমান্তের গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের শাঁকচূড়া-বাগুণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ পিয়ারাতলা গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, ‘যা কাজ হচ্ছে, তার থেকে না হওয়াই ভাল’।
স্থানীয় প্রশাসনই বলছে, স্বাধীনতার পর প্রথম ওই রাস্তা সংস্কার করার ডাক দিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদ। আর সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ। জেলা পরিষদের দু’কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৭৯ টাকা। প্রথম পর্যায়ে এক কিলোমিটারের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। ঢাক ঢোল পিটিয়ে রাস্তা শিলান্যাস করা হয়েছিল আট মাস আগে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কার করতে গিয়েই ঠিকাদার সংস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের কুচো পাথর, খোয়া ও ইট এমনকি সরু সাদা বালি দিয়ে কাজ করছিল।
যে পরিমাণ রাস্তা পুরু হওয়ার কথা, তা না করে সম্পূর্ণ শিডিউল না মেনে এই কাজ চালাচ্ছিল ঠিকাদার সংস্থা। এতেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম রাস্তা সংস্কারের করার নামে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে। একটা বর্ষা গেলেই রাস্তার সিমেন্ট-সহ স্টোন চিপস সব উঠে যাবে। বিক্ষোভ দেখিয়ে তারা রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। এই রাস্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শাঁকচূড়া-বাগুণ্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোলাম মোস্তফা উল্টে জেলা পরিষদের ওপর সব দায় চাপিয়ে দেন।
পাশাপাশি তিনি বলেন, “শুনলাম রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সরু বালির বদলে মোটা বালি দিতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকে। এই কাজ বন্ধ করা যাবে না। যাতে সুস্থভাবে সরকারি নিয়ম মেনে কাজ হয় তার দায়িত্ব আমাদের।” তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে আট মাস আগে শিলান্যাস হওয়া রাস্তা কেন আট মাস পরেও তৈরি হল না? এই প্রশ্ন তুলছেন পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। তাহলে কি প্রশাসন তথা গ্রামবাসীদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই রাস্তার কাজ করছিল ঠিকাদার সংস্থা? না এর পিছনে অন্য কোনও অশুভ আঁতাত কাজ করছে? সব মিলিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ হওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ওই গ্রামে।